বাগেরহাটে নতুন করে ১১ হাজার ৪০০ জন নাগরিক ভোটার হয়েছেন। এই নিয়ে জেলায় মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়ালো ১৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৭৬৩ জন। 

রবিবার (২ মার্চ) সকালে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহম্মেদ কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো.

অলিউল ইসলাম, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ছায়েদুর রহমান ও সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ।

বক্তারা বলেন, “বয়স ১৮ হলেই সঠিক তথ্য প্রদান করে ভোটার হতে হবে। দ্বৈত ভোটার বা কোন প্রকার মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভোটার হওয়া যাবে না।” 

ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন ও সরকারের নির্দেশনা মেনে চলার আহবান জানান বক্তারা। আলোচনা সভা শেষে নতুন ভোটারদের মাঝে জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. অলিউল ইসলাম বলেন, “বাগেরহাট জেলায় চলতি বছর নতুন করে ১১,৪০০ জন নাগরিক ভোটার হয়েছেন। জেলায় বর্তমান ভোটার সংখ্যা ১৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৭৬৩ জন। যারা এখনো হালনাগাদ করেননি তাদের জন্য হালনাগাদ কর্মসূচি চলমান রয়েছে।”

এর আগে ‘তোমার আমার বাংলাদেশে, ভোট দেব মিলেমিশে’ এ স্লোগান নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বেলুন উড়িয়ে জাতীয় ভোটার দিবসের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আহম্মেদ কামরুল হাসান।

ঢাকা/শহিদুল/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত

এছাড়াও পড়ুন:

চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা: খালেদা জিয়ার খালাসের রায় বহাল

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাত বছরের দণ্ড থেকে হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

সোমবার (৩ মার্চ) সকালে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই রায় দেন। হাইকোর্টের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আপিল খারিজ করে আজ রায় দেন আপিল বিভাগ।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন- ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম।

আরো পড়ুন:

নাটোরে ১৩ মামলার আসামি যুবলীগ নেতা কালিয়া গ্রেপ্তার

হেফাজতে নির্যাতন 
সাবেক মন্ত্রীর বান্ধবীসহ পুলিশ সদস্যের নামে মামলা 

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসিফ হোসাইন।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের দণ্ড থেকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক। 

গত বছরের ৩ নভেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক নিজ খরচে তৈরির অনুমতি দেন হাইকোর্ট। ২০ নভেম্বর আপিল শুনানি শুরু হয়। সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করে গত ২৭ নভেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়াকে সাত বছরের দণ্ড থেকে খালাস দেন।

২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ