ব্যাটিংয়ে রোহিত-কোহলিরা; টানা ১৪ টস হার
Published: 2nd, March 2025 GMT
আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে দুপুর ৩টায় মুখোমুখি হয়েছে ভারত-নিউ জিল্যান্ড। এই ম্যাচে যে দল জিতবে তারা গ্রুপ ‘এ’ থেকে শীর্ষে থেকে সেমি ফাইনালে ওঠবে। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুপুর ৩টায় শুরু হয়েছে ম্যাচটি।
এই ম্যাচে আবার একটি টস হারলেন রোহিত শর্মা। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে টানা তৃতীয় বার। আর গত বিশ্বকাপের পর থেকে টানা ১৪ ম্যাচে টসে হারলেন তিনি। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিউই কাপ্তান মিচেল স্যান্টনার।
টস জিতে স্যান্টনার বলেন, “উইকেট দেখে ভালো মনে হচ্ছে। পাকিস্তানের কন্ডিশন সম্পর্কে ধারণা আছে, তবে এখানকার উইকেট ভিন্ন।” নিউ জিল্যান্ড একটি পরিবর্তন নিয়ে নামছে। ড্যারেল মিচেল একাদশে ঢুকেছেন ডেভন কনওয়ের জায়গায়।
আরো পড়ুন:
নিউ জিল্যান্ডের অনেক ‘অর্জনের’ ম্যাচ
জয় শাহের সাথে সাক্ষাতের পর পাকিস্তান যাবেন ফারুক
একটি বদল নিয়েই নামছে ভারতও। পেসার হার্ষিত রানাকে বসিয়ে এই ম্যাচে স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীকে খেলানো হচ্ছে। এখান থেকেই বুঝা যাচ্ছে উইকেট খুবই নীচু এবং ধীর গতির হবে। এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এবারই প্রথম ইনিংসে ব্যাট করবে ভারত।
নিউজিল্যান্ড একাদশ: উইল ইয়ং, ড্যারেল মিচেল, কেন উইলিয়ামসন, রাচিন রবীন্দ্র, টম ল্যাথাম (কিপার), গ্লেন ফিলিপস, মাইকেল ব্রেসওয়েল, মিচেল স্যান্টনার (অধিনায়ক), ম্যাট হেনরি, কাইল জেমিসন, উইলিয়াম ওর্ক।
ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা, শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, লোকেশ রাহুল, অক্ষর পটেল, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, মোহাম্মদ শামি, কুলদীপ যাদব, বরুণ চক্রবর্তী।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আ.লীগকে যারা ফিরিয়ে আনতে চায়, তাদের প্রতিহত করার ঘোষণা
আওয়ামী লীগের বিচার ও দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ, সংস্কার এবং গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। যারা আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ফেরাতে চায়, সমাবেশ থেকে তাদের প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন দলটির নেতারা।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ি এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেন এনসিপির নেতা–কর্মীরা। এনসিপির বৃহত্তর তেজগাঁও ও শেরেবাংলা নগর জোন এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। কর্মসূচির শুরুতে খামারবাড়ি এলাকায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।
এ সময় আওয়ামী লীগের বিচার, নতুন সংবিধান প্রণয়ন এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান আদিব। তিনি বলেন, ‘এই অভ্যুত্থানের শহীদেরা আপনাদের ক্ষমতায় বসিয়েছে, তাঁদের কথা শুনুন।’
সমাবেশে এনসিপির সংগঠক মুনতাসির মাহমুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ছাত্র হত্যাকারী সংগঠন, তারা ৫ মে আলেমদের হত্যাকারী সংগঠন, তারা দেশপ্রেমিক সৈনিকদের হত্যাকারী সংগঠন—আমরা তাদের ফিরতে দেব না।’
এ সময় রক্তের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতার পর এখনো বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি চলছে অভিযোগ করে মুনতাসির মাহমুদ বলেন, ‘এখনো ফার্মগেট এলাকায় চাঁদাবাজি চলছে। আমরা চাঁদাবাজদের এ কাজ করতে দেব না। এ ছাড়া যারা আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনতে চায়, আমরা তাদের প্রতিহত করব।’
এনসিপির সংগঠক এস এম শোয়াইব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আবার বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় এনে শহীদদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে শহীদদের রক্তের ওপর গঠিত সরকার উল্লেখ করে শোয়াইব বলেন, ‘আপনাদের দায়িত্ব হচ্ছে গণহত্যার বিচার করা, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। কিন্তু এখন আমরা শুনতে পাচ্ছি, বাংলাদেশে নাকি আওয়ামী লীগকে মিছিল করার জন্য রাস্তা ভাড়া দেওয়া হচ্ছে।’
এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য আরও বক্তব্য দেন যুগ্ম সদস্যসচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত, মো. আলাউদ্দিন, মো. নিজামউদ্দিন ও আকরাম হুসেইন, সংগঠক ইমরান ইমন, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাইফুল্লাহ হায়দার, তেজগাঁও থানার আহ্বায়ক মো. ইরান প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল ফার্মগেট এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। এ সময় ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’, ‘গণহত্যার বিচার চাই, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চাই’, ‘শেখ হাসিনার বিচার চাই, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়।