গ্র্যামি-মনোনীত সংগীতশিল্পী অ্যাঞ্জি স্টোন গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। ‘উইশ আই ডিড নট মিস ইউ’ গানের জন্য তিনি বিশ্বব্যাপী পরিচিতি তার।   তিনি হিপ-হপ ত্রয়ী দ্য সিকোয়েন্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা।  মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৩ বছর।  খবরটি জানিয়েছে পিপল ম্যাগাজিন।

তিনি একজন সফল গীতিকারও ছিলেন। ডি’অ্যাঞ্জেলো, অ্যালিসিয়া কিস এবং লেনি ক্রাভিটজের মতো তারকাদের সঙ্গে কাজ করেছেন স্টোন।

স্টোনের একজন প্রতিনিধি নিশ্চিত করেছেন যে, শনিবার (১ মার্চ) গাড়ি দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে।  

তার মেয়ে লেডি ডায়মন্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবরটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আমার মা চলে গেছেন।’

তিনি অভিনেত্রীও বটে। চলচ্চিত্র এবং টিভিতেও কাজ করেছিলেন। তাকে ‘দ্য হট চিক’ এবং ‘দ্য ফাইটিং টেম্পটেশন’-এর মতো সিনেমায় দেখা গিয়েছিলো।    এই সংগীতশিল্পী ১০টি একক অ্যালবাম প্রকাশ করেছিলেন। তার মধ্যে তিনটি গ্র্যামির জন্য মনোনীত হয়েছিলো।  

স্টোনের জন্ম ১৯৬১ সালের ১৮ ডিসেম্বর কলম্বিয়ার এসসি-তে। উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময় তাঁর সংগীতজীবন শুরু হয়। বন্ধু শেরিল কুক, যিনি ‘চেরিল দ্য পার্ল’ নামে পরিচিত এবং গোয়েনডোলিন চিসোলম, যিনি ‘ব্লন্ডি’ নামে পরিচিত, তাদের সাথে ‘দ্য সিকোয়েন্স’ প্রতিষ্ঠা করেন।

 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ ড় দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

ভারী যন্ত্রের অভাবে মিয়ানমারে খালি হাতে উদ্ধার অভিযান

মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর দুই দিন পেরিয়ে গেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিত ব্যক্তিদের বের করে আনতে দিনরাত এক করে কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা।

কিন্তু বেশির ভাগ উদ্ধারকর্মীকে খালি হাতে ধ্বংসস্তূপ সরাতে হচ্ছে। ভারী যন্ত্রপাতির অভাবে উদ্ধারকাজ ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এত বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করার মতো সক্ষমতা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ মিয়ানমারের নেই।

গত শুক্রবার ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে মিয়ানমারে বহু ভবন ও স্থাপনা ধসে পড়েছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চল, দেশটির এক সময়ের রাজধানী মান্দালয়ের কাছে। প্রাচীন এই শহরে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ বসবাস করেন। সেখানে অনেক ঐতিহাসিক মন্দির ও প্রাসাদ রয়েছে।

মান্দালয়ে ভূমিকম্পের পর বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের একজন ২৫ বছরের হতেত মিন। তিনি রয়টার্সকে বলেন, ‘সেখানে অনেক ধ্বংসস্তূপ পড়ে আছে। কোনো উদ্ধারকারী দল আমাদের এখানে আসেনি।’

হতেত আরও বলেন, তাঁর স্বজনদের কয়েকজন একটি ধসে পড়া ভবনের নিচে চাপা পড়ে আছেন। তিনি খালি হাতে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে তাঁদের বের করে আনার চেষ্টা করছেন।

মান্দালয়ের শহরতলি আমারাপুরা। সেখান থেকে একজন উদ্ধারকর্মী জানিয়েছেন, তিনি একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নিচে চাপা পড়া ১৪০ বৌদ্ধভিক্ষুর কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।

ওই উদ্ধারকর্মী বলেন, ‘আমরা তাদের সাহায্য করতে পারছি না। কারণ, ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নেওয়ার মতো লোকবল ও যন্ত্রপাতি আমাদের নেই। কিন্তু আমরা আশা ছাড়ছি না। আমরা কাজ বন্ধ করব না।’

চীন, ভারত, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ মিয়ানমারের প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশ ভূমিকম্প দুর্গতদের উদ্ধারের সেখানে উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী বলেছে, ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬০০–এর বেশি মানুষ মারা গেছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ৩ হাজার ৪০০ জন। নিখোঁজ প্রায় ১৪০ জন। হতাহতের এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুনভূমিকম্প বিধ্বস্ত মিয়ানমারে ত্রাণ ও উদ্ধারকারী দল নিয়ে ছুটছে প্রতিবেশী দেশগুলো৪ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শাকিবের ‘বরবাদ’ দেখে কী বলছেন দর্শকরা?
  • গাজা পরিস্থিতিতে জড়িত ‘সব পক্ষ’কে যুদ্ধবিষয়ক আইন মানতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র
  • কটিয়াদীতে ডাকাতি শেষে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ
  • সব কাজ সামলে নিজেদের স্বাস্থ্যের জন্য সময় বের করা কঠিন, মুটিয়ে যাওয়ার সমস্যায় অনেক নারী
  • কেন ট্রলের শিকার হচ্ছেন সৌরভের স্ত্রীর ডোনা গাঙ্গুলী
  • টিভি পর্দায় ‘তুফান’
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ১
  • ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, বিএনপি-আ.লীগ সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ২
  • সব হারানো শিশুদের রঙিন ঈদ
  • ভারী যন্ত্রের অভাবে মিয়ানমারে খালি হাতে উদ্ধার অভিযান