সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পুলিশ টাউন এলাকায় আবারও চলন্ত বাসের মধ্যে প্রকাশ্যে যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আবারও ছিনতাই হয়েছে। এ সময় ডাকাতরা ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে যাত্রীদের মানিব্যাগ ও মোবাইলসহ মূল্যবান মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। রোববার দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পুলিশ টাউন এলাকায় সাভার পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে এ ঘটনা ঘটেছে।

দুই সপ্তাহ আগে একই স্থানে একইভাবে শুভযাত্রা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে তিন যাত্রীকে ছুরিকাঘাত করে যাত্রীদের মোবাইল, মানিব্যাগসহ মূল্যবান মালামাল ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এর ফলে এই রুটে বিভিন্ন পরিবহনে চলাচলকারী যাত্রীসহ সাধারণ মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ছিনতাইয়ের শিকার বাসযাত্রী নাজমুল হুদা বলেন, দুপুরে আশুলিয়ার শ্রীপুর থেকে সাভার পরিবহনের একটি বাসে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেই। পরে বাসটি ২০-২৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পুলিশ টাউন এলাকায় যাত্রী নেওয়ার জন্য থামলে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে। এসময় ৫-৬ জন ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে বাসের যাত্রীদের মানিব্যাগ ও মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিস ছিনিয়ে নেয়। তারা আমার মোবাইলটি নিয়ে দ্রুত বাস থেকে নেমে পালিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন আগেও একই স্থানে চলন্ত বাসে ছুরিকাঘাতে কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছিলেন। আজ আমি নিজেও প্রকাশ্যে চলন্ত বাসে ছিনতাইয়ের শিকার হলাম। তবে আল্লাহর অশেষ রহমতে যাত্রীদের কোনো ক্ষতি হয়নি। কিন্তু এভাবে প্রতিনিয়ত তারা বাসে উঠে ছিনতাই করছে, এতে আমরা সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত।

সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম বলেন, ‘সাভার পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা শুনেছি। গাড়িটি যাত্রী নিয়ে ঢাকায় চলে গেছে। এরই মধ্যে আমরা গাড়ির চালকের সঙ্গে কথা বলেছি, গাড়িটি থানায় নিয়ে আসতে বলেছি। বিষয়টি জেনে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পুলিশ টাউন এলাকায় শুভযাত্রা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহি চলন্ত বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। সেসময় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে বাসের তিন যাত্রী আহত হয়েছিলেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ নত ই চলন ত ব স

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘পর্যাপ্ত’ সাক্ষ্যপ্রমাণ পেয়েছে তদন্ত সংস্থা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ‘পর্যাপ্ত’ সাক্ষ্যপ্রমাণ পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। এ মামলায় যেকোনো সময় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আজ বুধবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘পর্যাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ তাঁর (শেখ হাসিনার) বিরুদ্ধে পাওয়া গেছে। এটা আদালতে আমরা প্রমাণ করব ইনশা আল্লাহ। সেটার ওপর বাকি তৎপরতা অব্যাহত আছে। আমরা অকাট্যভাবে প্রমাণ করব তাঁর অপরাধ।’

ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা শেখ হাসিনার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করতে ব্যাপক কাজ করেছে বলেও জানান তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন এখনো হাতে আসে নাই। চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে।’

ট্রাইব্যুনাল আইন অনুযায়ী, কোনো মামলায় তদন্ত শেষে প্রথমে চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত সংস্থা। এরপর পর্যালোচনা ও যাচাই শেষে সেই প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়। প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার পর তা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আকারে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন চিফ প্রসিকিউটর বা তাঁর কার্যালয়।

কবে নাগাদ শেখ হাসিনার মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হবে, তা জানতে চাইলে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ফরমাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) দাখিলের প্রক্রিয়া চলছে এখন। …যেকোনো সময় দাখিল হয়ে যাবে।’

গণ–অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে প্রথম মামলা (বিবিধ মামলা বা মিস কেস) হয় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। যেখানে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করা হয়েছে।

এ মামলায় আগামী ২০ এপ্রিল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা রয়েছে। একটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গুম ও খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে, অন্যটিতে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের হত্যা-নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ