সিন্ডিকেটগুলোকে গণপিটুনি দেওয়া হোক: ওমর সানী
Published: 2nd, March 2025 GMT
নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ওমর সানী। চলচ্চিত্রে নিয়মিত দেখা না গেলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সরব এই নায়ক। বিভিন্ন বিষয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করতে এ মাধ্যমকে ব্যবহার করেন। এবার সয়াবিন তেলের সংকট নিয়ে কথা বললেন ওমর সানী।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওমর সানী লেখেন, “হঠাৎ করে সয়াবিন তেল উধাও। তার মানে, এখনো আপনাদের হারামিপনা কমে নাই। এই সিন্ডিকেটগুলোকে গণপিটুনির ব্যবস্থা করা ছাড়া আর উপায় নাই।”
সিন্ডিকেট করে যারা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করেন, তাদের উদ্দেশ্যে ওমর সানী বলেন, “দয়া করে সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করবেন না। এগুলো করলে দেখবেন সব হারাতে হবে। কিছুদিন পরে লিভার নাই, কিডনি নাই, ক্যানসার, বউ নাই, বাচ্চা কেই নাই।”
আরো পড়ুন:
শ্রীময়ী আমাকে সংসারী করেছে: কাঞ্চন মল্লিক
মা-বাবা হচ্ছেন কিয়ারা-সিদ্ধার্থ
এদিকে, সানীর সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছেন নেটিজেনরা। সিন্ডিকেট নিয়ে মন্তব্যের ঘরে একজন লিখেছেন, “হোক প্রতিবাদসহ গণ ধোলাই; যেন এই রমজান উপলক্ষে দেশের সমস্ত সিন্ডিকেট ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।” অন্য একজন লিখেছেন, “আল্লাহর লানত এদের ওপর।” তবে এসব মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাননি এই নায়ক।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ওমর স ন
এছাড়াও পড়ুন:
বাবার ঠিকাদারির লাইসেন্স ছিল, জানিয়ে ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্স থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে ‘বাবার ভুলের জন্য’ ক্ষমা চেয়েছেন অন্তবর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি আজ বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে ক্ষমা চান।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্স থাকার বিষয়টি জানিয়ে গতকাল বুধবার রাতে ফেসবুকে পোস্ট দেন এক গণমাধ্যম কর্মী। তিনি বিষয়টির সত্যাসত্য জানতে চান আসিফ মাহমুদের কাছে। আসিফ মাহমুদ খোঁজ করে জানান যে, তাঁর বাবার লাইসেন্স নেওয়ার বিষয়টি সঠিক। আর বিষয়টি তাঁকে জানান বলেও ওই গণমাধ্যম কর্মী তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন। এরপরই আজকে আসিফ মাহমুদ বিষয়টি নিয়ে পোস্ট দিলেন। সেটি হুবুহু তুলে ধরা হলো:
‘প্রথমেই আমার বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
গতকাল রাত ৯ টার দিকে একজন সাংবাদিক কল দিয়ে আমার বাবার নামে ইস্যুকৃত ঠিকাদারি লাইসেন্সের বিষয়ে জানতে চাইলেন। বাবার সাথে কথা বলে নিশ্চিত হলাম তিনি জেলা পর্যায়ের (জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার এর কার্যালয় থেকে ইস্যুকৃত) একটি লাইসেন্স করেছেন। বিষয়টি উক্ত সাংবাদিককে নিশ্চিত করলাম। তিনি পোস্ট করলেন, নিউজও হলো গণমাধ্যমে। নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে তাই ব্যাখ্যা দেয়ার প্রয়োজনবোধ করলাম।
আমার বাবা একজন স্কুল শিক্ষক। আকুবপুর ইয়াকুব আলী ভুঁইয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। স্থানীয় একজন ঠিকাদার কাজ পাওয়ার সুবিধার্থে বাবার পরিচয় ব্যবহার করার জন্য বাবাকে লাইসেন্স করার পরামর্শ দেন। বাবাও তার কথায় জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার থেকে একটি ঠিকাদারি লাইসেন্স করেন। রাষ্ট্রের যেকোন ব্যক্তি ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে যেকোন লাইসেন্স করতেই পারে। তবে আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বরত থাকা অবস্থায় বাবার ঠিকাদারি ব্যবসায় জড়ানো স্পষ্টভাবেই কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট। বিষয়টি বোঝানোর পর আজ বাবার আবেদনের প্রেক্ষিতে লাইসেন্সটি বাতিল করা হয়েছে।
বাবা হয়তো কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের বিষয়টি বুঝতে পারেন নি, সেজন্য বাবার পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
উল্লেখ্য, মধ্যবর্তী সময়ে উক্ত লাইসেন্স ব্যবহার করে কোনো কাজের জন্য আবেদন করা হয়নি।’