সবাই সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়: সিইসি
Published: 2nd, March 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
প্রধান নির্বাচন নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, একটি বিষয়ে সবাই একমত, সবাই সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন চায়।
রোববার (২ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে জাতীয় ভোটার দিবস-২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন সিইসি।
তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের বৈঠকের সময় তারা সুষ্ঠু নির্বাচন চায় কি না প্রশ্ন করে একটি লিখিত ডক্যুমেন্টস নিয়ে রাখলে ইসির কাজ সহজ হবে।
নাসির উদ্দিন বলেন, আমাদের এজেন্ডা নাই, কারও এজেন্ডা বাস্তবায়নে আমরা নাই, আমদের এজেন্ডা বাংলাদেশের মানুষের এজেন্ডা, আমাদের ওয়াদা সুষ্ঠু নির্বাচন সেটা আমরা করবো।
তিনি বলেন, মানুষ নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে। এখানে ব্যর্থ হলে শহীদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানী করা হবে। সবাই সুষ্ঠু নির্বাচন চায়, আমাদের দিকে প্রত্যাশা সবার। আগে এই প্রত্যাশা ছিল না। এই প্রত্যাশা পূরণে সবার সহযোগিতা লাগবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরুদ্ধমত মেনে নিতে হবে, এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।
রমজান মাসের কথা উল্লেখ করে সিইসি সবার কাছ থেকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার ওয়াদা নেন।
তিনি বলেন, মরা নির্বাচন নিয়ে আর বিলাপ করতে চাই না। বিলাপের দিন শেষ, এখন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে। ভোট সন্ত্রাস করে আপাতত জেতা যায়, কিন্তু আখেরে নিজের জন্য, দলের জন্য, দেশের জন্য ভালো হয়না। প্রত্যাশা কেউ এই কাজ করবেন না। আমরা সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করছি। সবার সহযোগিতা চাই।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
বিতর্কিত নারী বিষয়ক সুপারিশমালা অবিলম্বে বাতিলের দাবি
অগ্রহণযোগ্য ও বিতর্কিত নারী বিষয়ক সুপারিশমালা অবিলম্বে বাতিল ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
রবিবার (১৫ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালা পবিত্র কুরআনের বিধানের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক এবং ইসলাম ও মুসলিম পরিচয়ের অস্তিত্বের ওপর একটি সুপরিকল্পিত আঘাত। এই প্রস্তাবনার মাধ্যমে দেশের ধর্মীয় ভারসাম্য, পারিবারিক কাঠামো ও সামাজিক স্থিতিশীলতাকে ধ্বংস করার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।”
তিনি অবিলম্বে অগ্রহণযোগ্য ও বিতর্কিত নারীবিষয়ক সুপারিশমালা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন, তা ইসলাম ও মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে সামঞ্জস্যশীল নয়। কমিশনের সুপারিশমালার ২৫ পৃষ্ঠায় মুসলিম উত্তরাধিকার আইন বাতিল করে নারী-পুরুষকে সমান সম্পত্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।”
“আমরা মনে করি, বাংলাদেশে প্রচলিত মুসলিম পারিবারিক ও উত্তরাধিকার আইন মূলত আল্লাহ তাআলার নির্ধারিত উত্তরাধিকার বিধান দ্বারা রচিত। এটিকে বাতিল করার অর্থ সরাসরি কুরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া। এটি শুধু শরীয়তের অবমাননাই নয়, বরং মুসলিম পরিচয়ের মূলে কুঠারাঘাত।”
তিনি বলেন, “পবিত্র কুরআনে যিনাকে মহাপাপ ও ঘৃণ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ প্রদত্ত সুপারিশমালায় যিনাকে উৎসাহিত এবং বিবাহকে নিরুৎসাহিত করে সরাসরি পবিত্র কুরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া হয়েছে।
আমরা মনে করি এই ধরনের প্রস্তাবনা সমাজে চরম অস্থিরতা সৃষ্টি করবে। সমাজকে অস্থিতিশীল করার সর্বনাশা চক্রান্তে কারা কলকাঠি নাড়ছে এবং মুসলিম পারিবারিক ও উত্তরাধিকার আইন নিয়ে কারা ছিনিমিনি খেলছে জাতির সামনে অতি দ্রুত তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।”
“কমিশনের সুপারিশমালার ৯ম পৃষ্ঠায় সকল ধর্মের জন্য অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে; যা বাস্তবায়ন করা হলে মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ সবাইকে ধর্মীয় পারিবারিক বিধান থেকে বিচ্ছিন্ন করে একটি ধর্মহীন কাঠামোয় আসতে বাধ্য করা হবে।”
এটি ধর্মীয় স্বাধীনতার চরম লঙ্ঘন বলে মনে করেন তিনি।
জামায়াত সেক্রেটারী বলেন, “কমিশনের প্রস্তাবনা ৯ম পৃষ্ঠায় আরও বলা হয়েছে, জাতিসংঘ প্রণীত CEDAW সনদের অধীনে বিবাহ ও পারিবারিক ক্ষেত্রে আইনের বাস্তবায়ন করা দরকার। CEDAW-এর অনেক শর্ত সরাসরি ইসলামবিরোধী; যেখানে বিয়েকে শুধু একটি সামাজিক চুক্তি হিসেবে দেখা হয় এবং ইসলামী নিকাহ ও অভিভাবকত্বের মতো মৌলিক ধারণাগুলোর বিরোধিতা করা হয়।”
তিনি আরও বলেন, “উক্ত সুপারিশমালার ৯ম পৃষ্ঠার আরেক জায়গায়, নারী-পুরুষের পারিবারিক ভূমিকাকে অভিন্নভাবে দেখার প্রস্তাব করা হয়েছে। দেশের ইসলামিক স্কলাররা মনে করেন, ইসলাম নারী-পুরুষের মর্যাদা সমান মনে করলেও, তাদের ভূমিকায় প্রাকৃতিক পার্থক্যকে স্বীকার করে। তাই ‘নারী-পুরুষের পারিবারিক ভূমিকাকে অভিন্নভাবে দেখার’ প্রস্তাবটি ইসলামী সমাজব্যবস্থাকে বিকৃত করার অপপ্রয়াস ছাড়া আর কিছুই নয়।”
এমতাবস্থায় দেশের বিজ্ঞ আলেম সমাজসহ আমরা মনে করি, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উপরোক্ত বিষয়াদি সুবিবেচনায় নিয়ে জনগণের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবেন এবং দেশের সকল ধর্মের নাগরিকদের ধর্মীয় বিধান সমুন্নত রেখে এ অগ্রহণযোগ্য ও বিতর্কিত সুপারিশমালা অবিলম্বে বাতিল ঘোষণা করবেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/টিপু