তেঁতুলিয়ায় স্কুলশিক্ষকের বাড়িতে ডাকাতি, আতঙ্কে রাতভর পাহারা, আটক ৫
Published: 2nd, March 2025 GMT
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় বেলায়েত হোসেন নামের এক স্কুলশিক্ষকের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর ডাকাত আতঙ্কে রাতভর পাহারা দিয়েছেন এলাকাবাসী। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় উপজেলার ভজনপুর এলাকা থেকে ডাকাত চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করে পুলিশ।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাত একটার দিকে তেঁতুলিয়া সদর ইউনিয়নের আজিজনগর এলাকায় বেলায়েত হোসেনের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। বেলায়েত সদর উপজেলার দেওয়ানহাট উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
আটক ব্যক্তিরা হলেন রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার সঠিবাড়ি-হরিপুর এলাকার আনোয়ার হোসেন (৪১), একই জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার মকিমপুর এলাকার শরিফুল ইসলাম (৩৫), একই উপজেলার আজমপুর ফকিরপাড়া এলাকার মো.
এ ঘটনায় পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুনসী সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবেন বলে জানিয়েছেন তেঁতুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত কবির। এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে এবং এখনো অভিযান চলছে বলে তিনি জানান।
ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রাত একটার পরপরই তেঁতুলিয়া সদরের আজিজনগর এলাকায় পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা মহাসড়কের পাশে স্কুলশিক্ষক বেলায়েত হোসেনের বাড়িতে ডাকাত হানা দেয়। খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিভিন্ন এলাকায় মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং করেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুনসীসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মানুষ বেরিয়ে এসে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের সঙ্গে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন এলাকাবাসী। কেউ কেউ মাইকিং করছেন।
স্কুলশিক্ষক বেলায়েত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, রাত একটার পর বাড়ির দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে কয়েকজন বাড়ির উত্তর গেটের তালা ভাঙে। পরে ৮ থেকে ১০ জন হাতে দেশি অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে তাঁর শোবার ঘরে ঢোকে। এ সময় তাঁর স্ত্রী ও তাঁকে মারধর করে হাত পেছনে বেঁধে ফেলে। জীবন বাঁচাতে তাঁরা বাধা দেওয়ার সাহস পাননি। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে তাঁরা ঘরের সবকিছু ওলট–পালট করে। তারা সব মিলিয়ে ঘরে থাকা প্রায় ৩৮ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। এ ছাড়া তাঁর স্ত্রীর হাতে থাকা এক জোড়া চুড়ি, কানের দুলসহ ঘরে থাকা আড়াই ভরি স্বর্ণের গয়না নিয়ে যায়। ঘটনার সময় পাশের কক্ষে থাকা তাঁর মেয়ে বিষয়টি টের পেয়ে মুঠোফোনে আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের খবর দিলে তাঁরা আসতে শুরু করলে ডাকাতেরা পালিয়ে যায়।
এদিকে রাতেই জেলার প্রতিটি থানা-পুলিশ বিভিন্ন সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি শুরু করে। পরে আজ রোববার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় উপজেলার ভজনপুর এলাকা থেকে ডাকাত চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুনসী দুপুরে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, রাতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ডাকাত চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এখনো অভিযান চলছে। সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প র এল ক র এল ক ব স উপজ ল র ন এল ক এল ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
এক বছর আগে সুইমিংপুলে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যুর তদন্ত দাবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুলে শিক্ষার্থী সোয়াদ হকের মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে শাখা গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। গত বছরের ২২ এপ্রিল সোয়াদ হক মারা গিয়েছিলেন।
সোয়াদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার বাদ আসর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়ার আয়োজন করা হয়। এরপর তাঁর মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিতের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেয় গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। সোয়াদ হক বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্মারকলিপিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ৫টি দাবি জানিয়েছে। দাবিগুলো হলো সোহাদের মৃত্যুর যথাযথ কারণ তদন্তপূর্বক নির্ণয় করা। সুইমিংপুলের সংস্কারকাজ দ্রুত শেষ করে তা পুনরায় চালু করা। সাঁতারসহ শরীরচর্চার বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আরও আন্তরিক হওয়া।
সুইমিংপুল এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা এবং পর্যাপ্ত ইকুইপমেন্ট সরবরাহ করা ও প্রশিক্ষক নিয়োগ দেওয়া।
দোয়া মাহফিলে দর্শন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুলে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি২৩ এপ্রিল ২০২৪