খুলনা নগরীর কসাই আরিফ শেখ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি কসাই জুয়েল শেখের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকাল ১১টার দিকে রূপসা উপজেলার সেনেরবাজার এলাকায় নদীর চর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কসাই জুয়েল রূপসা উপজেলার সিংহেরচর এলাকার জহুর শেখের ছেলে।

রূপসা থানার ওসি মো. মাহফুজুর রহমান জানান, রূপসা উপজেলার সেনেরবাজার এলাকার মাংস বিক্রির টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ৩ কসাইয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। কসাই জুয়েল শেখ ও রুবেল শেখ আরেক কসাই আরিফকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। আরিফকে বেসরকারি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পরপর স্থানীয় লোকজন কসাই জুয়েল শেখকে ধাওয়া করলে আত্মরক্ষার্থে পাশের নদীতে ঝাঁপ দেন। পরবর্তীতে তার আর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজ সকালে নদীতে মরদেহ দেখে লোকজন থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে স্থানীয়রা মরদেহটি জুয়েল শেখের বলে শনাক্ত করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, খুলনা নগরীর ইকবাল নগর এলাকার মাংস ব্যবসায়ী আরিফ পাওনা আড়াই লাখ টাকা চাইতে শুক্রবার সন্ধ্যায় রূপসা উপজেলার সেনেরবাজারে রুবেলে মাংসের দোকানে যান। সেখানে গেলে রুবেল ও তার ভাই জুয়েলের সঙ্গে আরিফের কথা কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে তারা আরিফকে চাপাতি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। পরে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় শনিবার আরিফের বাবা আলী হোসেন শেখ বাদি হয়ে জুয়েল ও রুবেলসহ ৫ জনকে আসামি করে রূপসা থানায় মামলা করেন। তবে জুয়েলের মৃত্যুর ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপজ ল র স র এল ক মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

এক বছর আগে সুইমিংপুলে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যুর তদন্ত দাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুলে শিক্ষার্থী সোয়াদ হকের মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে শাখা গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। গত বছরের ২২ এপ্রিল সোয়াদ হক মারা গিয়েছিলেন।

সোয়াদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার বাদ আসর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়ার আয়োজন করা হয়। এরপর তাঁর মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিতের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেয় গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। সোয়াদ হক বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।

স্মারকলিপিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ৫টি দাবি জানিয়েছে। দাবিগুলো হলো সোহাদের মৃত্যুর যথাযথ কারণ তদন্তপূর্বক নির্ণয় করা। সুইমিংপুলের সংস্কারকাজ দ্রুত শেষ করে তা পুনরায় চালু করা। সাঁতারসহ শরীরচর্চার বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আরও আন্তরিক হওয়া।

সুইমিংপুল এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা এবং পর্যাপ্ত ইকুইপমেন্ট সরবরাহ করা ও প্রশিক্ষক নিয়োগ দেওয়া।

দোয়া মাহফিলে দর্শন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  

আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুলে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি২৩ এপ্রিল ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ