তামিমের সহায়তায় অবশেষে দল পেলেন লিটন
Published: 2nd, March 2025 GMT
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিডিসিএল) দল বদল শেষ হয়ে গেলেও কোনো ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি করতে পারেননি লিটন দাস। অফ-ফর্মের কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল থেকে বাদ পড়া এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার অবশেষে তামিম ইকবালের সহায়তায় দল পেয়েছেন।
ঢাকা লিগ শুরুর আগের দিন মিপুর শের-ই-বাংলায় সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি নিজেই নিশ্চিত করেছেন তামিম, “লিটন দল পেয়েছে, সে গুলশানে খেলবে।”
কদিন আগে এই ক্লাবের মালিকানায় যুক্ত হয়েছেন তামিম। ফরচুন বরিশালের মালিক মিজানুর রহমানের সঙ্গে যৌথভাবে বিনিয়োগ করেছেন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক।
আরো পড়ুন:
প্রিমিয়ার লিগে মোস্তাফিজের অনাগ্রহ কেন?
নাটকীয়তার পর ‘আবাহনীর আফিফ’ এখন রূপগঞ্জের
“আমার কাছে একটা সুযোগ ছিল যে মিজান ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে লিটনকে গুলশানে নিতে পেরেছি। গুলশানে অনেক তরুণ ক্রিকেটার আছে ওরা লিটনের থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবে” -বলেছেন তামিম।
পাওনা নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় মূলত লিটনের ক্লাব পেতে সমস্যা হয়। এরপরই এগিয়ে আসেন তামিম। এদিকে লিটন দল পেলেও মোস্তাফিজুর রহমান এখনো পাননি। সেটিকে দূর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়ে তামিম বলেছেন, মোস্তাফিজও দল পেয়ে যেতে পারেন।
তামিম বলেন, “মোস্তাফিজেরটা আমি জানিনা কিন্তু এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক, যদিও এরকম হয়ে থাকে। এরা জাতীয় দলের খেলোয়াড়, এদের অবশ্যই এই লিগে খেলা উচিত।’’
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পৃথিবীর চারপাশে নতুন ধরনের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা
অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে পৃথিবীর চারপাশে ভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের সন্ধান করছিলেন বিজ্ঞানীরা। অবশেষে লুকানো সেই বৈদ্যুতিক শক্তির খোঁজ পাওয়ার দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার একদল বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, নতুন ধরনের এই বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র পৃথিবীর ওপরের বায়ুমণ্ডল জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে। শান্ত কিন্তু শক্তিশালী এই বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র পৃথিবীর ওপরের বায়ুমণ্ডলকে প্রভাবিত করতে সক্ষম। পৃথিবীর বায়ু ও মহাকাশের সংযোগে প্রধান ভূমিকা পালনও করে থাকে এই শক্তি। নাসার এনডুরেন্স মিশনের মাধ্যমে এই ক্ষেত্রের খোঁজ মিলেছে।
পৃথিবীর অনেক ওপরে বায়ুমণ্ডল ধীরে ধীরে পাতলা হতে শুরু করে, এর ফলে সেখানে পরমাণু চার্জযুক্ত কণা ভেঙে হালকা ইলেকট্রন ও ভারী আয়নে পরিণত হয়। সাধারণভাবে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আয়নকে নিচে টেনে নিয়ে আসে আর ইলেকট্রন হালকা বলে ওপরে ভেসে থাকে। কিন্তু বৈদ্যুতিক চার্জ আলাদা থাকতে চায় না। ইলেকট্রন পালাতে শুরু করলে তার সঙ্গে আয়নকে একসঙ্গে ধরে রাখার জন্য একটি বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র তৈরি হয়। এই ক্ষেত্র আয়নকে ওপরে ঠেলে দেয় আর ইলেকট্রনকে ধীর করে দেয়। এই ভারসাম্যকে বিজ্ঞানীরা অ্যাম্বিপোলার বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র বলেন। এটি একটি অদৃশ্য টানাটানির মতো কাজ করে। চার্জকে আলাদা হওয়া থেকে রক্ষা করে। পৃথিবী থেকে ২৫০ থেকে ৭৭০ কিলোমিটার ওপরে এই ক্ষেত্রের উপস্থিতি দেখা যায়। এর প্রভাব সূক্ষ্ম, কিন্তু বেশ শক্তিশালী।
নতুন ধরনের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের বিষয়ে নাসার বিজ্ঞানী গ্লিন কলিনসন বলেন, অ্যাম্বিপোলার ক্ষেত্র কণাকে উত্তপ্ত করার পরিবর্তে শান্তভাবে কণাকে ওপরে নিয়ে যায়, যেখানে অন্যান্য শক্তি সেগুলোকে আরও ওপরের মহাকাশে নিয়ে যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা দেখছেন, এই ক্ষেত্র হাইড্রোজেন আয়নকে সুপারসনিক গতিতে পৃথিবী থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী। মাধ্যাকর্ষণের ঊর্ধ্বমুখী শক্তির চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী এই শক্তি।
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবাহিত চার্জযুক্ত কণার তথ্য জানতে ২০২২ সালের ১১ মে একটি রকেট উৎক্ষেপণ করেছিল নাসার এনডুরেন্স মিশন। রকেটটি পৃথিবীর ওপরে ৭৬৮ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছানোর আগে বায়ুমণ্ডলের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে। সেসব তথ্য পর্যালোচনা করেই নতুন ধরনের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
সূত্র: আর্থ ডটকম