রোজায় বাজারের অবস্থা স্থিতিশীল রাখতে কাজ করে যাচ্ছে প্রশাসন। তারপরও রমজানের শুরুতে সবজি বাজার স্থিতিশীল থাকলেও বাজার থেকে ‘উধাও’ সয়াবিন তেল। বিক্রেতাদের দাবি, প্রায় এক মাস ধরে সয়াবিন তেলের সংকট চলেছে। 

গত কয়েকদিন ধরে এ সংকট আরও প্রকট হয়েছে। কোনো প্রতিষ্ঠান তেল সরবরাহ করছে না। এমন খবর সামনে আসতেই বাজার সিন্ডিকেট নিয়ে কথা বলেছেন চিত্রনায়ক ওমর সানী।

সামাজিক মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘হঠাৎ করে সয়াবিন তেল উধাও। তার মানে, এখনো আপনাদের হারামিপনা কমে নাই। এই সিন্ডিকেটগুলোকে গণপিটুনির ব্যবস্থা করা ছাড়া আর উপায় নাই।’

সিন্ডিকেট করে যারা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করেন তাদের উদ্দেশ্যে ওমর সানী বলেন, ‘দয়া করে সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করবেন না। এগুলো করলে দেখবেন সব হারাতে হবে। কিছুদিন পরে লিভার নাই, কিডনি নাই, ক্যান্সার, বউ নাই, বাচ্চা কেই নাই।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ওমর স ন

এছাড়াও পড়ুন:

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে খালাসের রায় বহাল

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে খালাস দিয়ে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন, তা বহাল রয়েছে।

হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা পৃথক তিনটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ আজ সোমবার এ আদেশ দেন।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া এবং অপর দুজনের করা পৃথক আপিল মঞ্জুর করে গত ২৭ নভেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট। ওই মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া রায় বাতিল করা হয়। এ মামলা থেকে খালাস পান খালেদা জিয়া ও অপর দুজন।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ একটি ও দুদক পৃথক দুটি লিভ টু আপিল করে। পৃথক তিনটি লিভ টু আপিল একসঙ্গে শুনানির জন্য আজ আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ১০ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। দুদকের পক্ষে আইনজীবী আসিফ হাসান শুনানিতে অংশ নেন।

খালেদা জিয়ার পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, এম বদরুদ্দোজা ও মো. রুহুল কুদ্দুস, আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম, জাকির হোসেন ভূঁইয়া ও মো. মাকসুদ উল্লাহ শুনানিতে ছিলেন।

পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম বদরুদ্দোজা প্রথম আলোকে বলেন, ‘মেরিটে শুনানি নিয়ে পৃথক তিনটি লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে ওই মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে খালাস দিয়ে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন, তা বহাল রইল।’

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে হওয়া সব কটি মামলার নিষ্পত্তি এখনো হয়নি বলে জানান খালেদা জিয়ার অপর এক আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘লিভ টু আপিল খারিজ হওয়ায় খালেদা জিয়াসহ তিনজনকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রইল।’

হাইকোর্ট খালেদা জিয়াসহ তিনজনের আপিল মঞ্জুর করে গত বছরের ২৭ নভেম্বর রায় দিয়েছিলেন। অপর দুজন হলেন হারিস চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম ও সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর রাষ্ট্রপক্ষ গত মাসে একটি লিভ টু আপিল করে। আর খালেদা জিয়ার বিষয়ে একটি এবং অপর দুজনের বিষয়ে একটিসহ পৃথক দুটি লিভ টু আপিল করে দুদক। শুনানির পর আজ এই তিনটি লিভ টু আপিল খারিজ হলো।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করা হয়। একই সাজা হয় অপর আসামিদের। বিচারিক আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে একই বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে বিচারিক আদালতের দেওয়া অর্থদণ্ডের আদেশ স্থগিত করেন।

এর ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য উদ্যোগ নেন তাঁর আইনজীবীরা। আপিল শুনানির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে মামলার পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) তৈরির জন্য অনুমতি চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন গত বছরের ৩ নভেম্বর মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। শুনানি শেষে এই আপিল মঞ্জুর করে রায় দেন হাইকোর্ট।

সম্পর্কিত নিবন্ধ