মাদারীপুরে ৩ খুনের ঘটনায় আ.লীগ ও ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
Published: 2nd, March 2025 GMT
মাদারীপুরের কালকিনিতে তিন খুনের ঘটনাসহ একাধিক মামলার আসামি বাঁশগাড়ির ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ও তার ছোট ভাই ছাত্রলীগ নেতা রাজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২ মার্চ) বেলা ৩টার দিকে মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এদের বিরদ্ধে তিন খুনসহ বোমা বিস্ফোরণ ও মারামারিসহ ২০টি পৃথক মামলা রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো.
গ্রেপ্তারকৃত সুমন কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং তার ভাই রাজন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। কালকিনি উপজেলার বাঁশবাড়ী এলাকায় তাদের নামে সুমন বাহিনী নামে একটি বাহিনী রয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কালকিনির বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এতে ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য আতাউর রহমান আক্তার শিকদার, তার ছেলে মারুফ শিকদার এবং সহযোগী সিরাজ চৌকিদার নিহত হন। এছাড়া বেশ কয়েকজনের পা কেটে ফেলে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় পৃথক তিনটি হত্যা মামলা ও বোমা বিস্ফোরণ, চাঁদাবাজী, মারামারি একাধিক মামলা রয়েছে। তবে তিন খুনের ঘটনায় উচ্চ আদালতে সাময়িক জামিনে রয়েছে। কিন্তু অন্য মামলায় ওয়ারেন্ট রয়েছে।
পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান জানান, বাঁশগাড়ির ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের বিরদ্ধে ৭টি ও তার ছোট ভাই রাজনের বিরদ্ধে ১৩টি পৃথক মামলা রয়েছে। ফলে এরা মাদারীপুর আদালতে কোন একটি মামলায় হাজিরা দিতে আসলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরা কোন মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে, সেটা প্রয়োজনীয় সব মামলা যাচাই করে আদালতে পাঠানো হবে।
তবে এদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকায় কোন না কোন মামলায় গ্রেপ্তার হবেই বলে জানান পুলিশ সুপার।
উল্লেখ্য, মাদারীপুরের কালকিনিতে চাঞ্চল্যকর তিন খুন মামলায় এ পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। বাকি এজাহারনামীয় আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মোস্তাফিজুর রহমান সুমন কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য বলে জানা যায়।
ঢাকা/বেলাল/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
এক বছর আগে সুইমিংপুলে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যুর তদন্ত দাবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুলে শিক্ষার্থী সোয়াদ হকের মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে শাখা গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। গত বছরের ২২ এপ্রিল সোয়াদ হক মারা গিয়েছিলেন।
সোয়াদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার বাদ আসর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়ার আয়োজন করা হয়। এরপর তাঁর মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিতের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেয় গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। সোয়াদ হক বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্মারকলিপিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ৫টি দাবি জানিয়েছে। দাবিগুলো হলো সোহাদের মৃত্যুর যথাযথ কারণ তদন্তপূর্বক নির্ণয় করা। সুইমিংপুলের সংস্কারকাজ দ্রুত শেষ করে তা পুনরায় চালু করা। সাঁতারসহ শরীরচর্চার বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আরও আন্তরিক হওয়া।
সুইমিংপুল এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা এবং পর্যাপ্ত ইকুইপমেন্ট সরবরাহ করা ও প্রশিক্ষক নিয়োগ দেওয়া।
দোয়া মাহফিলে দর্শন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুলে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি২৩ এপ্রিল ২০২৪