বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় মো. রিয়াজ নামে এক ব্যক্তি নিহতের ঘটনায় করা মামলায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনজির হোসেন নিশিকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

রবিবার (২ মার্চ) দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার আদালত শুনানি শেষে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো আবেদন মঞ্জুর করেন।

নিশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সভাপতি। 

আরো পড়ুন:

অপারেশন ডেভিল হান্ট: গাইবান্ধায় আ.

লীগ-ছাত্রলীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার

ছাত্রলীগ নেত্রী নিশিসহ ৩ জন রিমান্ডে

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই’র পুলিশ পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান সিকদার নিশিকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। এদিন শুনানিকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

তার পক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। 

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৪ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডির সায়েন্সল্যাব এলাকা থেকে জিগাতলা এলাকায় যাওয়ার পথে আসামিদের ছোঁড়া গুলি মাথায় বিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন মো. রিয়াজ। দুই সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১৭ আগস্ট মারা যান তিনি। এ ঘটনায় নিহতের মা মোসা. শাফিয়া বেগম গত ৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা করেন।

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ র কর

এছাড়াও পড়ুন:

চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা: খালেদা জিয়ার খালাসের রায় বহাল

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাত বছরের দণ্ড থেকে হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

সোমবার (৩ মার্চ) সকালে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই রায় দেন। হাইকোর্টের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আপিল খারিজ করে আজ রায় দেন আপিল বিভাগ।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন- ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম।

আরো পড়ুন:

নাটোরে ১৩ মামলার আসামি যুবলীগ নেতা কালিয়া গ্রেপ্তার

হেফাজতে নির্যাতন 
সাবেক মন্ত্রীর বান্ধবীসহ পুলিশ সদস্যের নামে মামলা 

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসিফ হোসাইন।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের দণ্ড থেকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক। 

গত বছরের ৩ নভেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক নিজ খরচে তৈরির অনুমতি দেন হাইকোর্ট। ২০ নভেম্বর আপিল শুনানি শুরু হয়। সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করে গত ২৭ নভেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়াকে সাত বছরের দণ্ড থেকে খালাস দেন।

২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ