ডিপিএল শুরু হচ্ছে সোমবার। এবারের আসরে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে খেলবেন তামিম ইকবাল। দলটির অধিনায়কও তিনি।

আবার জানা গেছে, তামিম ডিপিএলে প্রোমোশন পাওয়া নতুন দল গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের ‘নির্বাহী’। বিপিএলে ফরচুন বরিশালে খেলেছেন তামিম। ওই দলের মালিক মিজানুর রহমান গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের মালিকানা নিয়েছেন।

তামিমকে ক্লাবটির ‘নির্বাহী’ করা হয়েছে বলে খবর। ডিপিএলে এক ক্লাবের অধিনায়কত্ব করলেও অন্য ক্লাবের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় স্বার্থ সংঘাত আছে এমনটা মনে করেন না তামিম ইকবাল।

সোমবার সংবাদ মাধ্যমকে তামিম জানান, তিনি গুলশান ক্লাবের মালিক নন। ক্লাবটিকে তিনি স্পন্সর পেতে সহায়তা করেছেন। তা না হলে ক্লাবটির হয়ে খেলা ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে জটিলতা তৈরি হতো।

তামিম বলেন, ‘আমি গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের মালিক নই। আমি শুধু বলেছি, কেবল ক্লাবটির সঙ্গে আছি। এক ক্লাবের নেতৃত্ব দিয়ে অন্য ক্লাবের যুক্ত থাকলে সমস্যা কোথায়? গুলশানের বিপক্ষে দ্রুত আউট হলে আপনারা কি বলবেন, এটা ইচ্ছাকৃত ছিল। আমি এখানে কোন স্বার্থ সংঘাত দেখি না।’

তামিম জানিয়েছেন, তিনি ক্লাবটির জন্য স্পন্সর এনে দিয়েছেন। সেটা না করলে ১৫-২০ জন ক্রিকেটার দল পেতেন না। তার গুলশান ক্লাবের সঙ্গে থাকার বিষয়টি ভিন্নভাবে দেখার আহ্বান করেন দেশ সেরা এই ক্রিকেটার। সব সময় নেতিবাচক দিক না খোঁজার পরামর্শ দেন।

সোমবার শুরু হওয়া ডিপিএলে শুরুতে পারিশ্রমিক জটিলতায় দল পাননি লিটন দাস। তাকে দলে নিয়েছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। প্রথম দিনই তামিমের নেতৃত্বাধীন মোহামেডান মুখোমুখি হবে গুলশান ক্লাবের।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড প এল ড প এল

এছাড়াও পড়ুন:

লক্ষ্মীপুরে দুই গ্রুপের গোলাগুলি, ৬ বছরের শিশু গুলিবিদ্ধ

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুরে দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে আদিবা খাতুন (৭) নামে এক শিশু গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর সদর উপজেলার পূর্ব বশিকপুর এলাকার কাচারি বাড়ি এলাকায় স্থানীয় অহিদ উদ্দিন ও ছোট ইউসুফ গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই গোলাগুলি হয়।

গুলিবিদ্ধ আদিবা খাতুনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আদিবা খাতুন একই উপজেলার পূর্ব বশিকপুর এলাকার ইব্রাহিম খলিলের মেয়ে ও বশিকপুর নুরানী মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বশিকপুর দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। সন্ধ্যার পর এলাকা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। ফলে মানুষ আতঙ্কে সন্ধ্যার আগেই ঘরে ফেরে। কিছুদিন তাদের কার্যকলাপ বন্ধ থাকলেও সম্প্রতি তারা আবারও সক্রিয় হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অহিদ উদ্দিন ও ছোট ইউসুফের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এসময় তাদের কারোর ছোড়া গুলিতে শিশু আদিবা আহত হয়।

গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে সদর হাসপাতাল, পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক পীযুষ চন্দ্র দাস বলেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একটি শিশুকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার পেটে গুলি লেগেছে। গুলি পেট দিয়ে প্রবেশ এবং বের হয়ে যাওয়ার চিহ্ন রয়েছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ