রমজান মাসকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মানসম্মত খাবার নিশ্চিত করতে হলের ক্যান্টিনগুলোতে অভিযান পরিচালনা করেছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) প্রশাসন।

রবিবার (২ মার্চ) দুপুর ২টায় ছাত্র পরামর্শক মো. আশাবুল হক ও সহকারী ছাত্র পরামর্শক ড. মো. জসিম উদ্দিন বিভিন্ন হলে এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় তারা ক্যান্টিনের রান্নাঘর পরিদর্শন করে মালিক ও কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি ও খাদ্যের মান রক্ষায় কঠোর নির্দেশনা দেন।

ছাত্র পরামর্শক মো.

আশাবুল হক ক্যান্টিন মালিকদের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেন। এছাড়া তিনি কর্মচারীদের গ্লাভস ও মাস্ক পরিধানে গুরুত্বারোপ করে খাবারে ক্ষতিকর রং না মেশানো ও পুরাতন ভাজা তেল পুনরায় ব্যবহার না করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি, বাসি খাবার ফ্রিজে সংরক্ষণ না করা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশনা দেন।

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য মাসব্যাপী ইফতার আয়োজন

জমজমাট কুমিল্লার ইফতার বাজার

অভিযান শেষে তিনি বলেন, “রমজান মাস শুরু হয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিশ্চিত করতে আমরা ক্যান্টিনগুলো পরিদর্শন করেছি। আমরা ক্যান্টিন কর্মচারীদের নির্দেশনা দিয়েছি, যেন তারা মাস্ক ও গ্লাভস পরে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখে এবং একদিনের ভাজা তেল পরদিন ব্যবহার না করে।”

“ভবিষ্যতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। যদি কেউ নির্দেশনা না মানে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে,”- যুক্ত করেন ছাত্র পরামর্শক মো. আশাবুল হক।

ঢাকা/মামুন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর রমজ ন

এছাড়াও পড়ুন:

আলোচিত মহেশ বাবু কত কোটি টাকার মালিক?

‘প্রিন্স অব টলিউড’খ্যাত অভিনেতা মহেশ বাবু। পর্দায় অসাধারণ অভিনয় এবং অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব গুণের কারণে অসংখ্য ভক্ত তার। ১৯৭৯ সালে ‘নিডা’ সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করেন। ১৯৯৯ সালে ‘রাজাকুমাড়ু’ সিনেমার মাধ্যমে নায়ক হিসেবে অভিষেক ঘটে তার। এরপর যশ-খ্যাতি যেমন পেয়েছেন, তেমনি অঢেল অর্থেরও মালিক হয়েছেন।

হঠাৎ অর্থ জালিয়াতি মামলায় মহেশ বাবুর নাম জড়িয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২৮ এপ্রিল ডেকে পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। মূলত, রিয়েল এস্টেট কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়ার কারণে মহেশের নাম এই মামলায় জড়িয়েছে। ফলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন এই তারকা অভিনেতা। চলুন জেনে নিই, মহেশ ঠিক কত টাকার মালিক-

সিয়াসাত ডটকমের তথ্য অনুসারে, তেলেগু সিনেমার সবচেয়ে ধনী তারকাদের একজন মহেশ বাবু। চলতি বছরের হিসাব অনুযায়ী, তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৩০০-৩৫০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪২৭-৪৯৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা)। এর মধ্যে উত্তরাধিকার সূত্রে ৪৮ কোটি রুপির মালিক হয়েছেন তিনি।  

২০০৫ সালে ‘আথাড়ু’ সিনেমার জন্য ৫ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নেন মহেশ বাবু। তারপর কেটে গেছে দুই দশক। বর্তমানে প্রতি সিনেমার জন্য ৬০-৮০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন। তার পরবর্তী সিনেমা ‘এসএসএমবি২৯’। এটি পরিচালনা করছেন এস এস রাজামৌলি।

জানা যায়, রাজামৌলির এ সিনেমার জন্য কোনো পারিশ্রমিক নেবেন না মহেশ বাবু। তবে রাজামৌলি ও মহেশ বাবু সিনেমাটির লভ্যাংশ নেবেন। এতে করে ১০০-১৫০ কোটি রুপি আয় করতে পারবেন মহেশ বাবু।

আইএমডিবি’র তথ্য অনুসারে, মহেশ বাবু তার প্রথম সিনেমার জন্য ৭৫ লাখ রুপি পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন। গত বছরের হিসাব অনুযায়ী, তার মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ৩০০ কোটি রুপি (৪২৭ কোটি ৯২ লাখ টাকার বেশি)।

মহেশ বাবু অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘গুন্তুর করম’। এটি পরিচালনা করেন ত্রিবিক্রম শ্রীনিবাস। গত বছরের ১২ জানুয়ারি মুক্তি পায় এটি। সিনেমাটির কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে অভিনয় করেন মীনাক্ষী চৌধুরী ও শ্রীলীলা। তাছাড়াও অভিনয় করেন— জগপতি বাবু, জয়রাম, ব্রাহ্মানন্দ, রামায়্যা কৃষ্ণান, প্রকাশ রাজ, রেখা, সুনীল প্রমুখ।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ