মুলতান টেস্টে প্রতারণার স্বীকারোক্তি, ইনজামামকে দুষলেন রশিদ
Published: 2nd, March 2025 GMT
২০০৩ সালের মুলতান টেস্ট—বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসের অন্যতম বড় এক আক্ষেপের নাম। মাত্র ১ উইকেটে হেরে যাওয়া সেই ম্যাচে বিতর্কিত এক ঘটনায় আম্পায়ারের চোখ ফাঁকি দিয়ে অলক কাপালির ক্যাচ নিয়েছিলেন পাকিস্তানের উইকেটকিপার রশিদ লতিফ। ২২ বছর পর সেই ঘটনার জন্য অনুশোচনা প্রকাশ করলেন তিনি। তবে দায় চাপালেন পাকিস্তানের সেই সময়ের অধিনায়ক ইনজামাম-উল-হকের ওপর।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রশিদ জানান, তিনি চেয়েছিলেন অলক কাপালিকে ফেরাতে, কিন্তু ইনজামামের সিদ্ধান্তে তা হয়নি। তিনি বলেন, ‘ক্যাচ নেওয়ার পর আমি ইনজামাম ভাইকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, “আমরা কি তাকে ফিরিয়ে আনব?” কিন্তু তিনি বলেছিলেন, “না, না, না।”’
সেই ম্যাচে বাংলাদেশের দেওয়া ২৬১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় পাকিস্তান ২০৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল। কিন্তু ইনজামামের সেঞ্চুরিতে ১ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা। ম্যাচে একাধিক বিতর্কিত আম্পায়ারিং সিদ্ধান্ত, বিশেষ করে এলবিডব্লিউর কয়েকটি আবেদন নাকচ হওয়া নিয়ে তখনই প্রশ্ন উঠেছিল।
রশিদ স্বীকার করেছেন, ওই ক্যাচ ধরার ঘটনা তার ক্যারিয়ারের জন্যও কাল হয়েছিল। প্রতারণার দায়ে পাঁচ ম্যাচ নিষিদ্ধ হওয়ার পর আর কখনো টেস্ট ক্রিকেটে ফিরতে পারেননি তিনি। নিজের ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাওয়ার পেছনেও ইনজামামের ভূমিকার ইঙ্গিত দেন রশিদ, ‘এরপর আমি পাঁচ ম্যাচ নিষিদ্ধ হলাম, ফিরে মাত্র পাঁচটি ওয়ানডে খেলেছি। ইনজামাম তখন অধিনায়ক হয়ে গেল, আর আমার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেল।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তার সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধির ফোনালাপ
যুক্তরাষ্ট্রের উপজাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অ্যালেক্স এন ওং বুধবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ (উচ্চ প্রতিনিধি) ড. খলিলুর রহমানের সঙ্গে টেলিকনফারেন্স করেছেন। দুই কর্মকর্তা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বাসসকে বলেন, নতুন মার্কিন প্রশাসন এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মধ্যে এটি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ।
মার্কিন সরকার সম্প্রতি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের নতুন আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করেছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাহায্যের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী। ২০১৭ সাল থেকে তারা প্রায় ২.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবদান রেখেছে এবং জাতিসংঘকে জরুরি খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা প্রদান করে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্র জুলাই বিদ্রোহের সময় বাংলাদেশের ছাত্রী প্রতিবাদী নেতাদের মর্যাদাপূর্ণ ম্যাডেলিন অ্যালব্রাইট অনারারি গ্রুপ অ্যাওয়ার্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।