গণসংগীতশিল্পী এপোলো জামালী মারা গেছেন
Published: 2nd, March 2025 GMT
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, গণসংগীতশিল্পী ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এপোলো জামালী (আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামালী) মারা গেছেন। রোববার (২ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকার হৃদরোগ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।
দীর্ঘদিন তিনি হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও ফুসফুসের সমস্যায় অসুস্থ ছিলেন।
এপোলো জামালী জীবনের ৪৫ বছর বিপ্লবী রাজনৈতিক তৎপরতায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। তিনি সংহতি সংস্কৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। গণসংস্কৃতি ফ্রন্টেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
তিনি অনেক জনপ্রিয় গণসংগীতের রচয়িতা, সুরকার ও গায়ক ছিলেন। যেকোনো দুর্যোগে তিনি সর্বস্ব উজাড় করে গণমানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
দল ও পরিবারের সিদ্ধান্তে এপোলো জামালীর মরদেহ বার্ডেমের শবাধারে রাখা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা বিদেশ থেকে ফিরলে আগামী ৭ মার্চ সকাল ১০টায় শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে। জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে বন্দর আব্বাসের বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪০
ইরানের বন্দর আব্বাসের কাছে শহীদ রাজয়ি বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও ১০০০ জন।
সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা বিবিসি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনা জানিয়েছে, শহীদ রাজয়ি বন্দর ইরানের রাজধানী তেহরানের দক্ষিণে এক হাজার কিলোমিটারের বেশি দূরে অবস্থিত। এটি ইরানের সবচেয়ে উন্নত কনটেইনার বন্দর। বন্দর আব্বাস শহরের ২৩ কিলোমিটার পশ্চিমে ও হরমুজ প্রণালির উত্তরে অবস্থিত এই কনটেইনার বন্দর। এ প্রণালি দিয়ে বিশ্বের এক-পঞ্চমাংশ তেল পরিবহন করা হয়।
শনিবার ওই বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা পরও রাষ্ট্রীয় টিভিতে সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা যায়, বন্দর এলাকা থেকে ঘন কালো ধোঁয়া উড়ছে এবং সেখানে জ্বলতে থাকা বহু কনটেইনারের আগুন নেভাতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে।
ইরানের সংকট ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র হোসেইন জাফরি শহীদ রাজয়িতে থাকা কনটেইনারগুলোয় রাসায়নিকের অনিরাপদ মজুত বিস্ফোরণের কারণ হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন। স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণের কারণ কনটেইনারের ভেতরে থাকা রাসায়নিক।’
হোসেইন জাফরি আরও বলেন, এর আগেও সংকট ব্যবস্থাপনা সংস্থার মহাপরিচালক পরিদর্শনের সময় কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছিলেন, সম্ভাব্য বিপদের কথা বলেছিলেন।
অন্যদিকে ইরানের সরকারি মুখপাত্র বলেন, বিস্ফোরণের পেছনের কারণ হতে পারে রাসায়নিক। তবে সুনির্দিষ্ট কারণ এখনই বলা সম্ভব নয়।
বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসকান্দার মোমেনিকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আগুন নেভানো ও অন্যান্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।