সাভারে একই স্থানে আবারও চলন্ত বাসে ছিনতাই
Published: 2nd, March 2025 GMT
সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পুলিশ টাউন এলাকায় আবারও চলন্ত বাসের মধ্যে প্রকাশ্যে যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আবারও ছিনতাই হয়েছে। এ সময় ডাকাতরা ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে যাত্রীদের মানিব্যাগ ও মোবাইলসহ মূল্যবান মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। রোববার দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পুলিশ টাউন এলাকায় সাভার পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে এ ঘটনা ঘটেছে।
দুই সপ্তাহ আগে একই স্থানে একইভাবে শুভযাত্রা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে তিন যাত্রীকে ছুরিকাঘাত করে যাত্রীদের মোবাইল, মানিব্যাগসহ মূল্যবান মালামাল ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এর ফলে এই রুটে বিভিন্ন পরিবহনে চলাচলকারী যাত্রীসহ সাধারণ মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ছিনতাইয়ের শিকার বাসযাত্রী নাজমুল হুদা বলেন, দুপুরে আশুলিয়ার শ্রীপুর থেকে সাভার পরিবহনের একটি বাসে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেই। পরে বাসটি ২০-২৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পুলিশ টাউন এলাকায় যাত্রী নেওয়ার জন্য থামলে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে। এসময় ৫-৬ জন ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে বাসের যাত্রীদের মানিব্যাগ ও মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিস ছিনিয়ে নেয়। তারা আমার মোবাইলটি নিয়ে দ্রুত বাস থেকে নেমে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন আগেও একই স্থানে চলন্ত বাসে ছুরিকাঘাতে কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছিলেন। আজ আমি নিজেও প্রকাশ্যে চলন্ত বাসে ছিনতাইয়ের শিকার হলাম। তবে আল্লাহর অশেষ রহমতে যাত্রীদের কোনো ক্ষতি হয়নি। কিন্তু এভাবে প্রতিনিয়ত তারা বাসে উঠে ছিনতাই করছে, এতে আমরা সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত।
সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম বলেন, ‘সাভার পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা শুনেছি। গাড়িটি যাত্রী নিয়ে ঢাকায় চলে গেছে। এরই মধ্যে আমরা গাড়ির চালকের সঙ্গে কথা বলেছি, গাড়িটি থানায় নিয়ে আসতে বলেছি। বিষয়টি জেনে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পুলিশ টাউন এলাকায় শুভযাত্রা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহি চলন্ত বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। সেসময় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে বাসের তিন যাত্রী আহত হয়েছিলেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
স্রোতে ভেসে যাওয়া সেতুটি মেরামত হয়নি আজও
নির্মাণের ৯ মাসের মাথায় বন্যার স্রোতে ভেসে যায় সুন্দরগঞ্জের বেলকা বাজার খেয়াঘাটের ওপর সেতুটি। এরপর ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও সেতুটি মেরামত বা পুনর্নির্মাণ করা হয়নি। ফলে বেলকা ও হরিপুর ইউনিয়নের ২০ হাজার চরবাসীকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের এডিবির অর্থায়নে কংক্রিটের খুঁটির ওপর কাঠের সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। ২৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় উপজেলা পরিষদ। ঠিকাদার শাহানুর ইসলামের পক্ষে সেতু নির্মাণে সাব-ঠিকাদার হিসেবে কাজ করেন বামনডাঙ্গার সাগীর খান। সেতুটির নকশা করেন উপজেলা প্রকৌশলী। গত বছরের ৩০ জুন কাজ শেষ দেখিয়ে ঠিকাদার টাকা ছাড় করিয়ে নেন। ৯ মাস পর গত বছর অক্টোবরে তিস্তায় ভেসে যায় সেতুটির কিছু অংশ। সে সময় জেলা-উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সেতু মেরামত করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত সেতুটি নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন।
বেলকা বাজারের ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাক জানান, বেলকা ও হরিপুর ইউনিয়নের ২০ হাজার চরবাসীর দীর্ঘদিনের চাওয়া-পাওয়ার এখন কী হবে? এ দায় কার? এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
বেলকা চরের শিক্ষার্থী ছানা মিয়া আক্ষেপ করে বলে, সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় চরের শিক্ষার্থীরা খুশি হয়েছিল। কিন্তু উদ্বোধন না হতেই ভেসে গেল তিস্তার স্রোতে। এখন আবার সেই নৌকায় চলতে হবে।
হরিপুর চরের স্কুলশিক্ষক আবদুল জলিল মিয়া বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও সেই সময়ের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের গাফিলতির কারণে সেতুটির এই অবস্থা হয়েছে। এর জন্য এখন জনগণকে খেসারত দিতে হবে। তিনি দ্রুত সেতুটি পুনর্নির্মাণের দাবি জানান।
উপজেলা প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বেলকা খেয়াঘাটের তিস্তার শাখা নদীর ওপর কাঠের সেতু নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা এলজিইডির নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজ কুমার বিশ্বাস জানান, তিনি সবেমাত্র যোগদান করেছেন। এ ঘটনা তাঁর জানা নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।