ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের সাবেক ডিন ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যতম সদস্য অধ্যাপক ড. শাহিদা রফিক (৭৭) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি বিএনপির বর্ধিত সভায় গিয়ে আহত হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

রবিবার (২ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের এলডি হল প্রাঙ্গণে বিএনপির বর্ধিত সভাস্থলে গর্তে পড়ে আহত হন তিনি। পরে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন শাহিদা রফিক। চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে পরবর্তীতে তাকে ধানমন্ডি ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আরো পড়ুন:

‘দায় ও দরদের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করবে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’

ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের পরিচিতি সভা

তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী প্রবীণ রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার স্ত্রী। ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াও দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ এবং হাঁট-চলা করতে পারেন না বলে জানা গেছে।

অধ্যাপক শাহিদা রফিকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।

সংগঠনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড.

মোর্শেদ হাসান খান এবং যুগ্ম আহ্বায়কদ্বয় অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম ও অধ্যাপক ড. আবুল কালাম সরকার শোকবার্তায় বলেন, “অধ্যাপক শাহিদা রফিকের মতো একজন পণ্ডিতের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত, মর্মাহত এবং পরিবারের ন্যায় সমব্যাথী। পেশাগত জীবনে ড. শাহিদা রফিক ছিলেন অত্যন্ত শৃঙ্খল, অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব ও আদর্শ মানুষ গড়ার কারিগর। তার মৃত্যুতে দেশের শিক্ষাঙ্গণের অপূরণীয় ক্ষতি হলো।”

নেতৃবৃন্দ মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনা করে বলেন, অধ্যাপক শাহিদা রফিক এমন সময় মৃত্যুবরণ করলেন, যখন তার স্বামী সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া গুরুতর অসুস্থ। আমরা মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেন মরহুমা অধ্যাপক শাহিদা রফিককে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন এবং তার স্বামী ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে আরোগ্য দান করেন।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

অনশন প্রত্যাহার করলেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা  

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার। 

এই সিদ্ধান্তের পর বুধবার দিবাগত রাত ১টায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. তানজীম উদ্দিন খান শিক্ষার্থীদের জুস খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করান। পরে শিক্ষার্থীরা অনশনস্থল থেকে নিজ নিজ হলে ফিরে যান।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ জানান, কুয়েটের সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে। অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে। 

শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্যের অপসারণের এক দফা দাবিতে গত ১৫ এপ্রিল থেকে তারা ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু করেন। এরপর গত সোমবার থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ