রাতের আঁধারে গোয়ালঘর থেকে তিনটি গরু চুরি করে জবাই করে নিয়ে গেল একদল চোর। গরু চুরি করে জবাই করে মাংস নিয়ে গেলেও কেউ টের পায়নি। এরকম ঘটনা ঘটেছে টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌর শহরের পশ্চিম পাড়া এলাকায়।

শনিবার (১ মার্চ) রাতে ১টার দিকে বাসাইল পৌরসভার কাটাখালী পাড়া এলাকা থেকে তিনটি গরু চুরি করে বাসাইল পশ্চিম পাড়া কবরস্থানের পাশে চোরেরা গরুগুলো জবাই করে মাংস নিয়ে যায়।

গরুর মালিক রুবেল খান বলেন, “গতকাল শনিবার ৯০ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনে বাড়িতে নিয়ে আসি। রাত ১২টার সময় গরু দেখে শুয়ে পড়ি। সেহেরির সময় আমার ভাই গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখে গরু নাই। তখন আশপাশে গরু খুঁজতে থাকি। সকালে জমির আইল দিয়ে গরুর পায়ের দাগ দেখে ঘটনাস্থল পৌঁছাই। সেখানে তিনটি জবাইয়ের সমস্ত আলামত দেখা যায়। আমার একটি ষাঁড় গরু ছাড়াও আরও দুইজনের একটি করে দুটি গাভি চুরি হয়েছে। তিনটি গরুর আনুমানিক মূল্য তিন লাখ টাকা হবে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।”

গরুর মালিক ফজলু খান বলেন, “শখ করে দুই মাস আগে গাভীটি কিনেছিলাম। গাভীটি ৫ মাসের গর্ভবর্তী ছিল। ৫০ হাজার টাকা দিয়ে গাভীটি কিনেছিলাম। এখন আনুমানিক এক লাখ টাকা হবে। রাত ১২টা পর্যন্ত গরু গোয়াল ঘরেই ছিল। পাশের বাড়িতেই গরুর চুরি হয়েছে শুনতে পাই। তারপর আমাদের গোয়াল ঘরে দরজার তালা কাটা ও গরুর সাথে শিকল কাটা দেখতে পাই। গরুটিও ছিল না। পরে অনেক খোঁজাখুজির পর সকালে বাসাইল পশ্চিম পাড়া কবরস্থানের পাশে গিয়ে দেখতে পাই গরু জবাই করে মাংস নিয়ে গেছে চোরেরা।”

বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন জানান, গরু চুরির ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঢাকা/কাওছার/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দেশ থেকে পরিবারতন্ত্র কবরস্থ করতে চাই: হাসনাত আবদুল্লাহ

জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে বাংলাদেশ থেকে পরিবারতন্ত্র কবরস্থ করার প্রত্যয় জানিয়েছেন হাসনাত আবদুল্লাহ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত নতুন এই দলে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে চলেছেন। তাঁকে মুখ্য সংগঠকের (দক্ষিণাঞ্চল) দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে এই দলের উদ্যোক্তাদের কয়েকজন জানিয়েছেন।

আজ শুক্রবার বিকেল সোয়া ৪টার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করা হয়। এরপর পবিত্র গীতা, ত্রিপিটক ও বাইবেল থেকে পাঠ করা হয়। ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের পর জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। পরে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পাশাপাশি সবাইকে নিজ নিজ ধর্মমত অনুযায়ী শহীদদের জন্য প্রার্থনা করতে বলা হয়।

এরপর একপর্যায়ে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে চাই, এ দেশ থেকে পরিবারতন্ত্র কবরস্থ হয়েছে। এ দেশে কামারের ছেলে প্রধানমন্ত্রী হবে, এ দেশে কুমারের ছেলে প্রধানমন্ত্রী হবে। এ দেশে যোগ্যতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব উঠে আসবে।’

একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করার প্রত্যয় জানিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘এ দেশে আমাদের মধ্যে ভেদাভেদ থাকবে না। রাজনৈতিক পরমত সহিষ্ণুতা থাকবে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে, দ্বিমত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে।’

স্বাধীনতার এত বছরেও এখনো ‘স্টেট ডেভেলপ’ করা যায়নি উল্লেখ করে হাসনাত বলেন, ‘আমরা ফাংশনাল ব্যুরোক্রেসি করতে পারি নাই। স্বাধীন পুলিশ, স্বাধীন বিচার বিভাগ করতে পারি নাই।’ কোনো প্রতিষ্ঠানকে যথাযথভাবে কার্যকর করা হয়নি উল্লেখ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই নেতা বলেন, তাঁরা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে যথাযথভাবে কার্যকর করতে চান।

বিদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকবে উল্লেখ করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘কিন্তু প্রেসক্রিপশন চলবে না।’ তিনি বলেন, ‘এই গণভবনে কে যাবে, সেটি নির্ধারিত হবে এই বাংলাদেশ থেকে, ভারত থেকে সেটি নির্ধারিত হবে না। সংসদে কে যাবে, সেটি নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের খেটে খাওয়া মানুষ।’

‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগানের মধ্য দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেশ থেকে পরিবারতন্ত্র কবরস্থ করতে চাই: হাসনাত আবদুল্লাহ