২০২৪ সালে দেড় লাখেরও বেশি মানুষের বীমা দাবি নিষ্পত্তি করেছে গার্ডিয়ান লাইফ
Published: 2nd, March 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
২০২৪ সালে সবমিলিয়ে প্রায় দেড় লাখের বেশি মানুষের বীমা দাবি নিষ্পত্তি করেছে গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। এর ৯৫ শতাংশ দাবিই মাত্র ৩ কর্মদিবসের ভেতর পরিশোধ করে গ্রাহকের আস্থা অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে ৩৬ হাজার গ্রাহকের মৃত্যু দাবি ২৪১ কোটি টাকা, স্বাস্থ্য বীমা দাবি ১০৯ কোটি টাকা এবং পলিসি পূর্ণ হওয়া সহ অন্যান্য দাবি বাবদ ৮৯ কোটি টাকার বেশি পরিশোধ করা হয়। গতবছর সবমিলিয়ে ৪৩৯ কোটি টাকার বেশি বীমা দাবি নিষ্পত্তি করে গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।
এ বিষয়ে গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) শেখ রকিবুল করিম, এফসিএ বলেন, ‘সবার জন্য বীমা’ এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমরা কাজ করছি। ইতিমধ্যে দেশের ১ কোটি ২৬ লাখেরও বেশি মানুষকে বীমার আওতায় এনেছি, এবং এই সংখ্যা আরও বাড়ানোর জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বীমা খাতের পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি হলো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে গ্রাহকের বিশ্বাস অর্জন করা। এই বিশ্বাসকে অটুট রাখতে আমাদের ‘জিরো টলারেন্স’নীতি অনুসরণ করা হয়। দ্রুত ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বীমা দাবি পরিশোধ করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। বর্তমানে বেশিরভাগ দাবি ৩ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করা হলেও আমরা আরও কম সময়ে বীমা দাবি পরিশোধ নিশ্চিত করতে প্রযুক্তি ও প্রক্রিয়াগত উন্নয়নের ওপর কাজ করছি। বীমা খাতে মানুষের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে পারলেই সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পুরো ইন্ডাস্ট্রির জন্যই ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
উল্লেখ্য, বীমা খাতকে দেশের সকল মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে মাইক্রো-ইন্স্যুরেন্স, ডিজিটাল এবং অল্টারনেটিভ ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেল, ব্যাংকাস্যুরেন্স সহ অন্যান্য উদ্ভাবনী বীমার ধারণা নিয়ে বাংলাদেশে এসেছে গার্ডিয়ান লাইফ। একইসাথে, তারা ৪৫০-টিরও বেশি দেশী ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জন্য বীমা সেবা নিশ্চিত করছে। পাশাপাশি, দেশজুড়ে সাড়ে ৪ শ’রও বেশি পার্টনার হাসপাতাল থেকে গার্ডিয়ান লাইফের গ্রাহকরা পাচ্ছেন নিরবিচ্ছিন্ন স্বাস্থ্যসেবা। ক্যাশলেস ফেসিলিটিস এর মাধ্যমে গ্রাহকরা গার্ডিয়ান লাইফ অ্যাপ এবং ২৪/৭ হেল্পলাইনের (১৬৬২২) মাধ্যমে পার্টনার হাসপাতাল থেকে নিতে পারছে নির্বিঘ্ন স্বাস্থ্য সেবা, কোন পেমেন্ট ছাড়াই। এছাড়াও গ্রাহকের প্রয়োজনের কথা ভেবে গার্ডিয়ান লাইফ নিয়ে এসেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চ্যাটবট ও টেলিমেডিসিন সেবা।
এএ
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: ইন স য র ন স গ র হক র পর শ ধ র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ইউনিটের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ মার্চের মধ্যেই: উপাচার্য
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকের (সম্মান) ভর্তির ফলাফল মার্চ মাসের মধ্যে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে ভাষাশহীদ রফিক ভবনের সামনে তিনি এ কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, ‘আজ “সি” ইউনিটের পরীক্ষার মাধ্যমে সব ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম শেষ হচ্ছে। আশা করি মার্চের মধ্যেই সব ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি ঈদের পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করে ক্লাস শুরু করারও পরিকল্পনা রয়েছে। দ্রুত ফলাফল প্রকাশ ও ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট সবাই নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।’
দীর্ঘ চার বছর পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব নিয়মে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে। প্রতি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মোট নম্বর ১০০। এর মধ্যে বহুনির্বাচনী প্রশ্নের জন্য থাকবে ২৪ নম্বর এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য থাকবে ৪৮ নম্বর। এ ছাড়া এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ১২ নম্বর ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ১৬ নম্বর যুক্ত হবে।
ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. মনজুর মোর্শেদ ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সি ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা।’
গত ৩১ জানুয়ারি ই ইউনিটের (চারুকলা অনুষদ), ১৪ ফেব্রুয়ারি ডি-ইউনিট (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ), ১৫ ফেব্রুয়ারি বি-ইউনিট (কলা ও আইন অনুষদ), ২২ ফেব্রুয়ারি এ-ইউনিটের (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ), ২৮ ফেব্রুয়ারি সি ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এ ইউনিটে ৪৪ হাজার ২২৩জন, বি ইউনিটে ৪২ হাজার ৯৭৪ জন, সি ইউনিটে ২০ হাজার ১১২ জন, ডি ইউনিটে ২৪ হাজার ৯৫৬ জন, ই ইউনিটে ১ হাজার ৩৭৫ জন শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) এ ইউনিটে ৮৬০, বি ইউনিটে ৭৮৫, সি ইউনিটে ৫২০, ডি ইউনিটে ৫৯০ এবং ই ইউনিটে ৬০টিসহ মোট ২ হাজার ৮১৫টি আসন রয়েছে।