গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সেকশন অফিসার পদে নিয়ম বহির্ভুতভাবে নিয়োগ দেয়ায় সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ রবিবার (২ মার্চ) দুদকের সহকারী পরিচালক রিজন কুমার রায় বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ দুদকের জেলা কার্যালয়ে এ মামলা দায়ের করেন। জেলা কার্যালয়ে থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

মামলার আসামিরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড.

খোন্দকার নাসিরউদ্দিন, প্রফেসর ড. মোশাররফ আলী, প্রফেসর ড. মো: আব্দুল মান্নান এবং সেকশন অফিসার শারমিন চৌধুরী।

আরো পড়ুন:

নোয়াখালীতে স্কুলে যাওয়ার পথে ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ

সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’ করার অভিযোগ 

মামলার বিবরণে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালের ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর হতে ২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্মারক নং-৭৬৩-তে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সেকশন অফিসারের ১৬টি পদসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ১৬টি শূন্য পদের স্থলে শারমিন চৌধুরীসহ ২০ জনকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সেকশন অফিসার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।

দুদক আরো জানায়, ওই পদে ৮৭০ জন আবেদকারীর ডাটা শিটে তৎকালীন ভিসি ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের স্বাক্ষর রয়েছে। তালিকায় আসামি শারমিন চৌধুরীর নাম নেই। তাছাড়া নিয়োগ কমিটির সুপারিশ তালিকার ৮৭৩ নম্বর ক্রমিকে শারমিন চৌধুরীকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হলেও বাস্তবে ৮৭৩ নম্বর ক্রমিক ডাটা শিটে নেই। অর্থাৎ আবেদন তালিকায় না থাকার পরও জাল-জালিয়াতি করে শারমিন চৌধুরীকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্তে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখে প্রার্থীর বয়স ৩২ বছর হওয়ার কথা থাকলেও প্রকৃতপক্ষে আসামি শারমিন চৌধুরীর বয়স ৩২ বছরের বেশি ছিল। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ১৬টি শূন্য পদের স্থলে ২০ জনকে নিয়োগ ও ডাটা শিটে নাম না থাকার পরও নিয়োগ দিয়ে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করা হয়েছে।

দুদক আরো জানায়, বিশ্ববিদ্যালেয়ের কর্মকর্তা তুহিন মাহমুদের বিষয়ে প্রকাশ্য অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। এছাড়া নজরুল ইসলাম হীরার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য অনুসন্ধান দুদক প্রধান কার্যালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 

গত ১২ জানুয়ারি নানা অনিয়ম ও অভিযোগের ভিত্তিতে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি দল। এ অভিযানে অনিয়মের সত্যতা পায়।
 

ঢাকা/বাদল/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন মামলায় গ্রেপ্তার আনিসুল-কামরুলসহ ৬ জন

রাজধানীর কাফরুল থানায় দায়ের হওয়া আতিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া, মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের হওয়া আরেক হত্যা মামলায় আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সোমবার (৩ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালত শুনানি শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও এ কে এম শহীদুল হক।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাফরুল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জুয়েল ইসলাম তাদের আদালতে হাজির করে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই বিকেলে রাজধানীর কাফরুল থানাধীন বিআরটিএ অফিসের পেছনের রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হন আতিকুল ইসলাম। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত ২৩ ডিসেম্বর নিহতের স্বজন ব্যবসায়ী আহসান হাবীব রাজধানীর কাফরুল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলায় আনিসুল হক ৪ নম্বর, সালমান এফ রহমান ৬ নম্বর, কামরুল ইসলাম ৮ নম্বর, কামাল আহমেদ মজুমদার ১০ নম্বর, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ১১ নম্বর ও শহীদুল হক ২৭ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।

ঢাকা/মামুন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ