সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স, মুখোমুখি লড়াই, দলীয় অর্জন—সবকিছুতেই ভারতের চেয়ে পিছিয়ে পাকিস্তান। এ নিয়ে বিতর্কের কোনো সুযোগ নেই।  

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও চিরপ্রতিন্দ্বী পাকিস্তানকে হেসেখেলে হারিয়েছে ভারত। এ–ই যখন অবস্থা, তখন ভারতকে নতুন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন পাকিস্তান কিংবদন্তি সাকলায়েন মুশতাক। পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন সংস্করণেই ১০টি করে ম্যাচ খেলে ভারত ভালো দল কি না, তা প্রমাণ করতে বলেছেন সাবেক এই স্পিনার।

ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তান সর্বশেষ ওয়ানডে জিতেছে ২০১৭ সালে। সেই বছর চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছিল পাকিস্তান। এরপর বিশ্বকাপ, এশিয়া কাপ ও সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি মিলিয়ে ভারতের বিপক্ষে ৭টি ওয়ানডে খেলেছে পাকিস্তান, যেখানে হেরেছে ৬টিতে, অন্যটি পরিত্যক্ত।

তোমরা যদি এতই ভালো হও, তাহলে পাকিস্তানের সঙ্গে ১০ টেস্ট, ১০ ওয়ানডে ও ১০ টি-টোয়েন্টি খেলো। তাহলে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।সাকলায়েন মুশতাক

২০১১ সাল থেকে ভারত ও পাকিস্তান মোট ১৭টি ওয়ানডে ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে, যার মধ্যে ভারত জিতেছে ১২টি, পাকিস্তান মাত্র ৪টি, একটি ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত। সর্বশেষ ৫ টি-টোয়েন্টিতেও ভারত জিতেছে ৩ ম্যাচে।

সাদা পোশাকের ক্রিকেটের প্রসঙ্গ আপাতত সরিয়ে রাখলেও চলছে। কারণ, সর্বশেষ এই দুটি দেশ টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে ২০০৭ সালে। বাকি দুই সংস্করণে ভারত সাম্প্রতিক ফর্মে এগিয়ে থাকলেও তাদের প্রমাণ দিতে বললেন সাকলায়েন।

আরও পড়ুনভারতের সামনে কী অপেক্ষা করছে, ‘সেইম সেইম’ না ‘ডিফারেন্ট’৪৪ মিনিট আগে

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ২৪ নিউজ এইচডি চ্যানেলে মুশতাক বলেছেন এভাবে, ‘তাদের ক্রিকেটাররা ভালো। তারা দারুণ ক্রিকেট খেলছে। কিন্তু তোমরা যদি এতই ভালো হও, তাহলে পাকিস্তানের সঙ্গে ১০ টেস্ট, ১০ ওয়ানডে ও ১০ টি-টোয়েন্টি খেলো। তাহলে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।’

পাকিস্তানের হয়ে ৪৯৬ উইকেট নেওয়া এই স্পিনার আরও বলেছেন, ‘আমরা যদি ভালো প্রস্তুতি নিই, সঠিক পথে কাজ করি, তাহলে ভারতকে ও বিশ্বকে মোক্ষম জবাব দিতে পারব।’

ভারতের কাছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও হেরেছে পাকিস্তান.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স কল য় ন

এছাড়াও পড়ুন:

পৃথিবীর চারপাশে নতুন ধরনের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা

অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে পৃথিবীর চারপাশে ভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের সন্ধান করছিলেন বিজ্ঞানীরা। অবশেষে লুকানো সেই বৈদ্যুতিক শক্তির খোঁজ পাওয়ার দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার একদল বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, নতুন ধরনের এই বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র পৃথিবীর ওপরের বায়ুমণ্ডল জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে। শান্ত কিন্তু শক্তিশালী এই বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র পৃথিবীর ওপরের বায়ুমণ্ডলকে প্রভাবিত করতে সক্ষম। পৃথিবীর বায়ু ও মহাকাশের সংযোগে প্রধান ভূমিকা পালনও করে থাকে এই শক্তি। নাসার এনডুরেন্স মিশনের মাধ্যমে এই ক্ষেত্রের খোঁজ মিলেছে।

পৃথিবীর অনেক ওপরে বায়ুমণ্ডল ধীরে ধীরে পাতলা হতে শুরু করে, এর ফলে সেখানে পরমাণু চার্জযুক্ত কণা ভেঙে হালকা ইলেকট্রন ও ভারী আয়নে পরিণত হয়। সাধারণভাবে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আয়নকে নিচে টেনে নিয়ে আসে আর ইলেকট্রন হালকা বলে ওপরে ভেসে থাকে। কিন্তু বৈদ্যুতিক চার্জ আলাদা থাকতে চায় না। ইলেকট্রন পালাতে শুরু করলে তার সঙ্গে আয়নকে একসঙ্গে ধরে রাখার জন্য একটি বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র তৈরি হয়। এই ক্ষেত্র আয়নকে ওপরে ঠেলে দেয় আর ইলেকট্রনকে ধীর করে দেয়। এই ভারসাম্যকে বিজ্ঞানীরা অ্যাম্বিপোলার বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র বলেন। এটি একটি অদৃশ্য টানাটানির মতো কাজ করে। চার্জকে আলাদা হওয়া থেকে রক্ষা করে। পৃথিবী থেকে ২৫০ থেকে ৭৭০ কিলোমিটার ওপরে এই ক্ষেত্রের উপস্থিতি দেখা যায়। এর প্রভাব সূক্ষ্ম, কিন্তু বেশ শক্তিশালী।

নতুন ধরনের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের বিষয়ে নাসার বিজ্ঞানী গ্লিন কলিনসন বলেন, অ্যাম্বিপোলার ক্ষেত্র কণাকে উত্তপ্ত করার পরিবর্তে শান্তভাবে কণাকে ওপরে নিয়ে যায়, যেখানে অন্যান্য শক্তি সেগুলোকে আরও ওপরের মহাকাশে নিয়ে যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা দেখছেন, এই ক্ষেত্র হাইড্রোজেন আয়নকে সুপারসনিক গতিতে পৃথিবী থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী। মাধ্যাকর্ষণের ঊর্ধ্বমুখী শক্তির চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী এই শক্তি।

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবাহিত চার্জযুক্ত কণার তথ্য জানতে ২০২২ সালের ১১ মে একটি রকেট উৎক্ষেপণ করেছিল নাসার এনডুরেন্স মিশন। রকেটটি পৃথিবীর ওপরে ৭৬৮ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছানোর আগে বায়ুমণ্ডলের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে। সেসব তথ্য পর্যালোচনা করেই নতুন ধরনের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

সূত্র: আর্থ ডটকম

সম্পর্কিত নিবন্ধ