আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, তার স্ত্রী সাঈদা হক ও মেয়ে সুমাইয়া হোসেনের নামে থাকা ৪৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (২ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন (গালিব) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদুক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

মামলার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।

আরো পড়ুন:

মুক্তিযোদ্ধার নাতি সেজে এক যুগ পুলিশে চাকরি, গ্রেপ্তার

১১৬ বার পেছাল সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন

আবেদনে বলা হয়, আমির হোসেন আমুর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণপূর্বক নিয়োগ বানিজ্য, টেন্ডার বানিজ্য, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে টি আর/কাবিখাসহ সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতপূর্বক বিদেশে অর্থ পাঁচারসহ নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। 

বর্তমানে অভিযোগের অনুসন্ধানকার্য শেষ পর্যায়ে রয়েছে। গোপন সূত্রে জানা যায়, আমীর হোসেন আমু, তার স্ত্রী সাঈদা হক ও মেয়ে সুমাইয়া হোসেন পলাতক অবস্থায় তাদের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন ও স্থানান্তর করার পরিকল্পনা করছেন। অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের নিজ নিজ নামে অর্জিত জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অস্থাবর সম্পদ যাতে উত্তোলন ও স্থানান্তর করতে না পারে সেজন্য ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ ক হ স ব অবর দ ধ আম র হ স ন আম

এছাড়াও পড়ুন:

নাটোরে যুবকের দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন 

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় ইসরাফিল নামে এক যুবককে কুপিয়ে দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করেছে দুর্বৃত্তরা। 

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সিংড়া উপজেলার হাতিয়ানদহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ইসরাফিল ওই এলাকার তাইজুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ইসরাফিলের বাবা তাইজুল ইসলাম বহুদিন পূর্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সিংড়া উপজেলার হাতিয়ানদহ এলাকায় এসে বাড়ি করেন। তারা রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। বৃহস্পতিবার সকালে এলাকাবাসী ইসরাফিলের চিৎকারে এগিয়ে গিয়ে তাকে রাস্তার ধারে দুই হাত কাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতাল এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নাটোর সদর হাসপাতালের ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. সুব্রত বলেন, “রোগীর দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন ছিল। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটা হয়েছে বলে মনে হলো। সকাল ৭টার দিকে রোগীকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেই সময় তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।”

সিংড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হক জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এ বিষয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন বলেন, “রাজনৈতিক কোনো বিষয় নিয়ে ঘটনাটি ঘটেনি। পরকীয়া সংক্রান্ত একটা বিষয় থাকতে পারে, সেই বিষয়টাও যাচাই-বাছাই করছি। যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তাদেরকে শনাক্তসহ গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলমান রয়েছে।”

ঢাকা/আরিফুল/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ