গাড়ি দুর্ঘটনায় সংগীতশিল্পী অ্যাঞ্জি স্টোন মারা গেছেন
Published: 2nd, March 2025 GMT
গ্র্যামি-মনোনীত সংগীতশিল্পী অ্যাঞ্জি স্টোন গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। ‘উইশ আই ডিড নট মিস ইউ’ গানের জন্য তিনি বিশ্বব্যাপী পরিচিতি তার। তিনি হিপ-হপ ত্রয়ী দ্য সিকোয়েন্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৩ বছর। খবরটি জানিয়েছে পিপল ম্যাগাজিন।
তিনি একজন সফল গীতিকারও ছিলেন। ডি’অ্যাঞ্জেলো, অ্যালিসিয়া কিস এবং লেনি ক্রাভিটজের মতো তারকাদের সঙ্গে কাজ করেছেন স্টোন।
স্টোনের একজন প্রতিনিধি নিশ্চিত করেছেন যে, শনিবার (১ মার্চ) গাড়ি দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে।
তার মেয়ে লেডি ডায়মন্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবরটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আমার মা চলে গেছেন।’
তিনি অভিনেত্রীও বটে। চলচ্চিত্র এবং টিভিতেও কাজ করেছিলেন। তাকে ‘দ্য হট চিক’ এবং ‘দ্য ফাইটিং টেম্পটেশন’-এর মতো সিনেমায় দেখা গিয়েছিলো। এই সংগীতশিল্পী ১০টি একক অ্যালবাম প্রকাশ করেছিলেন। তার মধ্যে তিনটি গ্র্যামির জন্য মনোনীত হয়েছিলো।
স্টোনের জন্ম ১৯৬১ সালের ১৮ ডিসেম্বর কলম্বিয়ার এসসি-তে। উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময় তাঁর সংগীতজীবন শুরু হয়। বন্ধু শেরিল কুক, যিনি ‘চেরিল দ্য পার্ল’ নামে পরিচিত এবং গোয়েনডোলিন চিসোলম, যিনি ‘ব্লন্ডি’ নামে পরিচিত, তাদের সাথে ‘দ্য সিকোয়েন্স’ প্রতিষ্ঠা করেন।
.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ ড় দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্স ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ
সমালোচনার মুখে বাতিল করা হয়েছে স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বাবা বিল্লাল হোসেনের ঠিকাদারি লাইসেন্স। বাবার এ ‘ভুলের’ জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন আসিফ মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন উপদেষ্টা। এ সময় তার বাবার লাইসেন্স বাতিলের বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেন এবং এ সংক্রান্ত কাগজপত্র শেয়ার করেন।
আসিফ মাহমুদ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে শুরুতেই তার বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “গতকাল (বুধবার) রাত ৯টার দিকে একজন সাংবাদিক কল দিয়ে আমার বাবার নামে ইস্যুকৃত ঠিকাদারি লাইসেন্সের বিষয়ে জানতে চাইলেন। বাবার সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হলাম তিনি জেলা পর্যায়ের (জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ারের কার্যালয় থেকে ইস্যুকৃত) একটি লাইসেন্স করেছেন।”
তিনি লেখেন, “বিষয়টি ওই সাংবাদিককে নিশ্চিত করলাম। তিনি পোস্ট করলেন, নিউজও হলো গণমাধ্যমে। নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে তাই ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজনবোধ করলাম”।
আসিফ জানান, তার বাবা একজন স্কুলশিক্ষক। স্থানীয় একজন ঠিকাদার কাজ পাওয়ার সুবিধার্থে তার বাবার পরিচয় ব্যবহার করার জন্য তাকে লাইসেন্স করার পরামর্শ দেন।
“বাবাও তার কথায় জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার থেকে একটি ঠিকাদারি লাইসেন্স করেন। রাষ্ট্রের যেকোনো ব্যক্তি ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে যেকোনো লাইসেন্স করতেই পারেন। তবে তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় বাবার ঠিকাদারি ব্যবসায় জড়ানো স্পষ্টভাবেই 'কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট' বা স্বার্থের সংঘাত।”
বিষয়টি বোঝার পর আজ তার বাবার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাইসেন্সটি বাতিল করা হয়েছে বলেও জানান আসিফ মাহমুদ।
তিনি লেখেন, “বাবা হয়তো কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের বিষয়টি বুঝতে পারেননি, সেজন্য বাবার পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।”
এই লাইসেন্স ব্যবহার করে মধ্যবর্তী সময়ে কোনো কাজের জন্য আবেদন করা হয়নি বলেও সেখানে উল্লেখ করেন তিনি।
ঢাকা/ইভা