ভর্তিতে কোটার সুবিধা পাবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরাও
Published: 2nd, March 2025 GMT
মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যাদের পাশাপাশি জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪ এ আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদেরও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কোটা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আগের নীতিমালায় ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যাদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা ছিল। এখন এই ৫ শতাংশের মধ্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪ এ আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরাও যুক্ত হবেন।
এ বিষয়ে সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন অফিসে আদেশে বলা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪ এ আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪ এ আহত বা শহীদ পরিবারের সদস্যদের আসন নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্র বা গেজেটের সত্যায়িত কপি আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে এবং ভর্তির সময় মূল কপি দেখাতে হবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ইস্যু করা মুক্তিযোদ্ধা সনদ বা জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪-এ শহীদদের গেজেট যথাযথভাবে যাচাই করে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
তবে, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪-এ আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের পাওয়া না গেলে মেধা তালিকা থেকে এই আসনে ভর্তি করতে হবে। কোনো অবস্থায় আসন শূন্য রাখা যাবে না।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই আদেশ বাস্তবায়নের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ইউনিটের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ মার্চের মধ্যেই: উপাচার্য
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকের (সম্মান) ভর্তির ফলাফল মার্চ মাসের মধ্যে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে ভাষাশহীদ রফিক ভবনের সামনে তিনি এ কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, ‘আজ “সি” ইউনিটের পরীক্ষার মাধ্যমে সব ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম শেষ হচ্ছে। আশা করি মার্চের মধ্যেই সব ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি ঈদের পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করে ক্লাস শুরু করারও পরিকল্পনা রয়েছে। দ্রুত ফলাফল প্রকাশ ও ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট সবাই নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।’
দীর্ঘ চার বছর পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব নিয়মে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে। প্রতি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মোট নম্বর ১০০। এর মধ্যে বহুনির্বাচনী প্রশ্নের জন্য থাকবে ২৪ নম্বর এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য থাকবে ৪৮ নম্বর। এ ছাড়া এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ১২ নম্বর ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ১৬ নম্বর যুক্ত হবে।
ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. মনজুর মোর্শেদ ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সি ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা।’
গত ৩১ জানুয়ারি ই ইউনিটের (চারুকলা অনুষদ), ১৪ ফেব্রুয়ারি ডি-ইউনিট (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ), ১৫ ফেব্রুয়ারি বি-ইউনিট (কলা ও আইন অনুষদ), ২২ ফেব্রুয়ারি এ-ইউনিটের (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ), ২৮ ফেব্রুয়ারি সি ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এ ইউনিটে ৪৪ হাজার ২২৩জন, বি ইউনিটে ৪২ হাজার ৯৭৪ জন, সি ইউনিটে ২০ হাজার ১১২ জন, ডি ইউনিটে ২৪ হাজার ৯৫৬ জন, ই ইউনিটে ১ হাজার ৩৭৫ জন শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) এ ইউনিটে ৮৬০, বি ইউনিটে ৭৮৫, সি ইউনিটে ৫২০, ডি ইউনিটে ৫৯০ এবং ই ইউনিটে ৬০টিসহ মোট ২ হাজার ৮১৫টি আসন রয়েছে।