গতকাল শনিবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ক্যাম্পাস নিয়োগ বা রিক্রুটমেন্ট কর্মসূচির আয়োজন করেছে হুয়াওয়ে। বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী এতে অংশ নেন। সেখানে একটি এমসিকিউ পরীক্ষার পর নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়। এই কর্মসূচিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা হুয়াওয়েতে চাকরির সুযোগ পাবেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হুয়াওয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে।

বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে প্রতিভা বিকাশের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হুয়াওয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির এইচআর ডিরেক্টর লিনজিয়াও। তিনি বলেন, ‘আমরা নিয়মিত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট আয়োজন করে থাকি। এটি নতুন স্নাতকদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি দেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।’

বুয়েটের অধ্যাপক ড.

ফোরকান উদ্দিন বলেন, ‘বুয়েটে হুয়াওয়ের ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট কার্যক্রম আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য শিল্প খাতের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন ও কর্মসংস্থানের দারুণ একটি প্ল্যাটফর্ম। একই সঙ্গে এটি চাকরির সুযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনেরও সুযোগ করে দিয়েছে।’

ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘হুয়াওয়ের এই উদ্যোগ আমাদেরকে ভবিষ্যৎ আইটি পেশাজীবী হিসেবে প্রস্তুত হওয়ার দারুণ সুযোগ দিচ্ছে। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে এ ধরনের কার্যক্রম শিল্প সম্পর্কে ধারণা দিয়ে আমাদেরকে সাহায্য করতে পারে। এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, এটি হুয়াওয়েতে সরাসরি আকর্ষণীয় পেশা গড়ার সুযোগ দিচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হুয়াওয়ের সিনিয়র মার্কেটিং ম্যানেজার কৌশিক আহমেদ, সিনিয়র এইচআর ম্যানেজার ফারা নেওয়াজ ও অ্যাসিস্ট্যান্ট এইচআর ম্যানেজার মো. খালিদ হোসেন। এতে বুয়েটের ইইই বিভাগের প্রধান ড. এ বি এম হারুন–উর–রশিদ উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আবার কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে গুগল, এবার এইচআর এবং ক্লাউডে

কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুগল। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বাড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুগল। এআই প্রযুক্তির উন্নয়নে ব্যাপক অর্থ বরাদ্দ করেছে তারা। গুগল ‘পিপল অপারেশনস’ এবং ক্লাউড সংস্থাগুলোর কর্মীদের গত সপ্তাহে জানিয়ে দিয়েছে যে তারা কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছে। অভ্যন্তরীণ পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে গুগল এ কাজ করতে যাচ্ছে। সিএনবিসি এক খবরে এসব তথ্য জানিয়েছে। গত বুধবার ব্লুমবার্গ গুগলের ক্লাউড বিভাগে কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা জানিয়েছে।

গত মঙ্গলবার গুগলের মানবসম্পদ বিভাগের (এইচআর) প্রধান ফিওনা সিকোনির জারি করা একটি স্মারক পেয়েছে সিএনবিসি। স্মারক অনুসারে, গুগল এই মার্চের শুরু থেকে পিপল অপারেশনস, গুগলের মানবসম্পদ বিভাগের মার্কিনভিত্তিক পূর্ণ সময়ের কর্মীদের চাকরি ছাড়ার অফার দেবে এবং এ জন্য ‘ভলান্টারি এক্সিট প্রোগ্রাম’ নামের একটি কর্মসূচিও তৈরি করেছে।

আরও পড়ুনপল্লী উন্নয়ন একাডেমি, বগুড়া নেবে ৫৪ জন২ ঘণ্টা আগে

অর্থ বিভাগের প্রধান আনাত আশকেনাজি বলেছেন, তাঁর শীর্ষ অগ্রাধিকারের মধ্যে একটি হচ্ছে ২০২৫ সালে গুগল এআই অবকাঠামোতে তার ব্যয় সম্প্রসারণ করবে। এর সঙ্গে অগ্রাধিকার আরও ব্যয় হ্রাস করা। ৩ ফেব্রুয়ারি কোম্পানি চতুর্থ ত্রৈমাসিকের আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গুগল প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। আশকেনাজি বলেন, গুগলের এআইয়ের জন্য তীব্র চাহিদা রয়েছে।
এইচআরের ওই স্মারক অনুযায়ী, লেভেল ৪ এবং লেভেল ৫-এর কর্মীরা ১৪ সপ্তাহের বেতন এবং কিছু সুবিধা পাবেন।

আরও পড়ুনআজ থেকে ৪০ দিনের ছুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে৬ ঘণ্টা আগে

গুগলের মুখপাত্র ব্র্যান্ডন অ্যাসবেরি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমাদের বিভিন্ন দলকে আরও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করার জন্য এবং দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যে নিশ্চিত করার জন্য পরিবর্তনগুলো অব্যাহত রাখতে হচ্ছে।’

এ বছরের জানুয়ারিতে গুগলের নির্বাহীরা বলেছিলেন, তাঁরা প্রত্যাশিত কাটছাঁটের আগে কোম্পানির ‘প্ল্যাটফর্ম এবং ডিভাইস’ ইউনিটের যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কর্মীদের ছাটাইয়ে প্রস্তাব দেবেন। এ ইউনিটে ২৫ হাজারের বেশি পূর্ণকালীন কর্মচারী আছেন যাঁরা অ্যান্ড্রয়েড, ক্রোম, ক্রোমওএস, গুগল ফটোস, গুগল ওয়ান, পিক্সেল, ফিটবিট এবং নেস্টে কাজ করেন।

গত কয়েক বছরে গুগল একাধিকবার কর্মী ছাঁটাই করেছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রতিষ্ঠানটি ১২ হাজার কর্মী ছাঁটাই করে, যা তাদের মোট কর্মী সংখ্যার ৬ শতাংশ। এই ছাঁটাইয়ের পেছনে ছিল খরচ কমানো এবং এআই প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির পরিকল্পনা।

আরও পড়ুনকারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে বিশাল নিয়োগ, সংশোধিত পদ ৭৫১০১ মার্চ ২০২৫

২০২৪ সালের ডিসেম্বরে গুগল আবার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেয়। ব্যবস্থাপক, পরিচালক ও ভাইস প্রেসিডেন্ট পদমর্যাদার কর্মীদের মধ্যে ১০ শতাংশ ছাঁটাই করা হয়। এ পদক্ষেপের পেছনে ছিল কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি ও খরচ কমানোর উদ্যোগ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বুয়েট ক্যাম্পাসে কর্মসংস্থান উদ্যোগ
  • আবার কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে গুগল, এবার এইচআর এবং ক্লাউডে