গণপিটুনিতে ৩ ডাকাতের মৃত্যু: ২ মামলা দায়ের
Published: 2nd, March 2025 GMT
শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া এলাকায় ডাকাতি করে পালানোর সময় গণপিটুনিতে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। পালং মডেল থানায় শনিবার (১ মার্চ) রাতে ডাকাতি ও গণপিটুনির ঘটনায় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা দুটি দায়ের করেন।
ডাকাতির মামলায় গণপিটুনিতে আহত পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ৮-১০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। তিনি হলেন এবাদুল বেপারী। শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কানারগাঁও এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একদল সংঘবদ্ধ ডাকাত মাদারীপুরের কালকিনির রাজারচর এলাকায় কীর্তিনাশা নদীতে বাল্কহেডে ডাকাতির চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাদের ধাওয়া দেয়। তখন ডাকাতরা ফাঁকা গুলি ছোড়ে। গুলিতে বাল্কহেডের শ্রমিক পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার মাসুম মিয়া (৩০) ও পিরোজপুরের কালিকাঠীর আলামিন ফকির (১৯) গুলিবিদ্ধ হয়। পরে ডাকাতরা পালিয়ে শরীয়তপুরের আঙ্গারিয়ার ভাসানচর এলাকায় ঢুকে পড়ে। এরই মধ্যে ডাকাতির খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা সতর্ক হয়ে যায়। ওইখানে বাল্কহেডের শ্রমিকরা ডাকাতদের বাধা দেয়। পরে ডাকাতরা আবার কীর্তিনাশা নদী দিয়ে পালানোর সময় রাজগঞ্জ এলাকা দিয়ে নদীপথে বের হওয়ার চেষ্টা করে। তবে স্থানীয়রা বাল্কহেড দিয়ে ডোমসার এলাকার তেঁতুলিয়া গ্রামের নদীপথ আটকে দেয়। বাধা পেয়ে ডাকাতরা স্পিডবোট তীরে রেখে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় জনতা তাদের ধাওয়া করে। এ সময় ডাকাতরা হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটায় এবং এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এ সময় ডাকাতদের গুলিতে বাল্কহেডের শ্রমিক ডোমসার মোল্লা কান্দি এলাকার তোতা মিয়া (৩৫) ও স্থানীয় একজন আহত হয়। পরে স্থানীয় জনতা ডাকাতদের ঘেরাও করে সাতজনকে আটক করে গণপিটুনি দেয়।
গণপিটুনিতে ঘটনাস্থলে দুইজনের মৃত্যু হয় এবং শনিবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেকজনের মৃত্যু হয়। আহত পাঁচজনকে বর্তমানে পুলিশ পাহারায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ডাকাতির মামলার আসামিরা হলেন, মুন্সিগঞ্জের কালিয়ারচরের রিপন (৪০), বাংলাবাজার এলাকার রাকিব গাজী (৩০), শরীয়তপুরের জাজিরার কুন্ডেরচরের আনোয়ার দেওয়ান (৫০), নাড়িয়ার নশাশন মাঝিকান্দি এলাকার সাঈদ (২৫) ও মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকার সজীব (৩০)। তাদের মধ্যে চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, একটি কার্তুজ ও একটি স্পিডবোট উদ্ধার করেছে। গণপিটুনির মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা.
এ বিষয়ে জানতে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, ডাকাতি ও গণপিটুনির ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। যেহেতু তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, তাই হত্যা মামলার প্রস্তুতিও চলছে। নিহতদের মরদেহ আইনগত প্রক্রিয়া শেষে হস্তান্তর করা হবে।
ঢাকা/আকাশ/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণপ ট ন ত এল ক র র এল ক
এছাড়াও পড়ুন:
ডিপিএলে ছাড়পত্র পাচ্ছেন না বিপিএলের কোচ
বিসিবির কোচদের চুক্তিতে আছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) বা বিপিএলের যে কোনো একটিতে অবৈতনিক কাজ করার সুযোগ পাবেন। বিপিএলে বেশ কয়েকজন কোচ সেভাবে কাজ করেছেন। তাদেরই কয়েকজন ডিপিএলে কাজ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
মোহামেডানের কোচ মিজানুর রহমান বাবুল ও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের কোচ তুষার ইমরানকে ছাড়পত্র দেয়নি বিসিবি। বিশেষ বিবেচনায় কাজ করার অনুমতি চেয়ে বোর্ডের কাছে আবেদনও করেছেন তারা। গেম ডেভেলপমেন্টের ম্যানেজার আবু ইমান মো. কাউসার জানান, কোচ ছাড়াও তিন থেকে চারজন টেকনিক্যাল স্টাফ ডিপিএলে কাজ করার অনুমতি চেয়েছেন।