আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, তাঁর স্ত্রী সাঈদা হক ও মেয়ে সুমাইয়া হোসেনের নামে থাকা ৪৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ রোববার এ আদেশ দেন।

দুদকের পক্ষ থেকে আমির হোসেন আমু, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের ব্যাংক হিসাবের তথ্য তুলে ধরে সেগুলো অবরুদ্ধ করার আবেদন করা হয়। শুনানি নিয়ে আদালত আমির হোসেন আমু, তাঁর স্ত্রী ও কন্যার ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, আমির হোসেন আমুর ১৪টি ব্যাংক হিসাব ও একটি বিও হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ হয়েছে। এর বাইরে তাঁর স্ত্রী সাঈদা হকের (মৃত) নামে ১৩টি ব্যাংক হিসাব ও মেয়ে সুমাইয়া হোসেনের নামে ১৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ হয়েছে।

দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়েছে, সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর বিরুদ্ধে ঘুষ, নিয়োগ-বাণিজ্য, টেন্ডার-বাণিজ্য, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে টিআর, কাবিখাসহ সরকারি উন্নয়ন প্রকল্প থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। তাঁর বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগও অনুসন্ধান চলছে।

গত বছরের ১৮ নভেম্বর আমির হোসেন আমু ও তাঁর মেয়ে সুমাইয়া হোসেনসহ চারজনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। অন্য দুজন হলেন আমির হোসেন আমুর সহকারী একান্ত সচিব ফখরুল মজিদ মাহমুদ ও তাঁর স্ত্রী রাফেজা মজিদ।

গত বছরের ৬ নভেম্বর রাজধানীর পশ্চিম ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে আমির হোসেনকে আমুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তখন পুলিশ জানিয়েছিল, তাঁর বিরুদ্ধে হত্যাসহ ১৫টি মামলা রয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪–দলীয় জোটের সমন্বয়ক।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক হ স ব অবর দ ধ আম র হ স ন আম ন আম র

এছাড়াও পড়ুন:

‘অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার দমনে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে ইতালি’

অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার প্রতিরোধ এবং আন্তঃদেশীয় অপরাধ দমনসহ বাংলাদেশ পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ইতালি সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রোর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা জানান।

সাক্ষাতে আসন্ন ৫-৬ মে ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাতেও পিয়ান্তেদোসির বাংলাদেশ সফর, অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার প্রতিরোধ, নিরাপত্তা খাতে পারস্পরিক সহায়তা; পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান এবং জনশৃঙ্খলা রক্ষা ও আন্তঃদেশীয় অপরাধ দমনে পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকের শুরুতে রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “ইতালি বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু।” তিনি উল্লেখ করেন, ইতালিতে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার বাংলাদেশি দক্ষ কর্মী কর্মরত আছেন, যারা রেমিট্যান্স প্রেরণের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের মাধ্যমে এই সংখ্যাটি আরো বাড়বে এবং দুদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে।

রাষ্ট্রদূত জানান, সফরকালে ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক ও প্রবাসী কল্যাণ এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, ৫ মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করা হবে এবং একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে উভয় দেশের সম্মতিক্রমে অবৈধ অভিবাসন রোধ, আন্তঃদেশীয় অপরাধ দমন এবং পুলিশ বিভাগের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে ঘোষণা, সমঝোতা স্মারক বা চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে।

তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশ সব সময় আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে বৈধ চ্যানেলে জনশক্তি রপ্তানিতে আগ্রহী। আমরা অবৈধ অভিবাসনের বিপক্ষে এবং যারা দালালের মাধ্যমে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নিরাপত্তা ও বহিরাগমন) মো. শামীম খান, জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব (রাজনৈতিক-১) মো. জসীম উদ্দিন খান এবং ঢাকাস্থ ইতালি দূতাবাসের অভিবাসন সংযুক্ত কর্মকর্তা জিউসেপ্পে দি জিওভান্নি উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ