গাজায় সব ধরনের মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করল ইসরায়েল। হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায় শেষ হওয়ায় রোববার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েলি সরকার। খবর আল-জাজিরার

প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফের প্রস্তাবিত সাময়িক যুদ্ধবিরতি সম্প্রসারণের প্রস্তাব এখনও গ্রহণ করেনি হামাস।

কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আজ রোববার সকাল থেকেই গাজায় সমস্ত পণ্য ও ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। হামাস যদি তাদের অবস্থান পরিবর্তন না করে, তাহলে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

দ্বিতীয় পর্যায়ে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলে তা রমজানের সময়সীমা শেষ হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ ৩১ মার্চ এবং ইহুদিদের অনুষ্ঠান পাসওভার শেষ হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ ২০ এপ্রিল পর্যন্ত লড়াই বন্ধ হতো।  

হামাসের এক মুখপাত্র এই সিদ্ধান্তকে ‘সস্তা ব্ল্যাকমেইল’ এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিরুদ্ধে ‘অভ্যুত্থান’ বলে অভিহিত করেছেন।

হামাসের মুখপাত্র বলেছেন, গাজায় সহায়তা প্রবেশ বন্ধের এই সিদ্ধান্ত আবারও ইসরায়েলি দখলদারিত্বের কুৎসিত রূপ প্রকাশ করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ইসরায়েল সরকারকে আমাদের জনগণকে অনাহারে রাখা বন্ধ করার জন্য চাপ দেওয়া।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন মামলায় গ্রেপ্তার আনিসুল-কামরুলসহ ৬ জন

রাজধানীর কাফরুল থানায় দায়ের হওয়া আতিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া, মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের হওয়া আরেক হত্যা মামলায় আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সোমবার (৩ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালত শুনানি শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও এ কে এম শহীদুল হক।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাফরুল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জুয়েল ইসলাম তাদের আদালতে হাজির করে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই বিকেলে রাজধানীর কাফরুল থানাধীন বিআরটিএ অফিসের পেছনের রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হন আতিকুল ইসলাম। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত ২৩ ডিসেম্বর নিহতের স্বজন ব্যবসায়ী আহসান হাবীব রাজধানীর কাফরুল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলায় আনিসুল হক ৪ নম্বর, সালমান এফ রহমান ৬ নম্বর, কামরুল ইসলাম ৮ নম্বর, কামাল আহমেদ মজুমদার ১০ নম্বর, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ১১ নম্বর ও শহীদুল হক ২৭ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।

ঢাকা/মামুন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ