পিরোজপুর আদালতে হাজিরা দিতে এসে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদী ও সাক্ষীসহ জেলা আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশ।

পিরোজপুরে রাজনৈতিক মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়ে নিম্ন আদালতে হাজিরা দেওয়ায় পর তাদের অন্য মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার (২ মার্চ) দুপুরে পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রাঙ্গণ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পিরোজপুরের পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ আবু নাসের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

মাহে রমজান সবার জীবনে বয়ে আনুক শান্তি-সুখের বার্তা: তারেক রহমান

বিএনপির বর্ধিত সভায় ঐক্যের ডাক, ভোটের জোর প্রস্তুতিতে চোখ

গ্রেপ্তাররা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাবেক সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিরুদ্ধে দায়ের মামলার বাদী খান মো.

আলাউদ্দিন, পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাবেক সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ও জেলা আওয়ামী লীগ আইন সম্পাদক শহিদুল হক খান পান্না, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ফিরোজ আহম্মেদ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইরতিজা হাসান রাজু, পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান। 

জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন তালুকদার কুমার বলেন, ‘‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর পিরোজপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়ের রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার বাদী খান মো. আলাউদ্দিন, আর শহিদুল ইসলাম পান্না ওই মামলার ৬নং সাক্ষী। তাদের বিরুদ্ধে দায়ের মামলায় নিম্ন আদালতে হাজির হবেন এমন সংবাদে ভিত্তিতে আমরা আদালত প্রাঙ্গনে জড়ো হই এবং তাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মিছিল করি।’’

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুপুরে আসামিরা পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দিতে আসেন। হাজিরা দেওয়া শেষ হলে আদালত থেকে বের হওয়ার সময় অন্য একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি খান মো. আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর একটি নাশকতার মামলায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে বাকি চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পিরোজপুরের পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ আবু নাসের বলেন, আজকে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের একজন গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামি এবং বাকি চারজনকে নাশকতার মামলায় সংশ্লিষ্ট থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আসামিদের আদালতে হাজিরা দিতে আসার খবর পেয়ে পিরোজপুর জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন তালুকদার কুমারের নেতৃত্ব জেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা আসামিদের ধাওয়া দেন।
 

ঢাকা/তাওহিদুল/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত র ক রহম ন গ র প ত র কর ত র ক রহম ন আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

মাদারীপুরে পিকআপকে ধাক্কা দিয়ে যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ১

মাদারীপুরে পিকআপকে ধাক্কা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস সড়কের পাশে খাদে পড়ে মরিয়ম বিবি (৫৫) নামে একজন বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। এসময় আরো অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। 

সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুর সদর উপজেলার সমাদ্দার অংকুর অফিস সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত মরিয়ম বিবি সমাদ্দার এলাকার আজিজুল সরদারের স্ত্রী।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পপুলার পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী লোকাল বাস মাদারীপুর থেকে টেকেরহাট যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে সমাদ্দার এলাকার অংকুর অফিসের সামনে আসলে বিপরীত দিক থেকে আসা পিকআপকে ধাক্কা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এ ঘটনায় এক নারীর মৃত্যু হয় এবং কমপক্ষে ১০ যাত্রী আহত হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতাল ও রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।

সাবলু নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, পিকআপটিকে একটি সাকুরা পরিবহনের বাস ওভারটেক করে চলে যায়। এসময় লোকাল বাসটি চাপ খেয়ে মহাসড়কের পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। পরে বাসটি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে ডানে মোড় দিলে পিকআপের সঙ্গে ধাক্কা লেগে খাদে পড়ে যায়।

মাদারীপুর সদর উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের অফিসার সফিক বলেন, “আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছি এবং আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”

মস্তফাপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, “হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আহত বেশ কয়েকজন। বর্তমানে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক।”

ঢাকা/বেলাল/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ