রূপগঞ্জের মিঠাবতে মসজিদ কমিটির সভাপতি পদ নিয়ে বিএনপি ও নিষিদ্ধ ঘোষিত নামধারী ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতা রোমান, অংকন, সৈকত, সোহেল, সাদ্দাম, অঞ্জন, রঞ্জন, সজিবসহ আরো ২০-২৫ জন ভাড়াটে লোকজন নিয়ে হামলা চালায়। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের মিঠাবো এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী জানান, উপজেলার মিঠাবো জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদ নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে এলাকায় অসন্তোষ বিরাজ করছিল। দীর্ঘদিন ধরে মসজিদ কমিটির সভাপতির পদ কুক্ষিগত করে রাখায় মিঠাবো এলাকার বিএনপি নেতা শুক্কুল আলী মোল্লা বাঁধ সাধে।

এ নিয়ে সমাজের লোকজনের মধ্যে গত দুই সপ্তাহ ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এলাকাবাসী শুক্কুর আলী মোল্লার পক্ষে থাকলেও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা ছাত্রলীগ নেতা রোমান, অংকন, সৈকত, সোহেল, সাদ্দাম, অঞ্জন, রঞ্জন, সজিবের নেতৃত্বে একটি পক্ষ বিরোধীতা করে আসছিল।

এদিকে গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর একপক্ষ শুক্কুর আলীকে সভাপতি ঘোষণা দেন। এ নিয়ে শুক্কুর আলী ও তার লোকজনের সাথে অপরপক্ষ তর্কে জড়ায়। এ ঘটনায় শুক্কুর আলী বাদি হয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করেন। এদিকে গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর শুক্কুর আলীকে মামলার কারণ জানতে চাইলে উভয়পক্ষের মধ্যে পুনরায় কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এর জের ধরে বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে শুক্কুর আলীর দোকানপাটে হামলা চালিয়ে ছাত্রলীগ নেতা অংকন ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে। এ সময় উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়। আহতদের রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহের জন্য আওয়ামী লীগের দোসররা ছাত্রলীগ নেতাদের ছাত্রদল নেতা বানানোর চেষ্টা করছেন। ছাত্রলীগ নেতা রোমান, অংকন, সৈকত, সোহেল, সাদ্দাম, অঞ্জন, রঞ্জন, সজিব ও তাদের লোকজন ৫ আগস্টের আগেও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল।

হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা রোমান, অংকন, সৈকত, সোহেল, সাদ্দাম, অঞ্জন, রঞ্জন, সজিব, অংকনের চাচা মুরাদ ও সৈকতসহ অন্তত ২৫/৩০জন হামলা ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। 

এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, মসজিদের সভাপতির পদ নিয়ে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনী ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ শ ক ক র আল র ল কজন র পগঞ জ এল ক য় এ ঘটন মসজ দ

এছাড়াও পড়ুন:

চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা: খালেদা জিয়ার খালাসের রায় বহাল

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাত বছরের দণ্ড থেকে হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

সোমবার (৩ মার্চ) সকালে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই রায় দেন। হাইকোর্টের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আপিল খারিজ করে আজ রায় দেন আপিল বিভাগ।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন- ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম।

আরো পড়ুন:

নাটোরে ১৩ মামলার আসামি যুবলীগ নেতা কালিয়া গ্রেপ্তার

হেফাজতে নির্যাতন 
সাবেক মন্ত্রীর বান্ধবীসহ পুলিশ সদস্যের নামে মামলা 

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসিফ হোসাইন।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের দণ্ড থেকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক। 

গত বছরের ৩ নভেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক নিজ খরচে তৈরির অনুমতি দেন হাইকোর্ট। ২০ নভেম্বর আপিল শুনানি শুরু হয়। সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করে গত ২৭ নভেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়াকে সাত বছরের দণ্ড থেকে খালাস দেন।

২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ