অনেক কাদা ছোড়াছুড়ির পর গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি আইনিভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক ও শ্র্রীময়ী চট্টরাজ। এর কয়েক দিন পর অর্থাৎ ২ মার্চ সামাজিক রীতি মেনে বিয়ের পর্ব সম্পন্ন করেন।

কাঞ্চন-শ্রীময়ীর প্রথম বিবাহবার্ষিকী। বিশেষ দিনে মন্দিরে ছুটে গিয়েছেন এই দম্পতি। পাশাপাশি পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস দিয়েছেন এই দম্পতি।

কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শ্রীময়ী চট্টরাজ বলেন, “আমি ঈশ্বরকে কী বলে ধন্যবাদ দেব জানি না। তোমায় ধন্যবাদ দিলেও কম বলা হবে ঈশ্বরকে, তাই আমি ঈশ্বরকে ভালোবাসি, আমি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ, তুমি ছিলে এবং আছো বলে আমার জীবনটা এত সুন্দরভাবে সাজিয়ে দিয়েছো, তুমি ছিলে বলেই আমি কাঞ্চনের মতো মানুষকে আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়েছি, আমার সন্তানের বাবা হিসেবে পেয়েছি।”

আরো পড়ুন:

শরীর থেকে যীশুর শেষ চিহ্ন মুছে ফেললেন নীলাঞ্জনা

আমার বাবা-মা কি ভিখারি, প্রশ্ন ভারতের স্ত্রী জয়শ্রীর

বর কাঞ্চনের ভালোবাসায় পূর্ণ শ্রীময়ী। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “অনেক শ্রদ্ধা, সম্মান ও ভালোবাসা কাঞ্চন তোমাকে। তুমি আমাকে যা সম্মান, ভালোবাসা দিয়েছো, হয়তো আমারটা কম হয়ে যাবে, আমি তোমাকে বিয়ে না করলে জানতেই পারতাম না বুঝতেও পারতাম না এত সুন্দরভাবেও জীবন কাটানো যায়, এত সুন্দরভাবেও জীবনকে যাপন করা যায়, এত সুন্দরভাবে মাতৃত্বের আনন্দ উপভোগ করা যায়, তোমার ভালোবাসায় আমি আজ পরিপূর্ণ।”

কাঞ্চন সংসারী হয়েছেন, তার পুরো কৃতিত্ব শ্রীময়ীর। এ তথ্য উল্লেখ করে কাঞ্চন মল্লিক বলেন, “একটা ছেলের অগোছালো জীবনকে গুছিয়ে নিয়ে, তার জীবনটাকে সঠিক করে, তাকে দিয়েও সংসার করানো যায়, তাকেও সংসারী বানানো যায়, এটা তোমার জন্য সম্ভব শ্রীময়ী। তুমি আমার জীবনে না এলে আমি জানতাম না যে, এভাবে পরিবারকে নিয়ে বাঁচা যায়, এইভাবেও নিজের একটা জগৎ তৈরি করা যায়, আমি শুধু একটা বছরের জন্য নয়, আমি সারা জীবনের জন্য তোমাকে বলতে চাই, শুভ বিবাহ বার্ষিকী।”

অভিনেত্রী অনিন্দিতা দাসকে ভালোবেসে প্রথম সংসার শুরু করেছিলেন অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। ২০১০ সালে ভেঙে যায় এ সংসার। তাদের সাড়ে সাত বছরের সংসার ছিল। এরপর পিংকি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন কাঞ্চন। গত ১০ জানুয়ারি ৯ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন তারা। এ সংসারে তাদের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে।

দ্বিতীয় সংসার ভাঙার এক মাসের মাথায় অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজকে বিয়ে করেন ৫৩ বছর বয়সি কাঞ্চন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ২৭ বছর বয়সি এই অভিনেত্রীকে রেজিস্ট্রি বিয়ে করেন তিনি। এরপর সামাজিক রীতি মেনে ২৬ বছরের ছোট শ্রীময়ীকে ঘরে তুলেন কাঞ্চন।

মূলত, পিংকির সঙ্গে সংসার চলাকালীন কাঞ্চনের জীবনে শ্রীময়ীর আগমন ঘটে। পরকীয়ার অভিযোগ, অসম বয়স নিয়ে দারুণভাবে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। বিয়ের পর এ সমালোচনার আগুন আরো ছড়িয়ে পড়েছিল। সমালোচনা-বিতর্ক নিয়ে একাধিকবার কথাও বলেছেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র র জ বন বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি

হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী। 

বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়। 

এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।

স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ