সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ১১৬ বার পেছাল
Published: 2nd, March 2025 GMT
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আজ রোববারও আদালতে জমা পড়েনি।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আজ এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পক্ষ থেকে আজ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়নি।
আগামী ১৫ এপ্রিল প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নতুন তারিখ ঠিক করেছেন ঢাকার সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম। এ নিয়ে এই মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ১১৬ বার পেছানো হলো।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব এক যুগ পর পিবিআইকে দেওয়া হয়। গত বছরের নভেম্বরে মামলার আগের তদন্ত সংস্থা র্যাবের কাছ থেকে নথিপত্র বুঝে নেয় পিবিআই।
সংস্থাটি ইতিমধ্যে তদন্তকাজ শুরু করেছে। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় এই সাংবাদিক দম্পতি নৃশংসভাবে খুন হন। সাগর মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক ছিলেন। রুনি ছিলেন এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক।
আরও পড়ুনসাগর-রুনি হত্যার ১৩ বছর: ৬ বছর মামলার কার্যত কোনো তদন্ত হয়নি ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫সাগর-রুনি হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। প্রথমে এই মামলা তদন্ত করছিল শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ। চার দিন পর মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ৬২ দিনের মাথায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি। এরপর আদালত র্যাবকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। তখন থেকে মামলাটির তদন্ত করে আসছিল র্যাব। কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হলেও তারা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি।
আরও পড়ুনঅবশেষে র্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব গেল পিবিআইয়ের কাছে১৩ নভেম্বর ২০২৪সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তে বিভিন্ন সংস্থার অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করতে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তদন্ত শেষে ছয় মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
গত বছরের ২৩ অক্টোবর এ মামলার তদন্তে চার সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত ৪ নভেম্বর র্যাবের কাছ থেকে মামলার নথিপত্র বুঝে নেয় পিবিআই।
আরও পড়ুনসাগর-রুনি হত্যা: এক যুগেও হয়নি যে মামলার সুরাহা১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: তদন ত র দ য় ত ব
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লায় গাড়ির চাকায় হাওয়া দেওয়ার মেশিন বিস্ফোরণ, নিহত এক
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় গাড়িতে হাওয়া দেওয়ার মেশিন বিস্ফোরণে মো. জামশেদ আলম (৫১) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা সদরের আগানগর এলাকায় জামশেদ আলমের গ্যারেজে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত জামশেদ উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের আগানগর গ্রামের রহমত আলীর ছেলে। জামশেদ ওই গ্যারেজের মালিক ছিলেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত দুজন।
আহত দুজন হলেন বুড়িচং উপজেলার খাড়াতাইয়া গাজীপুর গ্রামের আবদুল সোবহানের ছেলে মো. মহসিন ও নোয়াপাড়া গ্রামের রাব্বান ভূঁইয়ার ছেলে মো. শাহ আলম।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন বলেন, দোকানের মালিক জামশেদ আলম গাড়ির চাকায় হাওয়া দেওয়ার জন্য মেশিনে হাওয়া লোড করছিলেন। এ সময় মেশিনটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে দোকানটি উড়ে যায়। এতে দোকানে থাকা জামশেদ আলম, মহসিন ও শাহ আলম আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক জামশেদ আলমকে মৃত ঘোষণা করেন। মহসিন ও শাহ আলম কিছুটা দূরে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুল হক বলেন, চাকায় হাওয়া দেওয়ার মেশিন বিস্ফোরণে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত দুজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।