হত্যা মামলার আসামি কসাই জুয়েলের মরদেহ মিলল নদীতে
Published: 2nd, March 2025 GMT
খুলনা নগরীর কসাই আরিফ শেখ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি কসাই জুয়েল শেখের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকাল ১১টার দিকে রূপসা উপজেলার সেনেরবাজার এলাকায় নদীর চর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কসাই জুয়েল রূপসা উপজেলার সিংহেরচর এলাকার জহুর শেখের ছেলে।
রূপসা থানার ওসি মো. মাহফুজুর রহমান জানান, রূপসা উপজেলার সেনেরবাজার এলাকার মাংস বিক্রির টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ৩ কসাইয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। কসাই জুয়েল শেখ ও রুবেল শেখ আরেক কসাই আরিফকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। আরিফকে বেসরকারি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পরপর স্থানীয় লোকজন কসাই জুয়েল শেখকে ধাওয়া করলে আত্মরক্ষার্থে পাশের নদীতে ঝাঁপ দেন। পরবর্তীতে তার আর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজ সকালে নদীতে মরদেহ দেখে লোকজন থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে স্থানীয়রা মরদেহটি জুয়েল শেখের বলে শনাক্ত করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, খুলনা নগরীর ইকবাল নগর এলাকার মাংস ব্যবসায়ী আরিফ পাওনা আড়াই লাখ টাকা চাইতে শুক্রবার সন্ধ্যায় রূপসা উপজেলার সেনেরবাজারে রুবেলে মাংসের দোকানে যান। সেখানে গেলে রুবেল ও তার ভাই জুয়েলের সঙ্গে আরিফের কথা কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে তারা আরিফকে চাপাতি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। পরে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় শনিবার আরিফের বাবা আলী হোসেন শেখ বাদি হয়ে জুয়েল ও রুবেলসহ ৫ জনকে আসামি করে রূপসা থানায় মামলা করেন। তবে জুয়েলের মৃত্যুর ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপজ ল র স র এল ক মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা: খালেদা জিয়ার খালাসের রায় বহাল
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাত বছরের দণ্ড থেকে হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার (৩ মার্চ) সকালে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই রায় দেন। হাইকোর্টের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আপিল খারিজ করে আজ রায় দেন আপিল বিভাগ।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন- ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম।
আরো পড়ুন:
নাটোরে ১৩ মামলার আসামি যুবলীগ নেতা কালিয়া গ্রেপ্তার
হেফাজতে নির্যাতন
সাবেক মন্ত্রীর বান্ধবীসহ পুলিশ সদস্যের নামে মামলা
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসিফ হোসাইন।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের দণ্ড থেকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক।
গত বছরের ৩ নভেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক নিজ খরচে তৈরির অনুমতি দেন হাইকোর্ট। ২০ নভেম্বর আপিল শুনানি শুরু হয়। সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করে গত ২৭ নভেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়াকে সাত বছরের দণ্ড থেকে খালাস দেন।
২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ঢাকা/মামুন/মাসুদ