ফ্যাসিবাদী শাসনামলে ইফতার কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে এবার গণইফতার কর্মসূচি পালন করেছে নবগঠিত গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ।

রবিবার (২ মার্চ) ঢাবির ছাত্র সংসদ কেন্দ্রের মাঠে এ গণইফতার কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এতে হাজারখানেক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন।

গত বছর ফ্যাসিবাদী শাসনামলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) গণ ইফতার কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) গণইফতারের বিরোধিতা করে ছাত্রলীগ।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী খালিদ হাসান বলেন, “গতবার আমাদের এ প্রোগ্রামে ছাত্রলীগ বিরোধিতা করেছিল। বলেছিল এটা শিবিরের প্রোগ্রাম। কিন্তু জালিমের পতনের পর আমরা এখন স্বাধীনভাবে ধর্মীয় কর্মকাণ্ড করতে পারছি‌।” এমন প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন করার জন্য গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

ইফতার পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, “গত বছর সাস্টে যখন ইফতারে বাধা দেয়, তখন আমরা পায়রা চত্বরে গণইফতার করেছিলাম। এ বছর সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে গণইফতারের আয়োজন করেছি। আজ আমাদের ধারণার চেয়েও বেশি শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। আমরা সম্মিলিতভাবে ইফতার আনন্দ উপভোগ করব।”

আর্থিক বিষয়ে তিনি বলেন, “আমাদের ইফতারের খরচ শুভাকাঙ্ক্ষী ও গণচাঁদার মাধ্যমে তোলা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই যারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, তারাও আমাদের আর্থিক সহায়তা করেছেন।”

ঢাবি আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বলেন, “গতবার বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী আমাদের গণইফতারে অংশ নিয়ে স্বৈরাচারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জবাব দিয়েছিল। আমরা চাই ইসলামফোবিয়ার সম্প্রসার না ঘটুক। ইফতারের মাধ্যমে সম্প্রতির পরিবেশ বজায় থাকুক।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইফত র র আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

পৃথিবীর চারপাশে নতুন ধরনের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা

অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে পৃথিবীর চারপাশে ভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের সন্ধান করছিলেন বিজ্ঞানীরা। অবশেষে লুকানো সেই বৈদ্যুতিক শক্তির খোঁজ পাওয়ার দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার একদল বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, নতুন ধরনের এই বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র পৃথিবীর ওপরের বায়ুমণ্ডল জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে। শান্ত কিন্তু শক্তিশালী এই বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র পৃথিবীর ওপরের বায়ুমণ্ডলকে প্রভাবিত করতে সক্ষম। পৃথিবীর বায়ু ও মহাকাশের সংযোগে প্রধান ভূমিকা পালনও করে থাকে এই শক্তি। নাসার এনডুরেন্স মিশনের মাধ্যমে এই ক্ষেত্রের খোঁজ মিলেছে।

পৃথিবীর অনেক ওপরে বায়ুমণ্ডল ধীরে ধীরে পাতলা হতে শুরু করে, এর ফলে সেখানে পরমাণু চার্জযুক্ত কণা ভেঙে হালকা ইলেকট্রন ও ভারী আয়নে পরিণত হয়। সাধারণভাবে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আয়নকে নিচে টেনে নিয়ে আসে আর ইলেকট্রন হালকা বলে ওপরে ভেসে থাকে। কিন্তু বৈদ্যুতিক চার্জ আলাদা থাকতে চায় না। ইলেকট্রন পালাতে শুরু করলে তার সঙ্গে আয়নকে একসঙ্গে ধরে রাখার জন্য একটি বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র তৈরি হয়। এই ক্ষেত্র আয়নকে ওপরে ঠেলে দেয় আর ইলেকট্রনকে ধীর করে দেয়। এই ভারসাম্যকে বিজ্ঞানীরা অ্যাম্বিপোলার বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র বলেন। এটি একটি অদৃশ্য টানাটানির মতো কাজ করে। চার্জকে আলাদা হওয়া থেকে রক্ষা করে। পৃথিবী থেকে ২৫০ থেকে ৭৭০ কিলোমিটার ওপরে এই ক্ষেত্রের উপস্থিতি দেখা যায়। এর প্রভাব সূক্ষ্ম, কিন্তু বেশ শক্তিশালী।

নতুন ধরনের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের বিষয়ে নাসার বিজ্ঞানী গ্লিন কলিনসন বলেন, অ্যাম্বিপোলার ক্ষেত্র কণাকে উত্তপ্ত করার পরিবর্তে শান্তভাবে কণাকে ওপরে নিয়ে যায়, যেখানে অন্যান্য শক্তি সেগুলোকে আরও ওপরের মহাকাশে নিয়ে যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা দেখছেন, এই ক্ষেত্র হাইড্রোজেন আয়নকে সুপারসনিক গতিতে পৃথিবী থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী। মাধ্যাকর্ষণের ঊর্ধ্বমুখী শক্তির চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী এই শক্তি।

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবাহিত চার্জযুক্ত কণার তথ্য জানতে ২০২২ সালের ১১ মে একটি রকেট উৎক্ষেপণ করেছিল নাসার এনডুরেন্স মিশন। রকেটটি পৃথিবীর ওপরে ৭৬৮ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছানোর আগে বায়ুমণ্ডলের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে। সেসব তথ্য পর্যালোচনা করেই নতুন ধরনের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

সূত্র: আর্থ ডটকম

সম্পর্কিত নিবন্ধ