রাজধানীতে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছেন অভিনেতা হারুন রশিদ বান্টি। শনিবার (১ মার্চ) রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে একথা জানান তিনি।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে হারুন রশিদ বান্টি বলেন, “কাঞ্চন ৩০০ ফিট থেকে কুড়িল বিশ্বরোড রাত-বিরাতে সাবধানে। আজকে আমি কট খেয়েছি কাল আপনি খেতে পারেন। ওই রোডে রাতে সিএনজি স্টার্ট বন্ধ হলে ধরে নেবেন আপনি কট। যেমনটা আমার হয়েছে। শরীরের ওপর দিয়া যায় নাই টাকার উপর দিয়ে গেছে। নাটক করি বলে মোবাইলটা দিয়া গেছে। ধন্যবাদ ছিনতাইকারী ভাইয়েরা।”

সহকর্মীদের সতর্ক করার উদ্দেশ্যে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন উল্লেখ করে অভিনেতা বলেন, “আমি স্ট্যাটাস দিয়েছি এই কারণে যে আমাদের মিডিয়ার ভাই-বোনরা কেউ যেন এই ভুলটা না করে।”

আরো পড়ুন:

মায়ের শাড়িতে বধূ সাজেন মেহজাবীন

‘হায়রে, পাগল ভক্ত!’

বিষয়টি নিয়ে হারুন রশিদ বান্টি বলেন, “এগুলো এখন অহরহ হচ্ছে। আমার কাছে খুব স্বাভাবিক ব্যাপার মনে হয়েছে। তবে ভয় পেয়েছি। কেননা কোপটোপ যদি দিয়ে বসতো, সেই ভয় ছিল। ট্রমাটাইজড হয়ে গিয়েছিলাম। আধ ঘণ্টা রাস্তার মধ্যে বসেছিলাম। কাউকে যে ফোনে কল করব, ব্যাগটা নিয়ে যে হাঁটব, অন্ধকার থেকে একটু আলোতে যাব সেই শক্তিও ছিল না।”

হারুন রশিদ বেশ জনপ্রিয় অভিনেতা। ছোটপর্দার পাশাপাশি বড়পর্দাতেও কাজ করেন। বিভিন্ন নাটক, সিনেমায় হাস্যরসাত্মক চরিত্রে বেশি দেখা যায় তাকে।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক

এছাড়াও পড়ুন:

চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা: খালেদা জিয়ার খালাসের রায় বহাল

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাত বছরের দণ্ড থেকে হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

সোমবার (৩ মার্চ) সকালে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই রায় দেন। হাইকোর্টের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আপিল খারিজ করে আজ রায় দেন আপিল বিভাগ।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন- ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম।

আরো পড়ুন:

নাটোরে ১৩ মামলার আসামি যুবলীগ নেতা কালিয়া গ্রেপ্তার

হেফাজতে নির্যাতন 
সাবেক মন্ত্রীর বান্ধবীসহ পুলিশ সদস্যের নামে মামলা 

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসিফ হোসাইন।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের দণ্ড থেকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক। 

গত বছরের ৩ নভেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক নিজ খরচে তৈরির অনুমতি দেন হাইকোর্ট। ২০ নভেম্বর আপিল শুনানি শুরু হয়। সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করে গত ২৭ নভেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়াকে সাত বছরের দণ্ড থেকে খালাস দেন।

২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ