Risingbd:
2025-12-14@06:54:15 GMT

স্বাগতম মাহে রমজান!

Published: 2nd, March 2025 GMT

স্বাগতম মাহে রমজান!

রহমত, নাজাত ও মাগফিরাতের বার্তা নিয়ে আবারো এসেছে পবিত্র রমজান। মহান আল্লাহর কাছে মুমিনের যত প্রত্যাশা তার সবই ধারণ করে রমজান। কেননা রমজান দয়া ও অনুগ্রহের মাস, রমজান মুক্তি ও ক্ষমা লাভের মাস। রমজান আত্মিক পরিশুদ্ধির মাধ্যমে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাস। রমজানের আগমনে খুশি হয় মুমিন। যেভাবে খুশি হতেন তাদের প্রিয় নবীজি (সা.

)। হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজান মাসের আগমনে খুশি হতেন এবং রমজানের চাঁদকে অভিনন্দন জানাতেন। রমজানকে স্বাগত জানাতেন তার সাহাবিরাও। হজরত হাসান ইবনে আলী (রা.) চাঁদ দেখে বলতেন, ‘হে আল্লাহ! এ মাসকে প্রাচুর্য ও জ্যোতির্ময় করুন, পুণ্য ও ক্ষমার মাধ্যম করুন। হে আল্লাহ! আপনি (এ মাসে) আপনার বান্দাদের মাঝে কল্যাণ বিতরণ করবেন, সুতরাং আপনার পুণ্যবান বান্দাদের জন্য যা বণ্টন করবেন, তা আমাদেরও দান করুন।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা)

রমজানের আগমনে রাসুলুল্লাহ (সা.) সুসংবাদ দিয়ে বলেন, ‘তোমাদের কাছে বরকতময় মাস রমজান আগমন করল। আল্লাহ তোমাদের ওপর এই মাসের রোজা ফরজ করেছেন, এই মাসে জান্নাতের দরজা খোলা হয় এবং জাহান্নামের দরজা বন্ধ করা হয়। শয়তানকে শৃঙ্খলিত করা হয়। এ মাসে এমন একটি রাত আছে যা হাজার রাতের চেয়ে উত্তম। যে এর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো, সে সত্যিই বঞ্চিত হলো।’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ২১০৮)

উল্লিখিত হাদিসটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। রাসুলুল্লাহ (সা.) এখানে রমজানের মাহাত্ম্য, মর্যাদা, করণীয় বর্ণনা করেছেন। পাশাপাশি রমজান মাসের ব্যাপারে উদাসীনতার পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। যারা আল্লাহর ইবাদত, আনুগত্য, সংযম ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে রমজানের মহামূল্যবান সময়কে কাজে লাগাবে তারা মূলত নিজেদের জন্য জান্নাতের দ্বার উন্মুক্ত করল। আর যারা তা করতে সক্ষম হলো না তারা প্রকৃতপক্ষেই বঞ্চিত হয়ে গেল। 

আরো পড়ুন:

রাজধানীর মসজিদে মসজিদে তারাবির জামাতে মুসল্লিদের ঢল

ধৈর্য ও সংযমের মাধ্যমে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তাঁর পুরস্কার একজন মুমিনের জীবনে পরম আরাধ্য। হাদিসে এসেছে, রমজানে মুমিনের আমলের প্রতিদান বৃদ্ধি করেন। এটা তো সন্তুষ্টির সাক্ষ্য বহন করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মানব সন্তানের প্রতিটি আমলের প্রতিদান ১০ গুণ থেকে সাত শ গুণ পর্যন্ত বর্ধিত হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, তবে রোজা ছাড়া। কেননা তা শুধু আমার জন্য এবং আমিই তার পুরষ্কার দেবো।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৮২৩)

পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই ধৈর্যশীলদের প্রতিদান দেওয়া হয় অগণিত।’ (সুরা ঝুমার, আয়াত : ১০)

জীবনযুদ্ধে বিধ্বস্ত ও হতাশ ব্যক্তি রমজানের আগমনে খুশি হয়। কেননা রমজানে আল্লাহ তাঁর দোয়া প্রার্থনার ঘোষণা দিয়েছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তিন ধরনের লোকের দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। রোজাদার যতক্ষণ সে ইফতার না করে, ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া এবং মজলুমের দোয়া। আল্লাহ তাআলা এসব দোয়াগুলো মেঘমালার ওপরে তুলে নেন এবং এর জন্য আকাশের দ্বারগুলো খুলে দেওয়া হয়। আল্লাহ বলেন, আমার মর্যাদার শপথ! আমি নিশ্চয়ই তোমার সাহায্য করব কিছু বিলম্বে হলেও। (জামে তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৯৮)

কল্যাণকামী মুমিনের প্রতি মহিমান্বিত রমজানেরও একটি আহবান আছে। কোরআনের ভাষায় তা হলো, ‘তোমরা সৎকাজে প্রতিযোগিতা ক।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ৪৮)

রমজান আরো আহবান জানাচ্ছে, ‘তোমরা ধাবিত হও স্বীয় প্রতিপালকের ক্ষমা ও সেই জান্নাতের দিকে যার বিস্তৃতি আসমান ও জমিনের ন্যায়, যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে মুত্তাকিদের জন্য।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৩৩)

আর যারা নেক কাজে অগ্রবর্তী হয় তাদের ব্যাপারে মহান আল্লাহর অঙ্গীকার হলো, ‘অগ্রবর্তীরা তো অগ্রবর্তীই। তারাই নৈকট্যপ্রাপ্ত নিয়ামতপূর্ণ জান্নাতে।’ (সুরা ওয়াকিয়া, আয়াত : ১০-১২) 

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, (এ মাসে) একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা দিতে থাকে হে কল্যাণ অন্বেষণকারী! অগ্রসর হও। হে পাপাসক্ত! বিরত হও। (জামে তিরমিজি, হাদিস : ৬৮২)

আল্লাহ সবাইকে পবিত্র এই মাসের আহবানে সাড়া দেওয়ার এবং ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে তাঁর নৈকট্য অর্জনের তাওফিক দিন। আমিন।

লেখক: মুহাদ্দিস, সাঈদিয়া উম্মেহানী মহিলা মাদরাসা, ঢাকা।

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর রমজ ন আল ল হ ত রমজ ন র র আগমন কল য ণ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ভিনগ্রহের প্রাণীদের পৃথিবীতে আগমন নিয়ে যা ভাবেন ইলন মাস্ক

প্রযুক্তি জগতের আলোচিত ব্যক্তিত্ব ইলন মাস্ক ভিন্নগ্রহের প্রাণী বা ইউএফও দেখা নিয়ে নতুন এক তথ্য দিয়ে চমক তৈরি করেছেন। অনেকেই ভিনগ্রহের প্রাণীরা পৃথিবীতে আসছে বলে বিশ্বাস করলেও ইলন জানিয়েছেন, তিনি বা তাঁর সংস্থা স্পেসএক্সের কেউই ভিনগ্রহের প্রাণীর আগমনের কোনো প্রমাণ পাননি। বেশির ভাগ ইউএফও ঘটনা ব্যাখ্যাহীন ঘটনা। উন্নত সামরিক প্রকল্প বা সাধারণ বস্তু থেকে বিভ্রান্তি তৈরি হয় বলে জানান ইলন মাস্ক।

সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে মাস্ক বলেন, যদিও আকাশে অদ্ভুত বস্তু দেখা যাওয়ার খবর প্রায়ই শিরোনাম হয়, তবে এর আসল ব্যাখ্যা সাধারণত নাটকীয় হয় না। তাঁর মন্তব্যের কারণে ইউএফও এলিয়েন জীবনের প্রমাণ নাকি কেবল ভুল বোঝা—তা নিয়ে নতুন আলাপ শুরু হয়েছে। মাস্ক বলেছেন, তিনি বা স্পেসএক্সের শীর্ষস্থানীয় দলের কেউই কখনো ভিনগ্রহের প্রাণীর কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দেখেননি। ইলন মাস্কের স্পেসএক্স হাজার হাজার রকেট ও স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে এবং মহাকাশে অসংখ্য বস্তু অনুসরণ করে চলেছে। মাস্ক যুক্তি দেন, যদি ভিনগ্রহের প্রাণীরা সত্যিই পৃথিবীতে আসত, তবে যাঁরা প্রতিদিন আকাশ পর্যবেক্ষণ করে তারাই প্রথম জানতে পারতেন।

ইলন মাস্ক আরও ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইউএফও দেখার বেশির ভাগ ঘটনার পেছনে সম্ভবত স্বাভাবিক ও সাধারণ কারণ রয়েছে। এর মধ্যে গোপনীয় মার্কিন সামরিক বিমান, হাইপারসনিক অস্ত্রের পরীক্ষা বা অন্যান্য উন্নত প্রতিরক্ষা প্রকল্পকে মানুষ ভুল বুঝতে পারে। সাধারণ মানুষের কাছে এসব রহস্যময় মনে হতে পারে, কিন্তু মহাকাশশিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের কাছে সেসব এলিয়েন নয়।

মার্কিন সরকারের তদন্তকারীরাও বছরের পর বছর ধরে একই কথা বলে আসছেন। মাস্ক বলেন, বেশির ভাগ ইউএফও রিপোর্ট ড্রোন, বেলুন, আলোক প্রতিফলন বা এমনকি সেন্সরের ত্রুটি হিসেবে দেখা যায়। জনগণের কাছে যা অবিশ্বাস্য মনে হয়, বিশেষজ্ঞদের কাছে তা প্রায়ই খুব সাধারণ।

মাস্কের মন্তব্য পেন্টাগনের অল-ডোমেইন অ্যানোমালি রেজল্যুশন অফিসের অনুসন্ধানের সঙ্গে মিলে যায়। এই সংস্থা ৮০০টির বেশি ইউএফওর ঘটনা নিয়ে কাজ করে ভিনগ্রহের প্রাণীর কোনো প্রমাণ খুঁজে পায়নি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, ইউএফও মনে করা বস্তুর পেছনে সাধারণ ভিন্ন কোনো ব্যাখ্যা রয়েছে, ভিনগ্রহের জীবনের কোনো সম্পর্ক নেই।

ইউএফওর গল্পকে ভুল প্রমাণিত করলেও মাস্ক মহাবিশ্বের জীবন অনুসন্ধানের বৈজ্ঞানিক প্রচেষ্টাকে সমর্থন করেন। মঙ্গল গ্রহে অভিযান, গভীর মহাকাশ যান পাঠানো ও ভবিষ্যতের টেলিস্কোপ হয়তো একদিন অন্য কোথাও জীবনের লক্ষণ প্রকাশ করতে পারে বলে মনে করেন ইলন মাস্ক। ইলন বলেন, মানুষের কল্পনাকে প্রমাণের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা উচিত নয়।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কলকাতায় মহাতারকা মেসির আগমন, ভাঙল উচ্ছ্বাসের বাঁধ
  • ভারতে মেসি কখন, কোথায়, কী করবেন?
  • মেসির জন্য প্রস্তুতি তুঙ্গে কলকাতায়
  • ভিনগ্রহের প্রাণীদের পৃথিবীতে আগমন নিয়ে যা ভাবেন ইলন মাস্ক