ভারতকে যে ‘প্রথম’ উপহার দিলেন হেনরি
Published: 2nd, March 2025 GMT
১৯৯৮ থেকে ২০২৫—এই ২৭ বছরে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সবচেয়ে বেশি ৩২টি ম্যাচ খেলেছে ভারত। দুবাইয়ে আজ ৩২তম ম্যাচে এসেই একটি প্রথমের দেখা পেল ভারতীয়রা। ভারতকে সেই ‘প্রথম’টা উপহার দিলেন ম্যাট হেনরি।
নিউজিল্যান্ড পেসার আজ ৫ উইকেট নিয়েছেন ভারতের বিপক্ষে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের বিপক্ষে এর আগে কোনো বোলার ৫ উইকেট নিতে পারেননি। দুবারের চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে আজকের আগে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সেরা বোলিং ছিল নাভিদ-উল-হাসান। পাকিস্তানি পেসার ২০০৪ সালে এজবাস্টনে ২৫ রানে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। সেই ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতারও।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের বিপক্ষে সেরা বোলিংচ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের তৃতীয় বোলার হিসেবে ৫ উইকেট পেলেন হেনরি। প্রথম দুজন শেইন ও’কনর ও জ্যাকব ওরামও ছিলেন পেসার। বাঁহাতি পেসার ও’কনর ২০০০ সালে নাইরোবিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪৬ রানে নেন ৫ উইকেট। চার বছর পর ওভালে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ৩৬ রানে ৫ উইকেট নেন ওরাম।
আরও পড়ুন৩০০–তে ব্যর্থ কোহলি, বেশির ভাগই তাই; একমাত্র সেঞ্চুরিটা কার১ ঘণ্টা আগেচ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সব মিলিয়ে ৫ উইকেট নেওয়ার ঘটনা ১৪টি। কোনো বোলার একাধিকবার ৫ উইকেট পাননি। ১৯৯৮ সালে ঢাকায় প্রথম টুর্নামেন্টের ফাইনালে প্রথমবার ৫ উইকেট নেন দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিস। ২০০৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এটিই ছিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেরা বোলিং। ওই দিন এজবাস্টনে কেনিয়ার বিপক্ষে ১১ রানে ৫ উইকেট নিয়ে নতুন রেকর্ড গড়েন পাকিস্তানের অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সেরা বোলিং শ্রীলঙ্কার ফারভিজ মাহারুফের.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে রিভিউ শুনানি ৮ মে
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে রাজনৈতিক দল ও ছয় ব্যক্তির করা চারটি আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ৮ মে দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
রোববার (২ মার্চ) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে রাজনৈতিক দল ও ছয় ব্যক্তির করা চারটি আবেদনের শুনানি মুলতবি করেন আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ এ রিট খারিজ করেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করা হয়।
এই সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম সলিমউল্লাহসহ অন্যরা ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। পরে প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট রায় দেন।
এ রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালে আপিল করে রিট আবেদনকারী পক্ষ। এ আপিল মঞ্জুর করে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।
ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। পরে ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ–সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।
৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি। অন্য চারজন হলেন, তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভুঁইয়া ও জাহরা রহমান।
আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ১৬ অক্টোবর একটি আবেদন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত বছরের ২৩ অক্টোবর আরেকটি আবেদন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
পরবর্তীতে নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত বছর একটি আবেদন করেন।
বিএইচ