৩০০–তে ব্যর্থ কোহলি, বেশির ভাগই তাই; একমাত্র সেঞ্চুরিটা কার
Published: 2nd, March 2025 GMT
বিরাট কোহলিকে ৩০০তম ওয়ানডেটা রাঙাতে দিলেন না গ্লেন ফিলিপস। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ডান দিকে পুরো শরীর ভাসিয়ে হাত বাড়িয়ে অবিশ্বাস্য এক ক্যাচ নিয়ে কোহলিকে ফিরিয়েছেন ‘সুপারম্যান’ ফিলিপস। তাতে ২২তম খেলোয়াড় হিসেবে ৩০০তম ওয়ানডে খেলতে নামা কোহলি থামলেন মাত্র ১১ রান করেই।
দুবাইয়ে ভারত-নিউজিল্যান্ডের এই ম্যাচটি যারা জিতবে, তারা ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হবে। সেমিফাইনালে তারা খেলবে ‘বি’ গ্রুপের রানার্সআপ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এমন সমীকরণের ম্যাচে কোহলি ব্যাটিংয়ে নামেন তৃতীয় ওভারেই দলকে ১৫ রানে রেখে শুবমান গিলের বিদায়ের পর। দুই বাউন্ডারিতে ১৩ বলে ১১ রান করার পর ১৪তম বলটিতেই অবিশ্বাস্য ওই ক্যাচের শিকার কোহলি।
৩০০তম ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে ব্যর্থ কোহলি সান্ত্বনা খুঁজতে পারেন ইতিহাস থেকে। ৩০০তম ওয়ানডেতে ব্যাটিংয়ে নেমে বেশির ভাগই যে ব্যর্থ হয়েছেন। কোহলির আগে এই মাইলফলকে পৌঁছানোদের মধ্যে মাত্র চারজনই ফিফটি পেয়েছেন। এ ছাড়া ৪৯ রানে অপরাজিত ছিলেন একজন। ৩০০তম ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নামতে হয়নি চারজনকে। অন্য ১২ জনকে ব্যর্থই বলতে হবে।
৩০০তম ওয়ানডেতে শূন্য রানে আউট হয়েছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিরাটকে ৩০০তম ওয়ানডেতে বিরাট ধাক্কা দিলেন গ্লেন `জন্টি` ফিলিপস
জন্টি রোডস ছিলেন তার সময়ের তুলনায় অনেক এগিয়ে থাকা একজন ক্রিকেটার। এই দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার ফিল্ডিংটাকে পৌঁছে দিয়েছিলেন ভিন্ন মাত্রায়। যেখানে তার মটো ছিল- আকাশ হচ্ছে সীমানা। কালের পরিক্রমায় টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি চালু হওয়ার পর তো হরহামেশাই চোখ ধাঁধানো সব ক্যাচ এবং ফিল্ডিং দেখা যায়। তবে কোনটাই ঠিক রোডসকে মনে করিয়ে দেয় না। যেটা দিচ্ছেন নিউ জিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপস। এই আসরেই দুবার, যার একটি আবার আজ।
আজ (২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চলমান ভারত-নিউ জিল্যান্ডের ম্যাচটা ছিল বিরাট কোহলির ৩০০তম ওয়ানডে। আগের ম্যাচেই সেঞ্চুরি করা এই ৩৬ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান এই ম্যাচেও বেশ আত্মবিশ্বাসের সাথে খেলছিলেন। তবে ম্যাট হেনরির করা ম্যাচের সপ্তম ওভারের চতুর্থ বলে বিরাটের আত্মবিশ্বাসে বিরাট এক ধাক্কা দিয়ে দিলেন ফিলিপস।
বলটা ছিল স্টাম্পের বেশ বাইরে। কোহলি নিলেন দারুণ এক কাট শর্ট। বল গেল বিদ্যুৎ বেগে। তবে কোহলি ব্যাচারার কপাল খারাপ। পয়েন্টে দাঁড়িয়ে ছিলন ফিলিপস। সেখান থেকে এক পা এগিয়ে ডানদিকে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে শূন্যে ভেসে সেই ক্যাচ তালুবন্দি করে ফেলেন ফিলিপস।
আরো পড়ুন:
ব্যাটিংয়ে রোহিত-কোহলিরা; টানা ১৪ টস হার
নিউ জিল্যান্ডের অনেক ‘অর্জনের’ ম্যাচ
বিশ্বাস করতে পারছিলেন না কোহলি বা কোন দর্শক। এমনকি নিউ জিল্যান্ডের বেশিরভাগ ক্রিকেটারের কাছেই অবিশ্বাস্য ঠেকল ব্যাপারটা। তবে একজন ছিলেন একদম নিরুত্তাপ, সেটা স্ব্যং ফিলিপস। এই ২৮ বছর বয়সী অল রাউন্ডারের ভাবখানা এমন যে- এ আর নতুন কি!
আসরের প্রথম ম্যাচেই পাকিসানের অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানের একটা ক্যাচ নিয়ে এভাবেই সবার বিশ্বয় জাগিয়ে তুলেছিলেন ফিলিপস। গতকাল ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে এই অলরাউন্ডারকে মজার ছলেই জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, মাঠে যখন নামেন, তখন হাতে আঠা লাগিয়ে নেন কি না! কিউই বাজপাখির সেটি হেসে উড়িয়ে দিয়ে বলেছিলেন- নাম বলতে পারলে আমারই ভালো লাগত।
স্পিনিং অলরাউন্ডার হিসেবে টেস্ট খেলে ফেলেছেন ফিলিপস। অথচ ক্যারিয়ারের শুরুটা ছিল উইকেট কিপার হিসেবে। সেই সুবাদেই হয়ত এ ধরনের ভ্রম জাগানিয়া ফিল্ডিং করেন ফিলিপস। মাঠের যে কোনো কোণায় এমন সাবলীল ফিল্ডিং করেন, মনে হয় শরীরে চুম্বক লাগানো।
এই ক্যাচের পর একটা ধৃষ্টতা দেখানো যায়। বলা যায় যে, সারা পৃথীবির ফিল্ডাররা একদিকে আর জোন্টি রোডস ও ফিলিপস আরেক দিকে।
ঢাকা/নাভিদ