নির্মাতা রায়হান রাফী যতগুলো কন্টেন্ট বানিয়েছেন তার মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটি বাদে সবগুলোর মধ্যে ছিলে সত্য ঘটনার ছায়া। যার বেশির ভাগই চেয়েছে দর্শকপ্রিয়তা। একই ধারায় এবার তিনি নিয়ে আসছেন নতুন ওয়ের ফিল্ম ‘আমলনামা’। মুক্তির আগে আগে প্রকাশ পেয়েছে সিনেমাটির ফোরটেস্ট ও থিমেটিক পোস্টার।

২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে চরকির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশ পায় ’আমলনামা’র ফোরটেস্ট বা পূর্বাভাস ভিডিও। যার ক্যাপশনে লেখা, ‘অবিচার যখন হয়ে উঠেছিল বিচারের মাপকাঠি…।’ এই শহর, শহরের কিছু মানুষ এবং তাদের অভিব্যক্তি দিয়ে সাজানো হয়েছে সিনেমাটির ‘ফোরটেস্ট’।

ভিডিওর প্রথমদিকের কিছু দৃশ্য আর সংলাপে ধারণা করা যায়, কয়েকজন মাদকবিরোধী অভিযানের কথা বলে একজনকে তার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এরপর নানারকম অভিব্যক্তিতে ধরা দেন সিনেমাটির অভিনয়শিল্পীরা। সেখানে গল্প বা চরিত্রের কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি।

এর আগে ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ পায় সিনেমাটির থিমেটিক পোস্টার। ভাঙা ফ্রেমের ভেতর স্পষ্টই বোঝা গেছে দুই কন্যা সন্তানকে নিয়ে বাবা–মা’র ছবিটি। তবে বাবার মুখটি ছবিতে নেই। বুলেটের আঘাতে বাবার মুখের জায়গাটি ছিদ্র হয়ে গেছে, ভেঙে গেছে উপরের কাঁচ।

আর প্রতীকীভাবে সেই ভাঙা অংশ দিয়ে বেয়ে পড়ছে রক্ত। ভাঙা কাচের ওপর প্রতিফলিত হয়েছে জাহিদ হাসানের ছবি। তিনি ছবিটির দিকে তাকিয়ে আছেন। থিমেটিক পোস্টারের ক্যাপশনে লেখা, ’যেই অবিচার আমরা চোখ বুজে সহ্য করে এসেছি!’

 

এমন সব বাক্য, ছবি আর ভিডিও স্বাভাবিকভাবেই নানা প্রশ্নের তৈরি করেছে দর্শকদের মনে। কোন সত্য ঘটনার অনুপ্রেরণা নিয়েছেন নির্মাতা, তা এখনই বলতে চান না রায়হান রাফী। শুধু জানালেন, দর্শকরাই সেটা আবিষ্কার করুক।

রাফী বলেন, ‘আমি বরাবরই নতুন কিছু করার চেষ্টা করি। এবারের নতুনত্বটা গল্পে; এরকম গল্পে কাজ হয়নি বললেই চলে। কাহিনী শেষ না হওয়া পর্যন্ত দর্শকরা একটা থ্রিলের মধ্যে থাকবেন।’

গল্পের পাশাপাশি অভিনয়শিল্পী নির্বাচনেও চমক রেখেছেন রায়হান রাফী। ‘আমলনামা’ সিনেমার মাধ্যমে অনেকদিনপর ওটিটিতে দেখা যাবে জনপ্রিয় অভিনেতা জাহিদ হাসানকে। শুধু তাই নয়, কবি, গীতিকার, নির্মাতা কামরুজ্জামান কামু আছেন এই সিনেমায়।

গাজী রাকায়েতকে এখানে পাওয়া যাবে নতুন অবতারে। অভিনেত্রী তমা মির্জা ও সারিকা সাবরিন আলো ছড়াবেন সিনেমায়।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেটে ছাত্রলীগের মিছিলের পর দুই আ.লীগ নেতার বাসায় হামলা

সিলেটে সকালে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ঝটিকা মিছিল করার পর বিকাল ও সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের দুই নেতার এবং ছাত্রলীগের এক নেতারা বাসায় হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে।

বুধবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সিলেটে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য  শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর বাসায় বিকালে হামলা হয়েছে। প্রায় একই সময়ে ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রুহেল আহমদের বাসায়ও হামলা চালানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

নোয়াখালীতে বিনোদনকেন্দ্রে হামলা, পুলিশসহ আহত ৭

রাঙ্গুনিয়ায় আহত আ.লীগ নেতার মৃত্যু

হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের বাসার জিনিসপত্র ভাঙচুর করেছে।

সিলেট নগরীর শুভেচ্ছা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরীর (নাদেল) বাসভবনের ‘ফ্ল্যাট অ্যাপার্টমেন্টের কার্যালয়ে’ হামলা চালায় একদল মানুষ। তারা মিছিল নিয়ে তার বাসায় ঢুকে পড়েন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নগরের পাঠানটুলা এলাকায় আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর বাসায় ৭০ থেকে ৮০টি মোটরসাইকেলে করে শতাধিক তরুণ-যুবক গিয়ে এ হামলা চালান। এ সময় হামলাকারীরা বাসায় ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুরের পাশাপাশি লুটপাট চালান। বাসাটিতে আনোয়ারুজ্জামানের পরিবারের কেউ থাকেন না। দুজন তত্ত্বাবধায়ক বাসার দেখাশোনা করেন।

মেজরটিলা এলাকায় অবস্থিত ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রুহেল আহমদের বাসায় হামলা চালায় দুর্বৃত্তদের একটি দল। সন্ধ্যা সাতটায় রুহেলের বাসায় হামলার সময় তাঁর মা ও বোন বাসায় ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

অবশ্য এসব হামলায় হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

বুধবার সকাল থেকে সিলেট নগরীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের একটি মিছিলের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এরপর বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা মাঠে নামে। তারা ভিডিওতে দেখা যাওয়া চার-পাঁচজন মিছিলকারীকে ধরে পুলিশে হাতে তুলে দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ছাত্রলীগের ব্যানারে ৩০ থেকে ৪০ জন তরুণ নগরের ধোপাদিঘিরপাড় এলাকায় ঝটিকা মিছিল করেন। এতে ছাত্রদলের কিছুসংখ্যক নেতা-কর্মী বিক্ষুব্ধ হয়ে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের তিন নেতার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর চালান।

এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান বলেন, বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা নাদেলের বাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। শুনেছি, বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা এই হামলা চালিয়েছে।

তিনি বলেন, মিছিলকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ