বাজার অস্থিতিশীলকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে সরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
Published: 2nd, March 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
রমজানে সিন্ডিকেট করে বাজার অস্থিতিশীল না করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, যারা অস্থিতিশীল করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে সরকার।
রোববার (২ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর মিরপুরে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) পুলিশ লাইনস ঘুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গত বছরের তুলনায় বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। অস্থির যাতে না হয় সেদিকে নজর আছে সরকারের।
রোজার মাসে দুই নারীর ওপর হামলার ঘটনায় তিনি বলেন, এই মাসে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে এমন কাজ না করাই ভালো।
এছাড়াও রমজান মাসে সবাইকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, এমন ঘটনা যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেটিও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
এম জি
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
মা-বাবা বেঁচে নেই এখনও জানে না আরাধ্যা
আরাধ্যা বিশ্বাস। ঈদের ছুটিতে মা-বাবার সঙ্গে যাচ্ছিল কক্সবাজার। আশা ছিল স্বপ্নের কক্সবাজারে বেশ ক’দিন মা-বাবার সঙ্গে আনন্দ উল্লাসে কাটাবে সে। তবে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে তার স্থান হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে। দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসে থাকা তার বাবা দিলীপ বিশ্বাস আর মা সাধনা রাণী চলে গেছেন পরপারে। অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে আরাধ্যা। তবে মা-বাবা যে আর বেঁচে নেই তা এখনও জানে না সে। জ্ঞান ফেরার পর থেকেই তাই মা-বাবাকেই খুঁজছে ছোট্ট আরাধ্যা।
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে বুধবার গুরুতর আহত হয় আরাধ্যা বিশ্বাসসহ আরও বেশ কয়েকজন। ঘটনার পর তাদের উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় চমেক হাসপাতালে আনা হয়। পরে আরাধ্যাকে হাসপাতালের ২৮ নম্বর নিউরো সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়। দুর্ঘটনায় তার দুই পায়ের হাড় ভেঙে গেছে। আঘাত পেয়েছে মাথা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে। চিকিৎসকরা বলছেন, জ্ঞান ফিরলেও এখনও ঝুঁকিমুক্ত নয় আরাধ্যা।
জানতে চাইলে চমেক হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. সাইফুল সমকালকে বলেন, শিশু আরাধ্যার পা ভেঙে গেছে। মাথা, হাত, চোখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। জ্ঞান ফিরলেও শঙ্কামুক্ত নয় সে।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দিন সমকালকে বলেন, চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় বুধবার হাসপাতালে পাঁচজনকে আনা হয়। এরমধ্যে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি তিনজনকে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। মা-বাবার মৃত্যু হলেও শিশু আরাধ্য অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে। মা-বাবা যে আর বেঁচে নেই তা এখনও জানে না শিশুটি। ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। তাকে সুস্থ করে তুলতে সবাই আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে একমাত্র মেয়ে আরাধ্যা, স্ত্রী সাধনা রানীসহ কয়েকজন নিকট আত্মীয়কে নিয়ে কক্সবাজার যাচ্ছিলেন দিলীপ কুমার (৪২)। বুধবার ভোরে টঙ্গী থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেও আনন্দের সেই যাত্রা থমকে যায় চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায়। সেখানে নিয়ন্ত্রণ হারানো একটি বাসের সঙ্গে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে মৃত্যু হয় দিলীপ কুমার, তার স্ত্রী সাধনা রানীসহ ১০ জনের।