জন্টি রোডস ছিলেন তার সময়ের তুলনায় অনেক এগিয়ে থাকা একজন ক্রিকেটার। এই দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার ফিল্ডিংটাকে পৌঁছে দিয়েছিলেন ভিন্ন মাত্রায়। যেখানে তার মটো ছিল- আকাশ হচ্ছে সীমানা। কালের পরিক্রমায় টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি চালু হওয়ার পর তো হরহামেশাই চোখ ধাঁধানো সব ক্যাচ এবং ফিল্ডিং দেখা যায়। তবে কোনটাই ঠিক রোডসকে মনে করিয়ে দেয় না। যেটা দিচ্ছেন নিউ জিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপস। এই আসরেই দুবার, যার একটি আবার আজ।

আজ (২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চলমান ভারত-নিউ জিল্যান্ডের ম্যাচটা ছিল বিরাট কোহলির ৩০০তম ওয়ানডে। আগের ম্যাচেই সেঞ্চুরি করা এই ৩৬ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান এই ম্যাচেও বেশ আত্মবিশ্বাসের সাথে খেলছিলেন। তবে ম্যাট হেনরির করা ম্যাচের সপ্তম ওভারের চতুর্থ বলে বিরাটের আত্মবিশ্বাসে বিরাট এক ধাক্কা দিয়ে দিলেন ফিলিপস।

বলটা ছিল স্টাম্পের বেশ বাইরে। কোহলি নিলেন দারুণ এক কাট শর্ট। বল গেল বিদ্যুৎ বেগে। তবে কোহলি ব্যাচারার কপাল খারাপ। পয়েন্টে দাঁড়িয়ে ছিলন ফিলিপস। সেখান থেকে এক পা এগিয়ে ডানদিকে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে শূন্যে ভেসে সেই ক্যাচ তালুবন্দি করে ফেলেন ফিলিপস।

আরো পড়ুন:

ব্যাটিংয়ে রোহিত-কোহলিরা; টানা ১৪ টস হার

নিউ জিল্যান্ডের অনেক ‘অর্জনের’ ম্যাচ

বিশ্বাস করতে পারছিলেন না কোহলি বা কোন দর্শক। এমনকি নিউ জিল্যান্ডের বেশিরভাগ ক্রিকেটারের কাছেই অবিশ্বাস্য ঠেকল ব্যাপারটা। তবে একজন ছিলেন একদম নিরুত্তাপ, সেটা স্ব্যং ফিলিপস। এই ২৮ বছর বয়সী অল রাউন্ডারের ভাবখানা এমন যে- এ আর নতুন কি!

আসরের প্রথম ম্যাচেই পাকিসানের অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানের একটা ক্যাচ নিয়ে এভাবেই সবার বিশ্বয় জাগিয়ে তুলেছিলেন ফিলিপস। গতকাল ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে এই অলরাউন্ডারকে মজার ছলেই জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, মাঠে যখন নামেন, তখন হাতে আঠা লাগিয়ে নেন কি না! কিউই বাজপাখির সেটি হেসে উড়িয়ে দিয়ে বলেছিলেন- নাম বলতে পারলে আমারই ভালো লাগত।

স্পিনিং অলরাউন্ডার হিসেবে টেস্ট খেলে ফেলেছেন ফিলিপস। অথচ ক্যারিয়ারের শুরুটা ছিল উইকেট কিপার হিসেবে। সেই সুবাদেই হয়ত এ ধরনের ভ্রম জাগানিয়া ফিল্ডিং করেন ফিলিপস। মাঠের যে কোনো কোণায়  এমন সাবলীল ফিল্ডিং করেন, মনে হয় শরীরে চুম্বক লাগানো।

এই ক্যাচের পর একটা ধৃষ্টতা দেখানো যায়। বলা যায় যে, সারা পৃথীবির ফিল্ডাররা একদিকে আর জোন্টি রোডস ও ফিলিপস আরেক দিকে। 
 

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: আবারও উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা

উপাচার্যের একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তে বারবার অশান্ত হয়ে উঠছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি)। গত ২৩ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক ড. শুচিতা শারমিন উপাচার্য নিযুক্ত হওয়ার পর গত ৭ মাসে একাধিকবার তাঁর পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ ইংরেজি বিভাগের  অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দিনকে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর আখ্যা দিয়ে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিল থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিবাদে তারা আবারও আন্দোলনে নেমেছেন। ড. মুহসিনকে পুনর্বহাল ও উপাচার্যকে ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীরা সোমবার ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন।

ড. মুহসিন জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে এবং উপাচার্যের আস্থাভাজন শিক্ষকরা আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলেন– তাঁর একটি ভার্চুয়াল সভার অডিও গত শনিবার ভাইরাল হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগের দিন ৪ আগস্ট তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া আওয়ামী লীগপন্থি শিক্ষকদের নিয়ে ওই সভাটি করেছিলেন। অডিও ভাইরাল হওয়ার পর ড. মুহসিনকে পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার দুপুরে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও পরে উপাচার্যের দপ্তরে গিয়ে শিক্ষার্থীরা ৪ দফা দাবিসংবলিত স্মারকলিপি দেন। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। দাবিগুলো হলো– অধ্যাপক মুহসিন উদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা-অপমানজনক অপবাদ প্রত্যাহার, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য পদে পুনর্বহাল; অবসরের পর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে অপসারণ; ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের দোসর শিক্ষকদের লাভজনক কমিটি থেকে অপসারণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃশ্যমান উন্নয়ন না করে একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসন করায় উপাচার্যকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া।

আন্দোলনকারীদের অন্যতম ইংরেজি চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিন খান জানান, একজন নিরপরাধ শিক্ষককে মিথ্যা অপবাদ দেওয়ায় সাধারণ শিক্ষর্থীরা ক্ষুব্ধ। সোমবার তারা উপাচার্যের দপ্তরে গিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন। তারা জেনেছেন, গতকাল তিনি ক্যাম্পাসে ছিলেন না। চার দফা দাবি না মানলে বড় আন্দোলন গড়ে তুলবেন। 

উপাচার্যের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ
ড. শুচিতা যোগদানের পরই শিক্ষার্থীরা অভিযোগ তোলেন, তিনি রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর অনুসারী। জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের ৩৫০ বিশিষ্টজন গত বছর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সমর্থনে বিবৃতি দিয়েছিলেন। উপাচার্যও সেই বিবৃতিদাতাদের একজন। এ ছাড়া কলিমুল্লাহকে ববির একাডেমিক কাউন্সিলর, পরীক্ষা কমিটি ও পূর্বের চাকরি গণনা কমিটির সদস্য করা হলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রত্যাহার করেন তিনি। 

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানীর অভিযোগ, তিনি সব একাডেমিক কাজের প্রশাসনিক তত্ত্বাবধান করবেন। কিন্তু উপাচার্য তাঁকে বাদ দিয়েই নথিভিত্তিক ও সভাভিত্তিক একাডেমিক সিদ্ধান্ত নেন। কোষাধ্যক্ষ ড. মামুন অর রশিদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিতে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত চেক কোষাধ্যক্ষ এবং তদূর্ধ্ব চেক উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ যৌথ স্বাক্ষর করবেন। কিন্তু উপাচার্য সব চেকে একাই স্বাক্ষর করেন। এসব অভিযোগ এর আগে শিক্ষার্থীরা দুইবার উপচার্যের পদত্যাগে এক দফার আন্দোলনে নেমেছিলেন। গত ২৮ নভেম্বর তাঁর কক্ষে তালাও লাগিয়েছিলেন তারা। 

শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে বক্তব্য জানতে উপাচার্য ড. শুচিতা শারমিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল ও মেসেজ দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি। পরে সোমবার রাতে তাঁর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা সাকিব হোসেন জানান, উপাচার্য সারাদিন একাধিক বৈঠক করেছেন। এখন তিনি বিশ্রামে রয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈরুতে ইসরায়েলি হামলা, ইসলামপন্থী নেতা নিহত
  • নেতৃত্বশূন্য পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ কী
  • পদ্মাপাড়ের মাটি বিক্রি করছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা, হুমকিতে পুলিশ একাডেমিসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা
  • যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীও মনে করেন, ট্রান্স নারী মানেই নারী নন
  • সিটি কলেজের স্থাপনায় হামলা পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখেছে: ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ
  • মহানবীকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে মহাখালী-সাতরাস্তা সড়ক অবরোধ
  • শাশুড়িকে নারীর চোখে ‘দানব’ বানায় কে
  • সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে সময় বাড়ানো হলো আরও ৬ মাস
  • ‘মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে ট্রেনিং-রিসার্চকে গুরুত্ব দিতে হবে’
  • বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: আবারও উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা