বগুড়ার ক্লিনিকে প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ, ভাঙচুর
Published: 2nd, March 2025 GMT
বগুড়ার একটি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে গর্ভের সন্তানসহ রোখসানা আক্তার নামের এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। এ ঘটনায় তারা হাসপাতালের সাইনবোর্ড এবং দরজা ভাঙচুর চালিয়েছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
শনিবার (১ মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকায় অবস্থিত এনাম ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ঘটনাটি ঘটে।
মারা যাওয়া রোখসানা বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার মথুরাপাড়া গ্রামের রুবেল হোসেনের স্ত্রী।
আরো পড়ুন:
নাইক্ষ্যংছড়িতে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি আহত
রামেক হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, চিকিৎসাসেবা ব্যাহত
রোখসানার ভাই সাফিউল ইসলাম অভিযোগ করেন, “শনিবার রোখনাসার সন্তান প্রসবের ব্যথা ওঠে। সকাল ১১টার দিকে তাকে ক্লিনিকে নিয়ে আসা হয়। সেসময় তাদের (ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ) সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, রোগীকে নিয়ে আসেন ইমিডিয়েট সিজার করিয়ে দেব। রোগীকে ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক ছিল না। তারা জানায়, ডাক্তার কিছুক্ষণ পর আসবেন। রোগী ভর্তির প্রায় ১২ ঘণ্টা পর ক্লিনিকে ডাক্তার আসেন।”
তিনি আরো বলেন, “রোগীর অবস্থা ভালো না থাকায় তাকে চিকিৎসার জন্য অন্যত্র নিতে বলা হয়। পরে রোগীকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক রোখসানাকে গর্ভের সন্তানসহ মৃত ঘোষণা করেন।”
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোস্তফা মঞ্জুর বলেন, “জেলা প্রশাসক এবং সিভিল সার্জনসহ আমাদের ডিপার্টমেন্টের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
বগুড়ার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা.
ঢাকা/এনাম/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়: ৬৫৩১ জনের ফলাফল বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদনের শুনানি কাল
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে নিয়োগ দিতে ৬ হাজার ৫৩১ জনের প্রকাশিত ফলাফল বাতিলসংক্রান্ত রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) শুনানির জন্য আগামীকাল সোমবার দিন রাখা হয়েছে।
আবেদনকারীপক্ষের সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ দিন রাখেন।
এর আগে এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে গত ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে ৬ হাজার ৫৩১ জনকে নিয়োগ দিতে প্রকাশিত চূড়ান্ত ফলাফল এবং নির্বাচিত ব্যক্তিদের অনুকূলে নিয়োগপত্র ইস্যুর সিদ্ধান্ত আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গত বছরের ২৩ জুলাইয়ের পরিপত্র অনুসরণ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নতুন করে ফলাফল প্রকাশ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষে নিয়মিত লিভ টু আপিল করা হয়। লিভ টু আপিলটি গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে ওঠে। সেদিন চেম্বার আদালত লিভ টু আপিলটি ২ মার্চ আপিল বিভাগে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন। লিভ টু আপিলটি আদালতের আজকের কার্যতালিকায় ১৪ নম্বর ক্রমিকে ছিল।
আদালতে লিভ টু আপিলকারী পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও আইনজীবী মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আইনজীবী মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এক দিন সময় মঞ্জুর করে আদালত আগামীকাল (সোমবার) শুনানির জন্য রেখেছেন।’
২০২৩ সালের ১৪ জুন এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর ৬ হাজার ৫৩১ প্রার্থীকে নির্বাচন করে গত বছরের ৩১ অক্টোবর নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গত ১১ নভেম্বরের এ-সংক্রান্ত আদেশ অনুসারে নির্বাচিত প্রার্থীদের অনুকূলে ২০ নভেম্বর নিয়োগপত্র ইস্যু করার কথা ছিল। তবে এই নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা অনুসরণের অভিযোগ তুলে ফলাফল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগবঞ্চিত ৩১ প্রার্থী গত বছরের নভেম্বরে রিট করেন।
রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরে ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। ৩১ অক্টোবর ও ১১ নভেম্বরের সিদ্ধান্তের কার্যক্রম স্থগিত করেন।
রুলে ৩১ অক্টোবরের ফলাফল প্রকাশের বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগ বিষয়ে ১১ নভেম্বরের নির্দেশনা সংবলিত স্মারক কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহাপরিচালকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
হাইকোর্টের আদেশ (৩১ অক্টোবর ও ১১ নভেম্বরের সিদ্ধান্ত স্থগিত) স্থগিত চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। যা গত ৯ ডিসেম্বর আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে দিয়ে হাইকোর্টে এ-সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল যথাযথ (অ্যাবসলিউট) ঘোষণা করে চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি রায় দেওয়া হয়।