ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালি, ধামাইল, মাইজভান্ডারি, ভাদু-টুসু, বিচ্ছেদীসহ লোকসংস্কৃতির বৈচিত্র্যময় গান নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে দিনভর সংগীত উৎসব হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার উৎসবের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ।
সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান প্রিয়াংকা গোপ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’ এবং ‘এমন মানব জনম আর কি হবে’—লালন সাঁইয়ের দুই গানে উৎসবটি উদ্বোধন করা হয়েছে। উৎসবের প্রতিপাদ্য ছিল ‘ঐতিহ্য ও আধুনিকতায় বাংলার লোকগান’। এতে সংগীত বিভাগের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন।
বিভাগের শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং আমন্ত্রিত শিল্পীদের পরিবেশনায় ফুটে উঠেছে বাংলা লোকগানের নানা ধারা। এর মধ্যে হাসন রাজা, জসীমউদ্দীন, জালালউদ্দিন খাঁ, আবদুল করিম খাঁর গান পরিবেশন করা হয়ছে। আমন্ত্রিত অতিথিদের পরিবেশনায় ঐতিহ্যবাহী কবির লড়াই, বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় ‘সোনাই মাধব’ পালা মঞ্চস্থ হয়েছে। মানিকগঞ্জের কবিগানের নিত্য গোপাল সরকারের দল পরিবেশন করছেন গ্রাম ও শহরের জীবনযাত্রা বিষয়ে কবির লড়াই।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান, বিশেষ অতিথি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য (প্রশাসন) সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, কলা অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান। অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করছেন অধ্যাপক ওয়াকিল আহমদ।
আয়োজনে আমন্ত্রিত অতিথিরা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আগামীতে আরও বড় পরিসরে ঈদ আনন্দ উৎসবের ঘোষণা আসিফ মাহমুদের
শাহী ঘোড়া, ঘোড়ার গাড়ি, ব্যান্ড পার্টি ও বাদ্যযন্ত্রসহ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে সুলতানি মোঘল আমলের কায়দায় রাজধানীতে ঈদ আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী বছর থেকে আরও বড় পরিসরে এই ঈদ উৎসবের আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
সোমবার (৩১ মার্চ) জাতীয় সংসদের সামনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত ঈদ আনন্দ উৎসবের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘‘সবাইকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা। আজকের এই আনন্দের দিনে আমি মনে করতে চাই সেসব শহীদ ভাইদের কথা, যাদের কারণে আজকের ঈদ এতো আনন্দময় হয়েছে। তাদের আত্মত্যাগের কারণেই আজ শতবর্ষী ঈদ উদযাপনের যে ঐতিহ্য, তা আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে। আগামী বছরও একইভাবে আমরা নগরবাসী ঈদ উদযাপন করব।’’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘‘ঈদের দিন ঘরে বসে আমাদের আর ঈদ পালন করতে হবে না। আমরা ঈদ আনন্দ করব, ঈদ মিছিল করব। একে অপরের সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেব। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে ঈদ উৎসবের আয়োজন করব।’’
ঢাকা/হাসান//