‘স্টাইপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরিকাম স্কলারশিপ ২০২৫-২৬’–এর বাংলাদেশ থেকে মনোনয়ন পাওয়া শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ তালিকা প্রকাশ করেছে। ব্যাচেলর প্রোগ্রাম, মাস্টার্স প্রোগ্রাম, ওয়ান টায়ার মাস্টার্স (ওটিএম) প্রোগ্রাম ও ডক্টোরাল প্রোগ্রামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

হাঙ্গেরি সরকার ২০১৩ সাল থেকে স্টাইপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরিকাম স্কলারশিপ দিয়ে আসছে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশে চালু হয় এই স্কলারশিপ। এই স্কলারশিপের অধীন টিউশন ফি সম্পূর্ণ ফ্রি। পাশাপাশি পাওয়া যাবে স্বাস্থ্যবিমাও। তবে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট, গ্র্যাজুয়েট ও ডক্টরাল—তিনটির যেকোনো একটিতে আবেদন করতে পারেন শিক্ষার্থীরা। দেশটির ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা যায় এ বৃত্তির আওতায়।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম দেশ হাঙ্গেরি। দেশটির রাজধানী বুদাপেস্টসহ অন্য বড় শহরের মধ্যে রয়েছে দেব্রেসেন আর মিসকালো। শুধু হাঙ্গেরি নয়, ইউরোপের রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক, সামাজিক ও যোগাযোগব্যবস্থার কেন্দ্রস্থল বুদাপেস্ট। এ ছাড়া এ দেশের অধিকাংশ জনবসতি বিখ্যাত দানিউব নদীর কূল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে। হাঙ্গেরি সেনজেনভুক্ত দেশ হওয়ায় ইউরোপের ২৫টি দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া হাঙ্গেরির ৯৯ শতাংশ মানুষ ইংরেজি ভাষা জানে এবং এ ভাষায় কথা বলতে পারে।

স্কলারশিপে যত সুযোগ-সুবিধা—

*সম্পূর্ণ টিউশন ফি প্রদান করবে;

*ডরমিটরিতে বিনা মূল্যে আবাসনের সুবিধা;

*স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা দেবে;

*স্নাতক ও স্নাতকোত্তর চলাকালে বছরে দেবে ৪৩ হাজার ৭০০ হাঙ্গেরিয়ান ফোরিন্ট;

*পিএইচডির জন্য দেবে ১ লাখ ৪০ হাজার হাঙ্গেরিয়ান ফোরিন্ট।

*তালিকা দেখুন এখানে

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন মামলায় গ্রেপ্তার আনিসুল-কামরুলসহ ৬ জন

রাজধানীর কাফরুল থানায় দায়ের হওয়া আতিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া, মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের হওয়া আরেক হত্যা মামলায় আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সোমবার (৩ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালত শুনানি শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও এ কে এম শহীদুল হক।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাফরুল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জুয়েল ইসলাম তাদের আদালতে হাজির করে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই বিকেলে রাজধানীর কাফরুল থানাধীন বিআরটিএ অফিসের পেছনের রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হন আতিকুল ইসলাম। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত ২৩ ডিসেম্বর নিহতের স্বজন ব্যবসায়ী আহসান হাবীব রাজধানীর কাফরুল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলায় আনিসুল হক ৪ নম্বর, সালমান এফ রহমান ৬ নম্বর, কামরুল ইসলাম ৮ নম্বর, কামাল আহমেদ মজুমদার ১০ নম্বর, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ১১ নম্বর ও শহীদুল হক ২৭ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।

ঢাকা/মামুন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ