আবাহনীতে ব্রাজিলিয়ান, কিংসে আর্জেন্টাইন
Published: 2nd, March 2025 GMT
বিদেশি ছাড়াই প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বে খেলেছিল আবাহনী লিমিটেড। দেশিদের নিয়ে ভালো করা দলটির শিরোপা জয়ের সম্ভাবনাও আছে। শক্তি বাড়াতে মধ্যবর্তী দলবদলে দুই বিদেশিকে নিয়েছে আকাশি-নীল জার্সিধারীরা। বাজেট কম হওয়ায় পুরোনোদের নিজেদের ডেরায় এনেছে লিগের সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আবাহনীতে খেলে যাওয়া ব্রাজিলিয়ান রাফায়েল আগুস্তো সান্তোস দি সিলভাকে ফিরিয়ে এনেছে তারা। এই মিডফিল্ডারের সঙ্গে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমেকা ওগবাহরকেও নিবন্ধন করেছে তারা। এমেকাও অতীতে আবাহনীর হয়ে খেলে গিয়েছিলেন।
এই মৌসুমে লিগে বাজে সময় পার করা বসুন্ধরা কিংস দ্বিতীয় পর্বে শক্তি বাড়াতে নিয়েছে চার বিদেশিকে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবও নতুন করে নিবন্ধন করেছে এক বিদেশি। এক বিদেশিকে বিদায় করা ফর্টিস ফুটবল ক্লাব নিবন্ধন করেছে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ওজুকো ডেভিড ইফেগুকে।
আগের পাঁচ আসরে লিগে কিংসের দাপটের সঙ্গে পেরে ওঠেনি আবাহনী। এবার বসুন্ধরাকে টপকে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুই নম্বরে আছে তারা। যে কারণে রাফায়েল ও এমেকাকে নিয়ে নিজেদের শক্তি বাড়িয়েছে আকাশি-নীল জার্সিধারীরা। ক্লাব সূত্রে জানা গেছে, আবাহনীর সঙ্গে এ দুই ফুটবলারের আত্মার সম্পর্ক। তাই অর্থ নিয়ে খুব একটা ঝামেলা পোহাতে হয়নি। আগের মৌসুমগুলোতে আবাহনী ও মোহামেডানকে পেছনে ফেলা বসুন্ধরা এবার ভালো অবস্থায় নেই। ২০ পয়েন্ট নিয়ে আছে তিন নম্বরে। তারা দলে ভিড়িয়েছে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড হুয়ান এদুয়ার্দো লেসকানো, ব্রাজিলিয়ান সেন্টার-ব্যাক দাসিয়েল এলিস দস সান্তোস ও ঘানার ফরোয়ার্ড ইভান্স এট্টি। এই তিনজনের মধ্যে লেসকানো রিয়াল মাদ্রিদ ও লিভারপুলের মতো বিখ্যাত ক্লাবের যুব দলে খেলেছেন। একই সঙ্গে ফিরিয়ে এনেছে অতীতে ক্লাবটিতে খেলা উজবেকিস্তানের আশরোর গফুরভকে। বসুন্ধরার সঙ্গে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবেও খেলার অভিজ্ঞতা আছে গফুরভের।
১০ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা মোহামেডান প্রথম লেগে ধাক্কা খেয়েছিল ফকিরাপুল স্পোর্টিং ক্লাবের কাছে হেরে। টেবিলের এক নম্বরে থাকলেও আক্রমণভাগে কিছুটা দুর্বল মতিঝিলপাড়ার ক্লাবটি। আক্রমণ ভাগে তাদের মূল ভরসা সুলেমান দিয়াবাতে আছেন দারুণ ছন্দে। তার পরও আগে পুলিশ এফসিতে খেলে যাওয়া ভেনেজুয়েলার ফরোয়ার্ড এদুয়ার্দ মোরিওকে নিবন্ধন করেছে মোহামেডান। ২০২২-২৩ মৌসুমে পুলিশের জার্সিতে ১৮ ম্যাচে ৯টি গোল করেছিলেন ভেনেজুয়েলার এই ফরোয়ার্ড, আর ২০২৩-২৪ মৌসুমে ১৫ ম্যাচে জালের দেখা পেয়েছিলেন পাঁচবার।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফর য় র ড
এছাড়াও পড়ুন:
ঋণের অর্থছাড় নিয়ে আলোচনায় ঢাকায় আসছে আইএমএফের প্রতিনিধিদল
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) অর্থছাড়ের বিভিন্ন শর্ত পর্যালোচনা করতে চলতি এপ্রিল মাসে ঢাকায় আসবে আইএমএফের প্রতিনিধিদল।
এটি হতে যাচ্ছে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর আইএমএফের বড় কোনো দলের ঢাকায় দ্বিতীয় সফর।
চলমান ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় আইএমএফের কাছ থেকে বাংলাদেশ ২৩৯ কোটি ডলার কিস্তির অর্থ পাবে।
জানা গেছে, ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে বিভিন্ন শর্ত পালনের অগ্রগতি পর্যালোচনায় আইএমএফের একটি দল আগামী ৫ এপ্রিল ঢাকায় আসছে। দলটি ৬ এপ্রিল থেকে টানা দুই সপ্তাহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করবে। এ সফরে আইএমএফের দলটির সঙ্গে অর্থ বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি), জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠক শেষে ১৭ এপ্রিল প্রেস ব্রিফিং করবে সফররত আইএমএফের দল। দলটি প্রথম দিন ৬ এপ্রিল এবং শেষ দিন ১৭ এপ্রিল বৈঠক করবে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে।
২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের সঙ্গে ঋণ কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর তিনটি কিস্তির অর্থ পেয়েছে বাংলাদেশ। আইএমএফের কাছ থেকে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি। একই বছরের ডিসেম্বরে পেয়েছে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। আর ২০২৪ সালের জুনে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে। তিন কিস্তিতে বাংলাদেশ প্রায় ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে। ঋণের অর্থছাড় বাকি আছে ২৩৯ কোটি ডলার। বিপত্তি দেখা দেয় চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে। যদিও সরকার আশা করছে আগামী জুনে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে পাওয়া যাবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইএমএফের ঋণের দুই কিস্তির অর্থ একসঙ্গে পেতে বাংলাদেশের সামনে মোটাদাগে তিনটি বাধা রয়েছে। এগুলো হলো মুদ্রা বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) দশমিক ৫ শতাংশ হারে বাড়তি রাজস্ব আদায় ও এনবিআরের রাজস্ব নীতি থেকে রাজস্ব প্রশাসনকে আলাদা করা।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আইএমএফকে জানানো হয়েছে, এসব শর্ত বাস্তবায়ন করা হবে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজস্ব নীতি থেকে রাজস্ব প্রশাসনকে আলাদা করার পদক্ষেপ ছাড়া বাকি দুটির বিষয়ে তেমন অগ্রগতি নেই।
তবে ক্রলিং পেগ পদ্ধতিতে বিনিময় হার নির্ধারণ করা হচ্ছে। যার কারণে হঠাৎ ডলারের দাম খুব বেশি বেড়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। এ পদ্ধতিতে ডলারের দাম ১২২ টাকায় স্থিতিশীল আছে।
ঢাকা/হাসান/ইভা