শ্রীময়ী আমাকে সংসারী করেছে: কাঞ্চন মল্লিক
Published: 2nd, March 2025 GMT
অনেক কাদা ছোড়াছুড়ির পর গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি আইনিভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক ও শ্র্রীময়ী চট্টরাজ। এর কয়েক দিন পর অর্থাৎ ২ মার্চ সামাজিক রীতি মেনে বিয়ের পর্ব সম্পন্ন করেন।
কাঞ্চন-শ্রীময়ীর প্রথম বিবাহবার্ষিকী। বিশেষ দিনে মন্দিরে ছুটে গিয়েছেন এই দম্পতি। পাশাপাশি পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস দিয়েছেন এই দম্পতি।
কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শ্রীময়ী চট্টরাজ বলেন, “আমি ঈশ্বরকে কী বলে ধন্যবাদ দেব জানি না। তোমায় ধন্যবাদ দিলেও কম বলা হবে ঈশ্বরকে, তাই আমি ঈশ্বরকে ভালোবাসি, আমি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ, তুমি ছিলে এবং আছো বলে আমার জীবনটা এত সুন্দরভাবে সাজিয়ে দিয়েছো, তুমি ছিলে বলেই আমি কাঞ্চনের মতো মানুষকে আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়েছি, আমার সন্তানের বাবা হিসেবে পেয়েছি।”
আরো পড়ুন:
শরীর থেকে যীশুর শেষ চিহ্ন মুছে ফেললেন নীলাঞ্জনা
আমার বাবা-মা কি ভিখারি, প্রশ্ন ভারতের স্ত্রী জয়শ্রীর
বর কাঞ্চনের ভালোবাসায় পূর্ণ শ্রীময়ী। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “অনেক শ্রদ্ধা, সম্মান ও ভালোবাসা কাঞ্চন তোমাকে। তুমি আমাকে যা সম্মান, ভালোবাসা দিয়েছো, হয়তো আমারটা কম হয়ে যাবে, আমি তোমাকে বিয়ে না করলে জানতেই পারতাম না বুঝতেও পারতাম না এত সুন্দরভাবেও জীবন কাটানো যায়, এত সুন্দরভাবেও জীবনকে যাপন করা যায়, এত সুন্দরভাবে মাতৃত্বের আনন্দ উপভোগ করা যায়, তোমার ভালোবাসায় আমি আজ পরিপূর্ণ।”
কাঞ্চন সংসারী হয়েছেন, তার পুরো কৃতিত্ব শ্রীময়ীর। এ তথ্য উল্লেখ করে কাঞ্চন মল্লিক বলেন, “একটা ছেলের অগোছালো জীবনকে গুছিয়ে নিয়ে, তার জীবনটাকে সঠিক করে, তাকে দিয়েও সংসার করানো যায়, তাকেও সংসারী বানানো যায়, এটা তোমার জন্য সম্ভব শ্রীময়ী। তুমি আমার জীবনে না এলে আমি জানতাম না যে, এভাবে পরিবারকে নিয়ে বাঁচা যায়, এইভাবেও নিজের একটা জগৎ তৈরি করা যায়, আমি শুধু একটা বছরের জন্য নয়, আমি সারা জীবনের জন্য তোমাকে বলতে চাই, শুভ বিবাহ বার্ষিকী।”
অভিনেত্রী অনিন্দিতা দাসকে ভালোবেসে প্রথম সংসার শুরু করেছিলেন অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। ২০১০ সালে ভেঙে যায় এ সংসার। তাদের সাড়ে সাত বছরের সংসার ছিল। এরপর পিংকি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন কাঞ্চন। গত ১০ জানুয়ারি ৯ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন তারা। এ সংসারে তাদের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে।
দ্বিতীয় সংসার ভাঙার এক মাসের মাথায় অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজকে বিয়ে করেন ৫৩ বছর বয়সি কাঞ্চন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ২৭ বছর বয়সি এই অভিনেত্রীকে রেজিস্ট্রি বিয়ে করেন তিনি। এরপর সামাজিক রীতি মেনে ২৬ বছরের ছোট শ্রীময়ীকে ঘরে তুলেন কাঞ্চন।
মূলত, পিংকির সঙ্গে সংসার চলাকালীন কাঞ্চনের জীবনে শ্রীময়ীর আগমন ঘটে। পরকীয়ার অভিযোগ, অসম বয়স নিয়ে দারুণভাবে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। বিয়ের পর এ সমালোচনার আগুন আরো ছড়িয়ে পড়েছিল। সমালোচনা-বিতর্ক নিয়ে একাধিকবার কথাও বলেছেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র র জ বন বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা: খালেদা জিয়ার খালাসের রায় বহাল
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাত বছরের দণ্ড থেকে হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার (৩ মার্চ) সকালে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই রায় দেন। হাইকোর্টের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আপিল খারিজ করে আজ রায় দেন আপিল বিভাগ।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন- ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম।
আরো পড়ুন:
নাটোরে ১৩ মামলার আসামি যুবলীগ নেতা কালিয়া গ্রেপ্তার
হেফাজতে নির্যাতন
সাবেক মন্ত্রীর বান্ধবীসহ পুলিশ সদস্যের নামে মামলা
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসিফ হোসাইন।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের দণ্ড থেকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক।
গত বছরের ৩ নভেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক নিজ খরচে তৈরির অনুমতি দেন হাইকোর্ট। ২০ নভেম্বর আপিল শুনানি শুরু হয়। সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করে গত ২৭ নভেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়াকে সাত বছরের দণ্ড থেকে খালাস দেন।
২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ঢাকা/মামুন/মাসুদ