ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে ডোবার পানিতে পড়ে আব্দুর রহমান নামে ছয় বছর বয়সি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার তালসার গ্রামের হাজীপাড়ায় তার মৃত্যু হয়। আব্দুর রহমান ওই গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে এক মাত্র ছেলে।

প্রতিবেশী সোহরাব হোসেন জানান, বাড়ির পাশে ডোবা। আব্দুর রহমান সেই ডোবার পাশে খেলছিল। খেলতে খেলতে হঠাৎ করে সে পানিতে পড়ে যায়। এরপর তাঁর স্বজনেরা আশপাশে খোঁজাখুজি করতে থাকে। কিছু সময় পর ওই ডোবার পানিতে তাঁর লাশ ভাসতে দেখে স্বজনেরা।

কোটচাঁদপুরের তালসার পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সমির কুমার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
 

আরো পড়ুন:

বগুড়ার ক্লিনিকে প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ, ভাঙচুর 

মুন্সীগঞ্জে দড়ি ছিঁড়ে নিচে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

ঢাকা/সোহাগ/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

মাদক মামলায় খালাস পেলেন ডা. ঈশিতা

প্রায় চার বছর আগে রাজধানীর শাহ আলী থানায় দায়ে করা মাদক মামলায় ইশরাত রফিক ওরফে ডা. ঈশিতাকে খালাস দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (৩ মার্চ) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্ত্তী খালাসের রায় দেন।

ডা. ঈশিতার আইনজীবী শেখ কানিজ ফাতেমা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, “রাষ্ট্রপক্ষ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। এজন্য আদালত তাকে খালাস দিয়েছেন।”

রায় ঘোষণার সময় ডা. ঈশিতা ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন। খালাস পাওয়ায় আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন তিনি।

২০২১ সালের ১ আগস্ট রাজধানীর মিরপুর থেকে ডা. ঈশিতাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তার বিরুদ্ধে পরদিন ২ আগস্ট ভুয়া পরিচয় দেওয়া, মাদক ব্যবসা, সার্টিফিকেট জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও প্রতারণা আইনে রাজধানীর শাহ আলী থানায় তিনটি মামলা করা হয়। গ্রেপ্তারের ১৪ মাস পর ২০২২ সালের ১ অক্টোবর কারাগার থেকে মুক্তি পান ডা. ঈশিতা।

এর মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ২০২৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ডা. ইশিতাকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন সাইবার ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ২২ নভেম্বর আপিল করা হয় হাইকোর্টে। ওই আপিলের শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৯ মে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক বেঞ্চ তাকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।

১০০ পিস ইয়াবা এবং পাঁচ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার দেখিয়ে ২০২১ সালের ২ আগস্ট শাহ আলী থানায় ডা. ঈশিতার বিরুদ্ধে মামলা করেন র‌্যাব-৪ এর ডিএডি খন্দকার মো. আমির আলী।

মামলা তদন্ত করে র‌্যাব-৪ এর উপ-পরিদর্শক মঈনুল হোসেন ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২৩ সালের ৯ জানুয়ারি এ মামলায় চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করা হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

এদিকে সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম ব্যবহারের দায়ে ডা. ঈশিতার বিরুদ্ধে আরেক মামলায় সম্প্রতি চার্জ গঠন করা হয়েছে।

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ