ডিপিএলে ‘নির্বাহী’ আবার অধিনায়কও, স্বার্থ সংঘাত দেখেন না তামিম
Published: 2nd, March 2025 GMT
ডিপিএল শুরু হচ্ছে সোমবার। এবারের আসরে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে খেলবেন তামিম ইকবাল। দলটির অধিনায়কও তিনি।
আবার জানা গেছে, তামিম ডিপিএলে প্রোমোশন পাওয়া নতুন দল গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের ‘নির্বাহী’। বিপিএলে ফরচুন বরিশালে খেলেছেন তামিম। ওই দলের মালিক মিজানুর রহমান গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের মালিকানা নিয়েছেন।
তামিমকে ক্লাবটির ‘নির্বাহী’ করা হয়েছে বলে খবর। ডিপিএলে এক ক্লাবের অধিনায়কত্ব করলেও অন্য ক্লাবের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় স্বার্থ সংঘাত আছে এমনটা মনে করেন না তামিম ইকবাল।
সোমবার সংবাদ মাধ্যমকে তামিম জানান, তিনি গুলশান ক্লাবের মালিক নন। ক্লাবটিকে তিনি স্পন্সর পেতে সহায়তা করেছেন। তা না হলে ক্লাবটির হয়ে খেলা ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে জটিলতা তৈরি হতো।
তামিম বলেন, ‘আমি গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের মালিক নই। আমি শুধু বলেছি, কেবল ক্লাবটির সঙ্গে আছি। এক ক্লাবের নেতৃত্ব দিয়ে অন্য ক্লাবের যুক্ত থাকলে সমস্যা কোথায়? গুলশানের বিপক্ষে দ্রুত আউট হলে আপনারা কি বলবেন, এটা ইচ্ছাকৃত ছিল। আমি এখানে কোন স্বার্থ সংঘাত দেখি না।’
তামিম জানিয়েছেন, তিনি ক্লাবটির জন্য স্পন্সর এনে দিয়েছেন। সেটা না করলে ১৫-২০ জন ক্রিকেটার দল পেতেন না। তার গুলশান ক্লাবের সঙ্গে থাকার বিষয়টি ভিন্নভাবে দেখার আহ্বান করেন দেশ সেরা এই ক্রিকেটার। সব সময় নেতিবাচক দিক না খোঁজার পরামর্শ দেন।
সোমবার শুরু হওয়া ডিপিএলে শুরুতে পারিশ্রমিক জটিলতায় দল পাননি লিটন দাস। তাকে দলে নিয়েছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। প্রথম দিনই তামিমের নেতৃত্বাধীন মোহামেডান মুখোমুখি হবে গুলশান ক্লাবের।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অ
মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছে দেশটির দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি)। তার সাবেক সহকারীদের কাছ থেকে প্রায় ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের নগদ অর্থ ও ১৬ কেজি স্বর্ণবার জব্দের ঘটনায় ইসমাইল সাবরিকে প্রধান সন্দেহভাজনদের মধ্যে রাখা হয়েছে। আগামী বুধবার (৫ মার্চ) তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
স্থানীয় সময় আজ সোমবার (৩ মার্চ) মালয়েশিয়া এমএসিসি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান আজম বাকি।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবর বলছে, ইসমাইল সাবরি ২০২১ সালের আগস্ট থেকে ২০২২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। দেশের সবচেয়ে কম সময়ের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী ইসমাইল সাবরি হলেন তৃতীয় নেতা, যিনি তার পূর্বসূরি মুহিউদ্দিন ইয়াসিন এবং নাজিব রাজাকের পরে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন।
আরো পড়ুন:
নারী কর্মীদের মালয়েশিয়া না যেতে সতর্কতা
আটকেপড়া ৭ হাজার ৯৬৪ বাংলাদেশি কর্মীকে নিতে রাজি মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি) সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কিত সম্পত্তিতে তিনটি অভিযানে মার্কিন ও সিঙ্গাপুর ডলার, সংযুক্ত আরব আমিরাত দিরহাম এবং জাপানি ইয়েনসহ বিভিন্ন মুদ্রায় নগদ অর্থ উদ্ধার করেছে।
সোমবার এমএসিসি প্রধান আজম বাকি সাংবাদিকদের বলেন, “এই নগদ অর্থের সন্ধান নিশ্চিত করে যে (সাবেক প্রধানমন্ত্রী) এই মামলায় একজন সন্দেহভাজন।”
সংবাদ সম্মেলনে কর্মকর্তারা জব্দকৃত নগদ অর্থ, বিলাসবহুল ঘড়ি ও ১৬ কেজি সোনার বার প্রদর্শন করেন।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবর অনুসারে, ইসমাইল সাবরির একজন প্রতিনিধি এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেননি।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নির্বিশেষে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
গত ৮ জানুয়ারি জাতীয় সুশাসন সম্মেলনে তিনি দুনীর্তির বিরুদ্ধে তার জিরো টলারেন্স অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, “আমি কারো অবস্থান বা প্রভাব নিয়ে চিন্তা করি না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা ইতিমধ্যেই এটি শুরু করেছি।
তবে সমালোচকরা আনোয়ারকে দুর্নীতির অভিযোগ ব্যবহার করে বিরোধীদের চুপ করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন, যার মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ এবং প্রয়াত সাবেক অর্থমন্ত্রী দাইম জয়নুদ্দিনও রয়েছেন।আনোয়ার ইব্রাহিম তাদের বিরুদ্ধে পদের মাধ্যমে নিজেদের সমৃদ্ধ করার অভিযোগ এনেছিলেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে মাহাথির মোহাম্মদ আনোয়ার ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে ১৫০ মিলিয়ন রিঙ্গিত মানহানির মামলা দায়ের করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
গত মাসে মাহাথির মোহাম্মদ তার ব্লগে লিখেছিলেন, “আনোয়ার যখন মুখ খোলেন, তখন তিনি মিথ্যা বলেন।”
ঢাকা/ফিরোজ