১৫ বছর পর কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের ইমামতির দায়িত্ব ফেরত পেলেন মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ ছাইফুল্লাহ। আজ রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় তাঁকে এই দায়িত্বে পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ঈদগাহ মাঠ পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এরশাদ মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবুল খায়ের মোহাম্মদ ছাইফুল্লাহ কিশোরগঞ্জ শহরের বড় বাজার মসজিদের খতিব। তাঁর বাবা আবুল খায়ের মোহাম্মদ নূরুল্লাহ শোলাকিয়া মাঠের সাবেক ইমাম এবং ভাই ওয়ালিওল্লাহ রাব্বানি জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

আজকে সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান। এতে ঈদের জামাত সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য নিরাপত্তাব্যবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবারও শোলাকিয়ায় ঈদুল ফিতরের জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। নিরাপত্তাব্যবস্থায় পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি ছাড়াও সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে। দূরদূরান্ত থেকে আসা মুসল্লিদের সুবিধার্থে রেলওয়ে ‘শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল’ নামে দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করবে।

প্রস্তুতিমূলক সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী, সেনাবাহিনীর মেজর রায়হান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তারী কাদেরী, সিভিল সার্জন সাইফুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের আমির রমজান আলী ও ঈদগাহ মাঠ পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদ মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

হয়বতনগর এ ইউ কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ আবুল খায়ের মোহাম্মদ নূরুল্লাহ টানা ৩০ বছর শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের ইমামতি করেন। ২০০৩ সালে বার্ধক্যের কারণে এ দায়িত্ব থেকে তিনি সরে যান। ২০০৪ সাল থেকে তাঁর ছেলে আবুল খায়ের মোহাম্মদ ছাইফুল্লাহ শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের ইমামতি করেন। ২০০৯ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করার পর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ছাইফুল্লাহকে ইমামতির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়। পরে ইমামতির দায়িত্ব পান ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ। গত বছর ৫ আগস্ট গণ–অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রামপুরা থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় ফরীদ উদ্দীন মাসউদকে আসামি করা হয়। তখন থেকে তিনি পলাতক।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ডিপিএলে ছাড়পত্র পাচ্ছেন না বিপিএলের কোচ

বিসিবির কোচদের চুক্তিতে আছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) বা বিপিএলের যে কোনো একটিতে অবৈতনিক কাজ করার সুযোগ পাবেন। বিপিএলে বেশ কয়েকজন কোচ সেভাবে কাজ করেছেন। তাদেরই কয়েকজন ডিপিএলে কাজ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন। 

মোহামেডানের কোচ মিজানুর রহমান বাবুল ও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের কোচ তুষার ইমরানকে ছাড়পত্র দেয়নি বিসিবি। বিশেষ বিবেচনায় কাজ করার অনুমতি চেয়ে বোর্ডের কাছে আবেদনও করেছেন তারা। গেম ডেভেলপমেন্টের ম্যানেজার আবু ইমান মো. কাউসার জানান, কোচ ছাড়াও তিন থেকে চারজন টেকনিক্যাল স্টাফ ডিপিএলে কাজ করার অনুমতি চেয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ