প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক প্রধান অবসরপ্রাপ্ত লেফেটন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলমের বাসা থেকে ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দুদকের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম অভিযান চালিয়ে তার ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে এ টাকা উদ্ধার করে।

রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায় দুদক কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন এই তথ্য জানান।

আক্তার হোসেন বলেন, ডিজিএফআইয়ের সাবেক প্রধান সাইফুল আলমের বিষয়ে দুদকের একটি অনুসন্ধান চলছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে তার বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে সাইফুল আলমের বাসা থেকে যে টাকা উদ্ধার করা হয়েছে, তা আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলমের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে। একই সঙ্গে তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে থাকা অ্যাকাউন্ট এবং তাদের মালিকানাধীন ব্যবসার ব্যাংক অ্যাকাউন্টও স্থগিত করা হয়।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

জাপানকে ছাড়িয়ে গেছে ক্যালিফোর্নিয়ার অর্থনীতি

জাপানকে ছাড়িয়ে গেছে ক্যালিফোর্নিয়ার অর্থনীতি। যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যটি বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ও ইউএস ব্যুরো অব ইকোনমিক অ্যানালাইসিসের পরিসংখ্যান তুলে ধরে এ তথ্য জানান অঙ্গরাজ্যটির গভর্নর গ্যাভিন নিউসম। খবর বিবিসির

তথ্য অনুসারে, ক্যালিফোর্নিয়ার মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ২০২৪ সালে ৪ দশমিক ১০ ট্রিলিয়ন (লাখ কোটি) ডলার ছুঁয়েছে। যেখানে জাপানের জিডিপির আকার ৪ দশমিক ০১ ট্রিলিয়ন ডলার। অঙ্গরাজ্যটি এখন কেবল সামগ্রিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও জার্মানির চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। 

নিউসম বলেন, ‘ক্যালিফোর্নিয়া কেবল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে না। বরং আমরা গতিপথ ঠিক করছি।’ তবে এই উন্নয়নযাত্রা সামনে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি। নিউসম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির সমালোচনা করেছেন এবং আইনি লড়াইও শুরু করেছেন। তিনি ২০২৮ সালে ডেমোক্র্যাট দলের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। 

যুক্তরাষ্ট্রে শিল্প উৎপাদন ও কৃষিতে ক্যালিফোর্নিয়ার বড় হিস্যা রয়েছে। পাশাপাশি দেশটির দুই বৃহত্তম সমুদ্রবন্দরও সেখানেই অবস্থিত। পাল্টা উচ্চ শুল্ক ৯০ দিন স্থগিত করলেও ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা পণ্যে সব দেশের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। মেক্সিকো ও কানাডার ওপর বাড়তি ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। আর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীনের সঙ্গে রীতিমতো বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। 

ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে আসা চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত আমদানি শুল্ক আরোপ করেছেন এবং তার পাল্টায় মার্কিন পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে চীন। পরে হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, আগের শুল্কের সঙ্গে নতুন শুল্ক যুক্ত হলে কিছু চীনা পণ্যে তা ২৪৫ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। 

শুল্কযুদ্ধের এ পরিস্থিতিতে নিজের অঙ্গরাজ্যের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে উদ্বেগ জানিয়েছেন নিউসম। তিনি বলেন, আমরা যখন এই সাফল্য উদযাপন করছি, তখন বর্তমান ফেডারেল প্রশাসনের বেপরোয়া শুল্ক নীতির কারণে আমাদের অগ্রগতি হুমকির মুখে রয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার অর্থনীতি জাতিকে শক্তি যোগায় এবং এটিকে অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ