আদালত চত্বর থেকে গ্রেপ্তার আ’লীগের ৫ নেতা
Published: 2nd, March 2025 GMT
পিরোজপুর জেলা জজ আদালত চত্বর থেকে রোববার সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের পাঁচ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় আটক নেতাদের ওপর হামলা করেন বিএনপির ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
গত ১৮ অক্টোবর দায়ের করা একটি মামলায় আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতাকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তারা হলেন- ইন্দুরকানী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এম মতিউর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলাউদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি শহিদুল হক খান পান্না, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ফিরোজ ও যুবলীগ নেতা ইরতিজা হাসান রাজু।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা করা হয়। আসামিরা আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। পরে রোববার সকালে জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন আবেদন করেন তারা। রোববার আদালত জামিনের শুনানির দিন ধার্য করেন। এ খবর জানতে পেরে আদালত প্রাঙ্গণে ভিড় করতে থাকেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে আদালত প্রাঙ্গণে মিছিল করে ছাত্রদল। আদালত থেকে আওয়ামী লীগ নেতারা বের হওয়ার সময় বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা করেন। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে খান মো.
পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ আবু নাসের জানান, আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আইসিসি-এসিসির ইভেন্টেও ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ নিয়ে শঙ্কা
ভারতের জম্মু-কাশ্মিরে গত ২২ এপ্রিল সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে পর্যটকসহ অন্তত ২৬জন নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানের দিক থেকে হামলা করার অভিযোগ তোলা হচ্ছে। সন্ত্রাসী এই হামলার প্রেক্ষিতে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক আরও অবনতি হয়েছে। ক্রিকেট সম্পর্কেও তিক্ততার ছোঁয়া লেগেছে।
এরই মধ্যে জানা গেছে, ভারত জানিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানের বিপক্ষে ক্রিকেটে কোন ধরনের সিরিজ খেলবে না তারা। গুঞ্জন ছড়িয়েছে- পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারত আইসিসি ও এসিসির ইভেন্টেও খেলতে চায় না। বিষয়টি পরিষ্কার করে বিসিসিআই চিঠি দিয়েছে আইসিসি ও এসিসিকে (এশিয়া ক্রিকেট কাউন্সিল)।
বিষয়টি নিয়ে বিসিসিআই-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজিব শুকলা জানিয়েছেন, এমন কোন চিঠি দেওয়া হয়নি। তবে এক্ষেত্রে বোর্ড ভারত সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অনুসরণ করবে। বিসিসিআই-এর শীর্ষ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আইসিসি ও এসিসির ইভেন্টে ভারত-পাকিস্তানকে একই গ্রুপে না রাখা বিষয়ক একটি খবর তিনিও পেয়েছেন। তবে নিশ্চিত করতে পারেননি। বিষয়টি সংবেদনশীল হিসেবে দেখছে বিসিসিআই।
চলতি বছরে আইসিসি ও এসিসির দুটি ইভেন্ট আছে। একটি সেপ্টেম্বরে টি-২০ ফরম্যাটের এশিয়া কাপ। অন্যটি সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ। দুটি টুর্নামেন্টেরই আয়োজক বিসিসিআই। এর মধ্যে ছেলেদের এশিয়া কাপ নিরপেক্ষ ভেন্যুতে হবে। সেটি শ্রীলঙ্কা নাকি আরব আমিরাত তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। নারী বিশ্বকাপে পাকিস্তানের নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ম্যাচ খেলার বিষয়টি আগেই চূড়ান্ত করা হয়েছে।
দ্বিপাক্ষিক সিরিজের মতো বড় ইভেন্টেও ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ না খেলার সিদ্ধান্ত নিলে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে আইসিসি ও এসিসি। এই যেমন- চার বছরের জন্য এসিসি এশিয়া কাপের সম্প্রচার স্বর্ত বিক্রি করেছে ১৭০ মিলিয়ন ডলার বা দুই হাজার কোটি টাকা। এশিয়া কাপের প্রতি আসরে ভারত-পাকিস্তান অন্তত দু’বার মুখোমুখি হবে ধরেই এতো টাকায় বিক্রি করা হয়েছে এশিয়া কাপের সম্প্রচার স্বত্ব।
আইসিসি কিংবা এসিসির ইভেন্টে ভারত ও পাকিস্তান মুখোমুখি হবে কিনা তা আগামী মাসে জানা যেতে পারে। হাইব্রিড বা নিরপেক্ষ ভেন্যুতে অনুষ্ঠেয় আগামী সেপ্টেম্বরের এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের সূচি মে মাসে চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও এখন টুর্নামেন্ট ও সূচি ঘোষণা ঝুলে যাওয়ার শঙ্কা বেশি।