জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস থেকে কীভাবে বের করে দেওয়া হয়, জানালেন ট্রাম্পের উপদেষ্টা
Published: 2nd, March 2025 GMT
ওভাল অফিসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও তাঁর প্রতিনিধিরা হোয়াইট হাউস থেকে বেরিয়ে যান। কীভাবে তাঁরা এমন পরিস্থিতিতে উপনীত হন, তা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎজ।
দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে গত শুক্রবার এক বৈঠকে ওই বাগ্বিতণ্ডা হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে খনিজ নিয়ে একটি চুক্তি চূড়ান্ত করতে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল।
তিনি (জেলেনস্কি) নিজের আচরণ দিয়ে সবার সময় নষ্ট করেছেন।মার্কো রুবিও, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীসেদিন বৈঠকের শুরুটা ভালোই ছিল। বিতণ্ডার সূত্রপাত হয় যখন জেলেনস্কি জোর দিয়ে বলতে শুরু করেন, মধ্যস্থতাকারী হিসেবে মস্কোর সঙ্গে একটি চুক্তির যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেখানে নিরপেক্ষ ভূমিকায় না থেকে ট্রাম্পের উচিত কিয়েভকে আরও বেশি সমর্থন করা।
তখন ট্রাম্প অভিযোগ করেন, জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন না এবং যুদ্ধ বন্ধ করতে যেসব ছাড় দেওয়া প্রয়োজন, তা দিতে ইচ্ছুক নন।
সে সময় জে ডি ভ্যান্স সমালোচনা করে বলেন, জেলেনস্কির কূটনৈতিক জ্ঞানের অভাব আছে।
গতকাল শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ব্রেইটবার্ট নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাইক ওয়ালৎজ বলেন, ‘যাঁর নেতৃত্বে চুক্তি হয়, তাঁকে জানতে হয়, কখন একটি খারাপ চুক্তি বা খারাপ আলোচনা থেকে বেরিয়ে আসতে হয়’। তিনি ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও কীভাবে জেলেনস্কির দলকে ট্রাম্পের অনুভূতির বিষয়ে জানিয়েছিলেন, সেটাও বলেছেন ওয়ালৎজ।
ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পরপরই জেলেনস্কি স্বীকার করেন যে এটা ভালো হয়নি। তবে তিনি এ ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন যে মার্কিন নেতাদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার কোনো পরিকল্পনা তাঁর নেই।এর আগে নাম প্রকাশ না করে হোয়াইট হাউসের এক কর্মী বলেছিলেন যে ট্রাম্প আসলে জেলেনস্কিকে ‘বের করে দিয়েছিলেন’। তবে রুবিও ও ওয়ালৎজ জোর দিয়ে বলেছেন, জেলেনস্কি ও তাঁর প্রতিনিধিরা বাগ্বিতণ্ডার পর দ্রুতই হোয়াইট হাউস প্রাঙ্গণ ছেড়ে যান। এমনটাই জানান ফক্স নিউজের সাংবাদিক জ্যাকি হেনরিখ।
আরও পড়ুন‘কেন স্যুট পরে আসেননি’, সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে কী বলেছিলেন জেলেনস্কি৫ ঘণ্টা আগেওয়ালৎজ আরও বলেন, ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলকে জানানো হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। এটা বলে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন, তার ব্যাখ্যায় ওয়ালৎজ বলেন, ‘কীভাবে আপনি এসে এমন একজনকে অসম্মান করেন, যেখানে আপনি আসলে তাঁদের কাছে অর্থ ও সহায়তা ভিক্ষা করতে এসেছেন। তাই আমরা তাঁদের স্পষ্ট করে সবকিছু বলে দিয়েছি। আমরা পরিষ্কার বলে দিয়েছি, এ আলোচনা যেটি তাঁদের ও তাঁদের দেশের জন্য দারুণ একটি দিন হতে পারত, সেটা শেষ হয়ে গেছে এবং চলে যাওয়ার সময় হয়েছে।’
নাম প্রকাশ না করে হোয়াইট হাউসের এক কর্মী বলেছিলেন, ট্রাম্প আসলে জেলেনস্কিকে ‘বের করে দিয়েছিলেন’। তবে রুবিও ও ওয়ালৎজ জোর দিয়ে বলেছেন, জেলেনস্কি ও তাঁর প্রতিনিধিরা বাগ্বিতণ্ডার পর দ্রুতই হোয়াইট হাউস প্রাঙ্গণ ছেড়ে যান।এদিকে জেলেনস্কির সমালোচনা করে রুবিও বলেন, তিনি (জেলেনস্কি) নিজের আচরণ দিয়ে সবার সময় নষ্ট করেছেন। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ নিয়ে জেলেনস্কির মতলব আসলে কী, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুনজেলেনস্কির প্রতি কেন এত মারমুখী ছিলেন ভ্যান্স৩ ঘণ্টা আগেসিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রুবিও আরও বলেন, এমন শীর্ষ পর্যায়ের একটি বৈঠককে ‘চরম ব্যর্থ’ করে দেওয়ার জন্য জেলেনস্কির ক্ষমা চাওয়া উচিত।
ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পরপরই জেলেনস্কি স্বীকার করেন যে এটা ভালো হয়নি। তবে তিনি এ ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন যে মার্কিন নেতাদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার কোনো পরিকল্পনা তাঁর নেই।
ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় আলোচনার সময় আমাদের অবশ্যই খুবই স্বচ্ছ ও সৎ হতে হবে।’
আরও পড়ুনজেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস থেকে বের হয়ে যেতে বলা হয়েছিল০১ মার্চ ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র সময়
এছাড়াও পড়ুন:
এক বছর আগে সুইমিংপুলে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যুর তদন্ত দাবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুলে শিক্ষার্থী সোয়াদ হকের মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে শাখা গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। গত বছরের ২২ এপ্রিল সোয়াদ হক মারা গিয়েছিলেন।
সোয়াদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার বাদ আসর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়ার আয়োজন করা হয়। এরপর তাঁর মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিতের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেয় গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। সোয়াদ হক বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্মারকলিপিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ৫টি দাবি জানিয়েছে। দাবিগুলো হলো সোহাদের মৃত্যুর যথাযথ কারণ তদন্তপূর্বক নির্ণয় করা। সুইমিংপুলের সংস্কারকাজ দ্রুত শেষ করে তা পুনরায় চালু করা। সাঁতারসহ শরীরচর্চার বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আরও আন্তরিক হওয়া।
সুইমিংপুল এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা এবং পর্যাপ্ত ইকুইপমেন্ট সরবরাহ করা ও প্রশিক্ষক নিয়োগ দেওয়া।
দোয়া মাহফিলে দর্শন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুলে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি২৩ এপ্রিল ২০২৪