চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গায় পরিকল্পিতভাবে পুলিশের এক এসআইকে হেনস্থার ঘটনায় আরও ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার রাতে নগরের পাঁচলাইশ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, তারা মব তৈরি করে এসআইকে হেনস্থা এবং মোবাইল, মানিব্যাগ ও ওয়াকিটকি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িত।

গ্রেপ্তার ১০ জন হলেন- গনপতি (৫৭), হামিদুর রহমান (৩০), রোহান (২০), আরিফ প্রমাণিক (৩৫), রাব্বি (৩৫), শুভ (১৯), জীবন (২৬), রুমেল (৩০), রেজাউল করিম (৪৫) ও সিয়াম শেখ (১৮)।

পতেঙ্গা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার আসামিরা মাদক সেবন ও ছিনতাইয়ে জড়িত। তারা পতেঙ্গা থানার এসআই ইউসুফ আলীকে দলবদ্ধ হয়ে পরিকল্পিতভাবে মারধর ও হেনস্থা করেছিল।

গত শুক্রবার রাতে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে বসে কয়েকজন যুবক মাদক সেবন করছিলেন। তখন সেখানে আউটার রিং রোডে চেকপোস্টে ডিউটি করছিলেন এসআই ইউসুফ। তিনি এগিয়ে গেলে দুই যুবক প্রথমে তাকে ভুয়া পুলিশ বলে চেঁচামেচি শুরু করে। এরপর তারা নিজেদের আরও লোকজন সেখানে নিয়ে আসেন। তারা এসআই ইউসুফকে ঘিরে মবের ঘটনা ঘটায়। তারা ইউসুফের কাছ থেকে ওয়াকিটকি, মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।

ইউনিফর্ম পরা একজন পুলিশ সদস্য হেনস্থার শিকার হচ্ছেন দেখে সমুদ্র সৈকত এলাকার লোকজন সেখানে যান। তারা হেনস্থাকারীদের মধ্যে সাইমন (২৭) ও আলী ইমাদ (২২) নামে দুই জনকে ধরে পিটুনি দেন। পুলিশ তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ওয়াকিটকি, মোবাইল ও মানিব্যাগ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় এ পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউস ফ

এছাড়াও পড়ুন:

নীলফামারীতে পুলিশ-সেনা সদস্যদের যৌথ টহল অব্যাহত

নীলফামারীতে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ঈদের পরও সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং পুলিশের যৌথ টহল ও চেকপোস্ট কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ঈদের পরের দিনে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে নীলফামারী সদরের উত্তরা ইপিজেড, সৈয়দপুর বাসটার্মিনাল, শুটকির মোড় ও পাঁচ মাথা মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তি, হেলমেট ও লাইসেন্সবিহিন মোটরসাইকেল আরোহী, নছিমন, ভটভটি, প্রাইভেটকার ও বাসে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করে।

নীলফামারীতে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফাহিম এহসান ও সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার ওমর ফারুক এবং সৈয়দপুরে সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার মোস্তফা মজুমদারের নেতৃত্বে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। 

আরো পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টাকে ঈদ-নিরাপত্তার বিষয়ে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান

সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে: তারেক রহমান

এ সময় নীলফামারীর ইপিজেড পয়েন্টে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রশান্ত রায় ও সৈয়দপুর পয়েন্টে এসআই সুজন উপস্থিত ছিলেন।  

সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফাহিম এহসান জানান, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নীলফামারীতে জনগণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনা সদস্যরা ঈদের পরও নিরলসভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। যৌথ বাহিনীর চেকপোস্ট পরিচালনার মুল উদ্দেশ্য হলো সচেতনতা বৃদ্ধিসহ মানুষ যেন নিশ্চিন্তে ও নিরাপদে চলাফেরা করতে পারে এবং দুষ্কৃতিকারীদের তৎপরতা সীমিত রাখা যায়।   

সেনাবাহিনী সুত্র জানায়, গত ২ মার্চ থেকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ বিভিন্ন ধরনের চেকপোস্ট ও তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এ পর্যন্ত দুই উপজেলায় ২৫২টি মামলায় ৮ লাখ ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এরমধ্যে নীলফামারীতে ১৪২টি মামলায় ৪ লাখ ৭০ হাজার ৬০০ টাকা এবং সৈয়দপুরে ১১০টি মামলায় ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। 

সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার মোস্তফা মজুমদার জানান, কার্যক্রমের ফলে জনগণের মাঝে আরো তৎপরতা ও সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। চেকপোস্টের মাধ্যমে যানবাহনে লাইসেন্স না থাকায় ব্যবস্থা নেওয়া এবং হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল আরোহীদের সতর্ক করা হয়। 

এছাড়াও বাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হয়। 

ঢাকা/সিথুন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নীলফামারীতে পুলিশ-সেনা সদস্যদের যৌথ টহল অব্যাহত